নিউজ ডেস্ক:সংবাদ প্রকাশের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত ৫ সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। দাবি করা চাঁদার টাকা গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে সরোজগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে আনতে গেলে ওই কথিত সাংবাদিকদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় তাঁদের হাতে চাঁদাবাজির শিকার পুরাতন ভান্ডারদোহা গ্রামের পিনু বাদী হয়ে আটক ব্যক্তিদের নামে একটি মামলা করেছেন। আটক কথিত ৫ সাংবাদিক হলেন জাফরপুরের মৃত শামসুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৬), আরামপাড়ার ইদ্রিস আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (২৬), বাগানপাড়ার খোকন মিয়ার ছেলে আশিক (২৪), জ্বিনতলা-মল্লিকপাড়ার মৃত ইছাহক আলীর ছেলে আরিফ (৪৫) ও মালোপাড়ার মৃত কালু খাঁর ছেলে সজিব আকবর (৫০)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পুরাতন ভান্ডারদোহা গ্রামের শহীদ মালিথার ছেলে পিনু ২ ডিসেম্বর মাটি কাটার এক্সকাভেটর যন্ত্র দিয়ে চাষের জমি সমান্তরাল করছিলেন। এ সময় আশিক ও সাব্বির জমির মালিক পিনুকে সংবাদ প্রকাশসহ সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তার ভয় দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাঁরা এক্সকাভেটর যন্ত্রটি আটক করে নিয়ে যাবেন বলে হুমকি দেন। পরে পিনু বাধ্য হয়ে ৩৫ হাজার টাকা দিলে ওখান থেকে চলে যান তাঁরা। অপরদিকে, গতকাল সোমবার ওই কথিত ৫ সাংবাদিক পৌর শহরের বাগানপাড়ার শহীদ হোসেনের ছেলে তানজিলুর রহমানের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদার টাকা সদর উপজেলার সরজগঞ্জ বাজারের জামালের চায়ের দোকানে দিয়ে আসতে বলেন। পরবর্তীতে চায়ের দোকান থেকে চাঁদার টাকা আনতে গেলে স্থানীয়রা ওই কথিত ৫ সাংবাদিককে আটক করে সরজগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তাঁদের সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে তাঁদের হাতে চাঁদাবাজির শিকার পুরাতন ভান্ডারদোহা গ্রামের পিনু বাদী হয়ে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন। চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই কথিত ৫ সাংবাদিককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা। আজ তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানায় সদর থানার পুলিশ।উল্লেখ্য, কথিত এ সংবাদিক চক্রটি সাধারণ মানুষদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৪ ডিসেম্বর এ চক্রটি সিন্দুরীয়া গ্রামের মৃত জব্বার কাজীর ছেলে মনোয়ার হোসেনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর আগে এ চক্রের আরিফ ও সজিব আকবর গত ১০ নভেম্বর হাজরাহাটি গ্রামের রেজাউল হক ম-লের ছেলে রশিদের কাছ থেকে একই পন্থায় ৩ হাজার টাকা চাঁদা নেন। এ ছাড়াও এ চক্রটি ১৫ ডিসেম্বর ধুতুরহাট গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানা গেছে।