শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo খুবিতে গনিত ক্লাবের যাত্রা: দায়িত্ব পেয়েছে পরমা-পলাশ Logo খুবিতে ‘মাইন্ড ওভার ম্যাথ’ শীর্ষক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo  অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের তীব্র নিন্দা Logo কচুয়ায় দাড়িপাল্লার গণজোয়ার: জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর গণসংযোগে মানুষের ঢল Logo জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জেলা বিএনপির নেতার Logo জমকালো আয়োজনে ইবিতে নবীন বরণ  Logo ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির জনসভা Logo গাইবান্ধায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা

বহির্বিভাগে এক দিনে ১০২৩টি টিকিট বিক্রি!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা
রাহুল রাজ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলের বহির্বিভাগ থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ১ হাজার ২৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। গতকাল হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৯৯ জন। পিছিয়ে নেই মহিলা রোগীর সংখ্যাও, মহিলা টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৬৩ জন এবং একই কাউন্টার থেকে শিশু রোগীর টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬১টি। হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতিতে চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে ভিড় জমে যাচ্ছে। একটি কক্ষের ভিড় কাটিয়ে অন্য কক্ষের সামনে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। আবার দীর্ঘক্ষণ ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকদের কক্ষের ধারের কাছেও যেতে না পেরে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন জানান, প্রতিনিয়ত আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শিশুরা বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ঠান্ডা, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অধিক। প্রতিদিন দুই শ থেকে আড়াই শ-এর অধিক রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে ৫০-এর অধিক শিশু। প্রতিদিন এত রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের চেম্বারের সামনে রোগীর স্বজনদের দীর্ঘ লাইন। বিপাকে পড়ছেন তাঁরাও। প্রতিনিয়ত এত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে যে, তা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘দিন দিন যেন হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বহির্বিভাগের পুরুষ টিকিট কাউন্টারে ১৫০ থেকে ২০০ টিকিট বিক্রি হতো। তবে আজ এক দিনেই ৩৯৯টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। বহির্বিভাগের ১০৮, ১১২, ১২৭, ২০৯, ২১৬ ও ২১৯ নম্বর কক্ষের টিকিট সব থেকে বেশি সংগ্রহ করছে রোগীরা। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীরা টিকিট সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছে। এ অতিরিক্ত মাত্রার টিকিট দিতে যেয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরও।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল নিয়ে কাজ করা কঠিন। চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলাসহ আশপাশের মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকেও রোগীরা আসছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বহির্বিভাগের এই অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের হিমিশিম খেতে হচ্ছে। একই দিনে বহির্বিভাগে এক হাজারের অধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

বহির্বিভাগে এক দিনে ১০২৩টি টিকিট বিক্রি!

আপডেট সময় : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা
রাহুল রাজ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলের বহির্বিভাগ থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ১ হাজার ২৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। গতকাল হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৯৯ জন। পিছিয়ে নেই মহিলা রোগীর সংখ্যাও, মহিলা টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৩৬৩ জন এবং একই কাউন্টার থেকে শিশু রোগীর টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬১টি। হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতিতে চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে ভিড় জমে যাচ্ছে। একটি কক্ষের ভিড় কাটিয়ে অন্য কক্ষের সামনে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। আবার দীর্ঘক্ষণ ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকদের কক্ষের ধারের কাছেও যেতে না পেরে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন জানান, প্রতিনিয়ত আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শিশুরা বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ঠান্ডা, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অধিক। প্রতিদিন দুই শ থেকে আড়াই শ-এর অধিক রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে ৫০-এর অধিক শিশু। প্রতিদিন এত রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের চেম্বারের সামনে রোগীর স্বজনদের দীর্ঘ লাইন। বিপাকে পড়ছেন তাঁরাও। প্রতিনিয়ত এত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে যে, তা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘দিন দিন যেন হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে বহির্বিভাগের পুরুষ টিকিট কাউন্টারে ১৫০ থেকে ২০০ টিকিট বিক্রি হতো। তবে আজ এক দিনেই ৩৯৯টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। বহির্বিভাগের ১০৮, ১১২, ১২৭, ২০৯, ২১৬ ও ২১৯ নম্বর কক্ষের টিকিট সব থেকে বেশি সংগ্রহ করছে রোগীরা। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীরা টিকিট সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছে। এ অতিরিক্ত মাত্রার টিকিট দিতে যেয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরও।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল নিয়ে কাজ করা কঠিন। চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলাসহ আশপাশের মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকেও রোগীরা আসছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বহির্বিভাগের এই অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের হিমিশিম খেতে হচ্ছে। একই দিনে বহির্বিভাগে এক হাজারের অধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে।