মেহেরপুরে পরিবহনে বিশেষ কৌশলে পায়ুপথে স্বর্ণ পাচারের সময় বিজিবির অভিযান
নিউজ ডেস্ক:বিশেষ কৌশলে পায়ুপথে স্বর্ণ পাচারের সময় বিজিবির হাতে শহিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক স্বর্ণ পাচারকারী আটক হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে মেহেরপুর-গাংনী সড়কের আবদারপুর মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৬টি স্বর্ণের বার। মেহেরপুর-গাংনী সড়কের আবদারপুর নামক স্থানে ঢাকা-মেহেরপুরগামি শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে পায়ু পথে স্বর্ণ পাচারকরার সময় শহিদুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করে বিজিবি। গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর পরিচালক ইমাম হাসানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটক স্বর্ণ পাচারকারী শহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত জোয়াদ আলী মন্ডলের ছেলে। আটক শহিদুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নে নিয়ে তার পায়ুপথ থেকে ৬টি স্বর্ণ বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ৭শ’ গ্রাম (৩০ভরি)।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর পরিচালক ইমাম হাসান জানান, ঢাকা হতে বিভিন্ন পরিবহনযোগে সীমান্ত এলাকায় আগমন করে কিছু স্বর্ণ চোরাকারবারী অভিনব কায়দায় স্বর্ণ পাচার করছে। ঢাকা-মেহেরপুরগামী শ্যামলী পরিবহনে একজন সন্দেহজনক ব্যক্তি অভিনব কায়দায় পেটের মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালান করতে পারে। এই তথ্য প্রাপ্ত হওয়ার পর আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে তাঁর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল মেহেরপুর-গাংনী সড়কে আবদারপুর মোড় নামক স্থান এর সন্নিকটে অবস্থান করে।
তিনি আরো জানান, আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের নির্দিষ্ট বাসটি এ্যাম্বুশ সাইটে পৌছালে বাসে তল্লাশী চালিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানী শহিদুল ইসলাম (৪০) নামক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়। তল্লাশী করলে তার মলদ্বার হতে ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধারকৃত ৬টি স্বর্ণের বার এর ওজন প্রায় ৭শ’ গ্রাম (৬০ ভরি), যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৩০ লাখ টাকা। আটককৃত স্বর্ণের বার মেহেরপুর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে পাচারকারী শহিদুলকে মেহেরপুর সদর থানাতে সোর্পদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে হাবিলদার বিরেন্দ্র নাথ দত্ত বাদি হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।