শিরোনাম :
Logo কয়রায় কসাইদের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা Logo চাঁদপুরে ২১ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা Logo উৎসবমুখর  পরিবেশে কয়রায় পালিত হতে যাচ্ছে  শারদীয় দুর্গা উৎসব Logo কচুয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর Logo চাঁদপুরে জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের মানববন্ধন Logo ইবিতে বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচিতে সম্প্রীতির বার্তা Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে নবীনবরণ সম্পন্ন Logo যুবকদের কর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা-কয়রায় প্রশিক্ষণ সংলাপ 

স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের জীবন-জীবিকাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে:প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ আগস্ট ২০২০
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের জীবন-জীবিকাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই বিধিনিষেধ ও বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার ঊর্ধ্বমুখী নয়। পরিস্থিতি বুঝেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাজকর্ম গতিশীল রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির বিষয়ে অফিস প্রধানই নির্দেশনা দেবেন।

এর আগে, করোনার বিস্তার রোধে সরকারি বিধিনিষেধ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ প্রজ্ঞাপনে বাজার, দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। আগে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলার বিধান থাকলেও এখন তা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, হাটবাজার, দোকানপাট, শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। শপিংমলের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজার রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহনকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পণ্য ও খাদ্য ক্রয়ে জনগণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।

করোনা মহামারির এ সংকটের মধ্যে যেভাবে সীমিত আকারে অফিস চলছে, তা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে সরকার বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছে। যেগুলো হলো-

৪ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি এ নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসস্থানের বাইরে বের হওয়া যাবে না। অতি প্রয়োজন বলতে, ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকারকে বোঝানো হয়েছে।

বাসস্থানের বাইরে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

হাটবাজার, দোকানপাট, শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। শপিংমলের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজার রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনকে অবশ্যই জীবণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিংমল অবশ্যই রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পণ্য ও খাদ্য ক্রয়ে জনগণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।

সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।

এ সময়ে সব সভা-সমাবেশ, জমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ভার্চুয়াল উপস্থিতি অনুষ্ঠান আয়োজনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে মসজিদে জামাত ও অন্যান্য উপাসনালয়সমূহে প্রার্থনা পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় কসাইদের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের জীবন-জীবিকাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে:প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের জীবন-জীবিকাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই বিধিনিষেধ ও বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার ঊর্ধ্বমুখী নয়। পরিস্থিতি বুঝেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাজকর্ম গতিশীল রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির বিষয়ে অফিস প্রধানই নির্দেশনা দেবেন।

এর আগে, করোনার বিস্তার রোধে সরকারি বিধিনিষেধ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ প্রজ্ঞাপনে বাজার, দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। আগে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলার বিধান থাকলেও এখন তা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, হাটবাজার, দোকানপাট, শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। শপিংমলের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজার রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহনকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পণ্য ও খাদ্য ক্রয়ে জনগণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।

করোনা মহামারির এ সংকটের মধ্যে যেভাবে সীমিত আকারে অফিস চলছে, তা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে সরকার বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছে। যেগুলো হলো-

৪ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি এ নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসস্থানের বাইরে বের হওয়া যাবে না। অতি প্রয়োজন বলতে, ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকারকে বোঝানো হয়েছে।

বাসস্থানের বাইরে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

হাটবাজার, দোকানপাট, শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। শপিংমলের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজার রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনকে অবশ্যই জীবণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিংমল অবশ্যই রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পণ্য ও খাদ্য ক্রয়ে জনগণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।

সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।

এ সময়ে সব সভা-সমাবেশ, জমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ভার্চুয়াল উপস্থিতি অনুষ্ঠান আয়োজনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে মসজিদে জামাত ও অন্যান্য উপাসনালয়সমূহে প্রার্থনা পরিচালনা করা হবে।