বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

ভিনগ্রহের জীবরা ঘুরছে চারপাশে, দেখা যাচ্ছে না, চাঞ্চল্যকর দাবি নাসার

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

থিবীই কি এই ব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলেছেন নিরন্তর। এরই মধ্যে আশ্চর্য দাবি করলেন নাসারই বিজ্ঞানী। জানিয়ে দিলেন, ভিনগ্রহ থেকে প্রাণীরা এসে হয়তো এরই মধ্যে নেমে পড়েছে পৃথিবীতে!

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ‘নাসা এমেস রিসার্চ সেন্টার’-এর এক কম্পিউটার বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলোম্বানো জানিয়েছেন, মানুষ হয়তো টেরই পাচ্ছে না ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে এসে বাসা বেঁধেছে। কেবল তাদের অদ্ভুত আকৃতি ও চেহারার কারণে তারা দৃশ্যমান হচ্ছে না।

কলোম্বানোর দাবি, হতেই পারে অন্য গ্রহের বাসিন্দারা কার্বন দিয়ে তৈরি নয়। তারা এমন কোনও উপাদানে তৈরি যে মানুষ তাদের দেখতেই পাচ্ছে না।

তাঁর গবেষণাপত্রে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানাতে গিয়ে তিনি এমনটাই লিখেছেন। এ জন্য অন্যান্য পদ্ধতিতে অন্বেষণ চালিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি জানান। মানুষের প্রযুক্তিগত বিদ্যা যে খুব পুরনো নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিতে কলোম্বানো জানান, মানব ইতিহাসে প্রযুক্তির উন্নতির সময়সীমা ১০ হাজার বছর। আর বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ইতিহাস মাত্র ৫০০ বছরের।

কেবল কলোম্বানোই নন, বিজ্ঞানী ম্যাগি আদ্রেইন পোককও জানিয়েছেন, হয়তো অন্য গ্রহের প্রাণীরা এমন অন্য রকম দেখতে, যে মানুষ তাদের হদিশই পাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং জানিয়েছিলেন, অন্য গ্রহে প্রাণ থাকতেই পারে। কিন্তু তারা যে মানুষের মতো কিংবা পৃথিবীর কোনও জীবের মতো দেখতে হবে, এমনটা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। তারা একেবারে অন্যরকম হতেই পারে জানিয়ে হকিং বলেছিলেন, এমনকী গ্যাসীয় বা তরল প্রাণীও হতে পারে। কলোম্বানোর কথাতেও সেই মতবাদই নতুন করে মান্যতা পেল। এখন দেখার, অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা সত্যিই তেমন কোন অদেখা, অজানা ভিনগ্রহীর সন্ধান দিতে পারেন কি না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ভিনগ্রহের জীবরা ঘুরছে চারপাশে, দেখা যাচ্ছে না, চাঞ্চল্যকর দাবি নাসার

আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

থিবীই কি এই ব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলেছেন নিরন্তর। এরই মধ্যে আশ্চর্য দাবি করলেন নাসারই বিজ্ঞানী। জানিয়ে দিলেন, ভিনগ্রহ থেকে প্রাণীরা এসে হয়তো এরই মধ্যে নেমে পড়েছে পৃথিবীতে!

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ‘নাসা এমেস রিসার্চ সেন্টার’-এর এক কম্পিউটার বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলোম্বানো জানিয়েছেন, মানুষ হয়তো টেরই পাচ্ছে না ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে এসে বাসা বেঁধেছে। কেবল তাদের অদ্ভুত আকৃতি ও চেহারার কারণে তারা দৃশ্যমান হচ্ছে না।

কলোম্বানোর দাবি, হতেই পারে অন্য গ্রহের বাসিন্দারা কার্বন দিয়ে তৈরি নয়। তারা এমন কোনও উপাদানে তৈরি যে মানুষ তাদের দেখতেই পাচ্ছে না।

তাঁর গবেষণাপত্রে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানাতে গিয়ে তিনি এমনটাই লিখেছেন। এ জন্য অন্যান্য পদ্ধতিতে অন্বেষণ চালিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি জানান। মানুষের প্রযুক্তিগত বিদ্যা যে খুব পুরনো নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিতে কলোম্বানো জানান, মানব ইতিহাসে প্রযুক্তির উন্নতির সময়সীমা ১০ হাজার বছর। আর বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ইতিহাস মাত্র ৫০০ বছরের।

কেবল কলোম্বানোই নন, বিজ্ঞানী ম্যাগি আদ্রেইন পোককও জানিয়েছেন, হয়তো অন্য গ্রহের প্রাণীরা এমন অন্য রকম দেখতে, যে মানুষ তাদের হদিশই পাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং জানিয়েছিলেন, অন্য গ্রহে প্রাণ থাকতেই পারে। কিন্তু তারা যে মানুষের মতো কিংবা পৃথিবীর কোনও জীবের মতো দেখতে হবে, এমনটা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। তারা একেবারে অন্যরকম হতেই পারে জানিয়ে হকিং বলেছিলেন, এমনকী গ্যাসীয় বা তরল প্রাণীও হতে পারে। কলোম্বানোর কথাতেও সেই মতবাদই নতুন করে মান্যতা পেল। এখন দেখার, অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা সত্যিই তেমন কোন অদেখা, অজানা ভিনগ্রহীর সন্ধান দিতে পারেন কি না।