শিরোনাম :
Logo ২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান Logo বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা! Logo চাঁদপুরে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসে আলোচনা সভা Logo বিজয়ী সংগঠন এখন শত শত নারীদের উপার্জন করার পথ তৈরি করে দিচ্ছেন- ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান Logo দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম… কলারোয়ায় ৫ দিনের শিশু কন্যাকে খালে ফেলে হত্যা, মা গ্রেপ্তার Logo পলাশবাড়ীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও র‍্যালী। Logo গাজা চুক্তি লঙ্ঘন করলে হামাসকে ‘নির্মূল’ করা হবে : ট্রাম্প Logo এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারের Logo নির্বাচনে এআই অপব্যবহার রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে সেল গঠন হবে : সিইসি Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা ও শুভ দীপাবলি উৎসব

বেড়ীবাঁধে ধস, লক্ষ্মীপুরে আতঙ্কে ১০ হাজার পরিবার !

  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ-

প্রায় ৫০ বছরের আগে নির্মাণ করা ওয়াপদা বেড়ীবাঁধে ধস নেমেছে। গত ৩ বছর যাবত এর ভাঙ্গণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের এই বেড়ীবাঁধটির আশেপাশে বসবাসরত অন্তত ১০ হাজার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। অতিশিগগির বেড়ীবাঁধটি পুনঃনির্মাণ না করলে মান্দারী ও দিঘলী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সোমবার (১৮ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়ীবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে। ফলে বাঁধটির কিছু কিছু অংশ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এখন যান চলাচল প্রায় বন্ধ। মাঝেমধ্যে দুই একটি সাইকেল এবং মোটর সাইকেল চলতে দেখা গেছে। তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। এদিকে বেড়ীবাঁধটি কোনো রকম টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য জায়গা থেকে গাছপালা কেটে এনে ভাঙ্গণ রোধের চেষ্টায় কাজ করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওয়াপদা বেড়ীবাঁধের আশেপাশে বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার পরিবার এ পথে চলাচল করে। এছাড়াও ওয়াপদা বাজার থেকে দিঘলী হয়ে এ পথেই মাইজদী পর্যন্ত রাস্তা থাকায় দূর-দূরান্তের মানুষজন ও ব্যবসায়ীরা একসময় বেড়ীবাঁধটির উপর দিয়েই চলাচল করতো। গত তিন বছর যাবত এতে ধস নামায় দূর-দূরান্তের মানুষজনের চলাচল কমে যায়। স্থানীয়রা পড়েছে চরম ভোগান্তির মুখে। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে চলাচলে ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

এছাড়াও গ্রামবাসীদের কয়েকজন জানান, ওয়াপদা বেড়ীবাঁধটি ভেঙ্গে গেলে মান্দারী ও দিঘলী ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম ডুবে যাবে। চাষাবাদের জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান তারা।

মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি চেষ্টা করছি কিছু দিনের মধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে বেড়ীবাঁধটি সংস্কার করার ব্যবস্থা করতে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান

বেড়ীবাঁধে ধস, লক্ষ্মীপুরে আতঙ্কে ১০ হাজার পরিবার !

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ-

প্রায় ৫০ বছরের আগে নির্মাণ করা ওয়াপদা বেড়ীবাঁধে ধস নেমেছে। গত ৩ বছর যাবত এর ভাঙ্গণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের এই বেড়ীবাঁধটির আশেপাশে বসবাসরত অন্তত ১০ হাজার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। অতিশিগগির বেড়ীবাঁধটি পুনঃনির্মাণ না করলে মান্দারী ও দিঘলী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সোমবার (১৮ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়ীবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে। ফলে বাঁধটির কিছু কিছু অংশ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এখন যান চলাচল প্রায় বন্ধ। মাঝেমধ্যে দুই একটি সাইকেল এবং মোটর সাইকেল চলতে দেখা গেছে। তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। এদিকে বেড়ীবাঁধটি কোনো রকম টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য জায়গা থেকে গাছপালা কেটে এনে ভাঙ্গণ রোধের চেষ্টায় কাজ করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওয়াপদা বেড়ীবাঁধের আশেপাশে বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার পরিবার এ পথে চলাচল করে। এছাড়াও ওয়াপদা বাজার থেকে দিঘলী হয়ে এ পথেই মাইজদী পর্যন্ত রাস্তা থাকায় দূর-দূরান্তের মানুষজন ও ব্যবসায়ীরা একসময় বেড়ীবাঁধটির উপর দিয়েই চলাচল করতো। গত তিন বছর যাবত এতে ধস নামায় দূর-দূরান্তের মানুষজনের চলাচল কমে যায়। স্থানীয়রা পড়েছে চরম ভোগান্তির মুখে। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে চলাচলে ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

এছাড়াও গ্রামবাসীদের কয়েকজন জানান, ওয়াপদা বেড়ীবাঁধটি ভেঙ্গে গেলে মান্দারী ও দিঘলী ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম ডুবে যাবে। চাষাবাদের জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান তারা।

মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি চেষ্টা করছি কিছু দিনের মধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে বেড়ীবাঁধটি সংস্কার করার ব্যবস্থা করতে।