চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া মাদক সংক্রান্ত জের ধরে দুই নারীকে পিটিয়ে ও এক বৃদ্ধাসহ দু’জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফকিরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ আলী ছেলে খোকন আলী (৫০), একই এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মশিউর রহমান রানা (২৮), আশরাফুল আলমের মা শাহিনুর খাতুন (৪৫) ও স্ত্রী সালমা খাতুন (২৩)।জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত খোকন আলীর ছেলে আশরাফুল এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছিল। এতে একই এলাকার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মশিউর রহমান রানা প্রতিবাদ করে। এরই জের ধরে গতকাল রাতে মশিউর রহমান রানা আশরাফুলকে সামনা সামনি প্রতিবাদ করে মাদকের বিরুদ্ধে। এতে আশাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে মশিউর রহমান রানাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে রানা দলবল নিয়ে আশরাফুলের বাড়িতে গিয়ে আশরাফুলকে না পেয়ে তার পিতা খোকন আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং তার স্ত্রী শাহিনুর খাতুন ও আশরাফুলের স্ত্রী সালমা খাতুনকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রানাকে দেখা যায় সে মাদকাসক্ত ছিল। তার মুখ থেকে মাদকের দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এ বিষয়ে ফকিরপাড়ার সংরক্ষিত ১, ২ ও ৪ আসনের মহিলা মেম্বার শামীমা সুলতানা প্রতিবেদককে বলেন, আশরাফুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। গত দুইমাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। জেল থেকে ছাড়ার পর আবারো সে মাদক বিক্রি শুরু করে। এতে রানা প্রতিবাদ করলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে রানা তার প্রতিশোধ নিতে আশরাফুলের বাড়িতে গেলে আশরাফুলকে না পেয়ে তার পিতাকে কুপিয়ে জখম করে।এদিকে খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার শেখ রাজিব আল রশিদ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন। তিনি বলেন- পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো বলেন- রানা মাদকাসক্ত ছিল, তবে ঘটনা তদন্ত করে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করবে বলে জানা গেছে।