নিউজ ডেস্ক:গাংনীতে ইফতারির খিচুড়ি খেয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়েছে। এ ঘটনায় সুমিতা খাতুন নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। আরো দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তারা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়।
সুমিতা খাতুন বামুন্দী কলেজপাড়ার আশিফ হোসেনের স্ত্রী ও একই এলাকার আব্দুর রহিম আলীর মেয়ে। সুমিতা খাতুনের জামাতা (খালু) আব্দুল গনি বলেন, গত ১৭ই মে শুক্রবার সন্ধ্যায় বামুন্দী বাজারের শাজাহান আলী বাড়ির পাশর্^বর্তী বিভিন্ন লোকজনকে তার বাড়ির ইফতারির খিচুড়ি দেয়। শাহজাহানের বাড়ির ইফতারের খিচুড়ি খেয়ে সুমিতাসহ এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের স্থানীয় বামুন্দী মাহী ক্লিনিকসহ বেশ কিছু ক্লিনিকে নেওয়া হয়। যাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতি হয়নি তাদের গাংনী সরকারি হাসপাতাল, মেহেরপুর ও আরো খারাপ রোগিদের নেওয়া হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সুমিতার মাহি ক্লিনিকে অবস্থার উন্নতি হলে বাড়িতে নেয়া হয়। গতকাল বুধবার সকালের দিকে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সুমিতার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সুমিতা খাতুনের স্বামী আশিফ হোসেন বলেন, ইফতারের খিচুড়ি খেয়েই তার স্ত্রী সুমিতার মৃত্যু হয়েছে। একই অভিযোগ করেন সুমিতার বোন রুপালী খাতুন।
একই এলাকার অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সাবিনা, শিরিনা, মিঠু, শান্ত, পপি, মারিয়া, বেলালের বাড়িতে ৮ জন, সানার বাড়ি ৮জন, আত্তাহিমের বাড়িতেও একজনসহ এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ। তারা স্থানীয় ক্লিনিকসহ গাংনী, মেহেরপুরের হাসপাতালসহ কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিংবা এখনও নিচ্ছেন। অন্যদিকে বামুন্দির রন্জু স্বর্ণাকরের স্ত্রী ও আরো এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক।