শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বহির্বিভাগে এক দিনে ১০২৩টি টিকিট বিক্রি!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা
রাহুল রাজ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলের বহির্বিভাগ থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ১ হাজার ২৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। গতকাল হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৯৯ জন। পিছিয়ে নেই মহিলা রোগীর সংখ্যাও, মহিলা টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৬৩ জন এবং একই কাউন্টার থেকে শিশু রোগীর টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬১টি। হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতিতে চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে ভিড় জমে যাচ্ছে। একটি কক্ষের ভিড় কাটিয়ে অন্য কক্ষের সামনে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। আবার দীর্ঘক্ষণ ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকদের কক্ষের ধারের কাছেও যেতে না পেরে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন জানান, প্রতিনিয়ত আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শিশুরা বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ঠান্ডা, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অধিক। প্রতিদিন দুই শ থেকে আড়াই শ-এর অধিক রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে ৫০-এর অধিক শিশু। প্রতিদিন এত রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের চেম্বারের সামনে রোগীর স্বজনদের দীর্ঘ লাইন। বিপাকে পড়ছেন তাঁরাও। প্রতিনিয়ত এত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে যে, তা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘দিন দিন যেন হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বহির্বিভাগের পুরুষ টিকিট কাউন্টারে ১৫০ থেকে ২০০ টিকিট বিক্রি হতো। তবে আজ এক দিনেই ৩৯৯টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। বহির্বিভাগের ১০৮, ১১২, ১২৭, ২০৯, ২১৬ ও ২১৯ নম্বর কক্ষের টিকিট সব থেকে বেশি সংগ্রহ করছে রোগীরা। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীরা টিকিট সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছে। এ অতিরিক্ত মাত্রার টিকিট দিতে যেয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরও।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল নিয়ে কাজ করা কঠিন। চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলাসহ আশপাশের মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকেও রোগীরা আসছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বহির্বিভাগের এই অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের হিমিশিম খেতে হচ্ছে। একই দিনে বহির্বিভাগে এক হাজারের অধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

বহির্বিভাগে এক দিনে ১০২৩টি টিকিট বিক্রি!

আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা
রাহুল রাজ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলের বহির্বিভাগ থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ১ হাজার ২৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। গতকাল হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৯৯ জন। পিছিয়ে নেই মহিলা রোগীর সংখ্যাও, মহিলা টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৬৩ জন এবং একই কাউন্টার থেকে শিশু রোগীর টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬১টি। হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতিতে চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে ভিড় জমে যাচ্ছে। একটি কক্ষের ভিড় কাটিয়ে অন্য কক্ষের সামনে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। আবার দীর্ঘক্ষণ ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকদের কক্ষের ধারের কাছেও যেতে না পেরে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন জানান, প্রতিনিয়ত আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শিশুরা বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ঠান্ডা, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অধিক। প্রতিদিন দুই শ থেকে আড়াই শ-এর অধিক রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে ৫০-এর অধিক শিশু। প্রতিদিন এত রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের চেম্বারের সামনে রোগীর স্বজনদের দীর্ঘ লাইন। বিপাকে পড়ছেন তাঁরাও। প্রতিনিয়ত এত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে যে, তা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘দিন দিন যেন হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বহির্বিভাগের পুরুষ টিকিট কাউন্টারে ১৫০ থেকে ২০০ টিকিট বিক্রি হতো। তবে আজ এক দিনেই ৩৯৯টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। বহির্বিভাগের ১০৮, ১১২, ১২৭, ২০৯, ২১৬ ও ২১৯ নম্বর কক্ষের টিকিট সব থেকে বেশি সংগ্রহ করছে রোগীরা। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীরা টিকিট সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছে। এ অতিরিক্ত মাত্রার টিকিট দিতে যেয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরও।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল নিয়ে কাজ করা কঠিন। চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলাসহ আশপাশের মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকেও রোগীরা আসছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বহির্বিভাগের এই অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের হিমিশিম খেতে হচ্ছে। একই দিনে বহির্বিভাগে এক হাজারের অধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে।