তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ আদমব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে কৌশলে এক ব্যবসায়ীর দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৬ লাখ টাকার সম্পত্তি কিনে দেড় কোটি টাকা হজম করতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে তারা। আদম ব্যবসায়ী চক্র নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ওই ব্যবসায়ী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আদমব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা।
ঢাকা মুন্সিগঞ্জ জেলার বসুনিয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন বাবু তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি একজন চাল ব্যবসায়ী। তার বড় ভাই শফিউদ্দিন মালয়েশিয়া প্রবাসি। সেখানে তিনি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক। কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়ার শহরের ওই প্রতিষ্ঠানে আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামের আইনাল হকের ছেলে হাসিবুল ও তার শ্যালক মতিয়ার, কুষ্টিয়ার ইবির নহরহরদিয়া মৃত মোজ্জাম্মেল হকের ছেলে সেলিম, হাসিবুলের ভগ্নিপতি নাসিরসহ কয়েক আদমব্যবসায়ী উঠাবসা করতো। তাদের সাথে শফিউদ্দিনের পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকা থেকে লোকজনকে ফুঁসলিয়ে পানি পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যেতো। তারা ব্যবসায়ী শফিউদ্দিনের কাছে মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ভাঙ্গানোর জন্য টাকা লেনদেন করতো। এ সময় শফিউদ্দিনের কাছ থেকে তারা জানতে পারে তার ছোট ভাই মহিউদ্দিন বাবু নওয়াবগঞ্জে চাউলের ব্যবসা করে। তারা তাকে জানায়, আলমডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলায় প্রচুর ধান আমদানী হয়। এ এলাকায় অটো রাইচ মিল দিতে পারলে লাভবান হওয়া যাবে। অল্প টাকায় জমি পাওয়া যাবে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, জমি কেনার জন্য শফিউদ্দিনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে হাসিবুল ও তার শ্যালক মতিয়ার, সেলিম, মিজানুর রহমান ৭ লাখ ২০ হাজার রিঙ্গিত গ্রহন করে। তৎকালিন সময়ে বাংলাদেশী টাকা প্রায় ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা রিঙ্গিত নেয়ার বিষয়টি কালিদাসপুর গ্রামের হাসেম আলী কুমিল্লার আবুল হোসেনের ছেলে জাহান, ঝিনাইদহ জেলার সাগান্ন ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আফিল উদ্দিনের ছেলে হামজাসহ আরো কয়েকজন জানতো। আদম ব্যবসায়ী চক্র টাকা নেওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে এসে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর কাজ শুরু করে। এদিকে শফিউদ্দিনের ভাই মহিউদ্দিন বাবু জমির বিষয়ে কথা বললে জমি কেনা হয়েছে বলে নানা ধরনের চাতুরতা শুরু করে। একপর্যায়ে তড়িঘড়ি করে গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠে নিজেদের আত্মীয়য়ের মধ্যে ৬ লাখ টাকায় ৪ শতক জমি কেনে। সেই রেজিষ্ট্রি করা দলিল মহিউদ্দিন বাবুকে দেয়। বাকি টাকা ফেরত চাইলে তারা আবারো ঘুরাতে থাকে। অবশেষে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাত করতে তারা মহিউদ্দিন বাবুর ও তার ভাই শফিউদ্দিনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের আশু দৃষ্টি কামনা করে ওই চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।