নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুরে একই স্থানে বিজয় দিবস উদ্যাপনের ব্যানার টাঙানো নিয়ে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে গাংনী বাজার-বাসস্ট্যান্ডের রেজাউল চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও অবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।মেহেরপুরে একই স্থানে বিজয় দিবস উদ্যাপনের ব্যানার টাঙানো নিয়ে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে গাংনী বাজার-বাসস্ট্যান্ডের রেজাউল চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও অবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি নেয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সে অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের কর্মীরা গতকাল সকালে রেজাউল চত্বরে এসে পতাকা উত্তোলনের স্থানে ব্যানার টাঙাতে যায়, এ নিয়ে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরের ওপর চড়াও হন। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরে আবার দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম উত্তেজনা। স্থানীয়দের ধারণা, যেকোনো মুহূর্তে এ নিয়ে সৃষ্টি হতে পারে সংঘর্ষ। এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বদানকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমাদের পৌর আওয়ামী লীগ গাংনী বাজারে বিজয় দিবস উদ্যাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা ওই স্থানে কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে গেলে একই স্থানে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনের কর্মীরাও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়। ফলে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে আমি আমার পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের শান্ত করে বলেছি, বিষয়টি নিয়ে আর কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে। আশা করি, কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না।’ অপর দিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বদানকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, ‘আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে প্রতিটি জাতীয় দিবসে শহীদ রেজাউর চত্বরে অনুষ্ঠান করে থাকি। কিন্তু ওই স্থানে পৌর আওয়ামী লীগ এসে অনুষ্ঠান করতে গেলে বিষয়টি নিয়ে একটু উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে এ ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসক আতাউল গনি ও পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আশা করি, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে না।’ গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, দুই পক্ষ একই স্থানে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ওই স্থানে গেলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে সহিংসতার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে পুরো গাংনী উপজেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য গাংনীতে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) টহল শুরু হয়েছে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে সব নেতা-কর্মীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। আশা করি, শান্তিপূর্ণভাবে দিবসটি পালন হবে। দুই পক্ষের জন্য অনুষ্ঠানসূচি আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি।’