নিউজ ডেস্ক:
এদিকে দলীয় সূত্রমতে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবুও তিনি উন্নত চিকিৎসার ছুতোয় বিদেশে যেতে যান। তাই সরকারের কাছে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে ও তার সাজার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করা হবে। এটা শুধু একটা ‘আইওয়াশ’ কারণ তার আবেদনের মূল বিষয় হলো সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা। এরপর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া।
এ বিষয়ে গত রোববার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আলোচনায় বসেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা আলোচনা শেষে খালেদার এই আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে রাজি হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, সেপ্টেম্বরে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবেদনটি করা হবে। ঈদের দিন দুপুরের খাবার খাওয়ার পর রোববারে রাত পর্যন্ত খালেদা জিয়া কিছু খেতে পারেননি। তার হাতের সমস্যাও বেড়েছে। করোনার কারণে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষাও করাতে পারছেন না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তার বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা বলে দেশ ত্যাগ করাটা বিএনপির একটা কৌশল।
তিনি বলেন, জনগণের চোখে ধুলা দেয়ার জন্যই এই কৌশল নেয়া হয়েছে। আরো অনেক আগেই খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে যেতেন। কিন্তু করোনার কারণে পারেননি। এখন দিন দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই তিনি এখন এই পাঁয়তারা শুরু করেছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনো নির্দেশনা না দিয়েই দেশ থেকে পালাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এ দুই মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২৫ মাস পর চলতি বছরের ২৫ মার্চ দুর্নীতির দুই মামলার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেয়া হয়। সে অনুযায়ী আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হবে।