শিরোনাম :
Logo দুর্ভোগ কমাতে ৯১ স্থানে সভা-সমাবেশ করার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের Logo ‘বিদায়’ জানালেন সিনেমার গানকে প্রিন্স মাহমুদ Logo সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসভবনে যাবেন ইসহাক দার Logo ১০ শতাংশ ভোট জামায়াত পাইলে বলব তারা বাপের বেটা : ফজলুর রহমান Logo ইবিতে বিএনসিসি ক্যাডেটদের পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo “দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই আমি কাজ করব” : কচুয়ায় যুবদলের কর্মী সমাবেশে-মোশারফ হোসেন Logo ইকসু বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ প্লাটফর্ম গঠন Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেল সুপারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খুশি কারাবন্দিরা Logo ইবিতে রোভার স্কাউটসের বার্ষিক তাঁবুবাস ও দীক্ষানুষ্ঠান সম্পন্ন Logo বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত (ডাকসু) প্যানেলকে স্বাগত জানিয়ে কয়রায় ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল 

শবে কদরের নামাজ আদায়ের নিয়ম ও ফজিলত !

  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮
  • ৭৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোনো একটি রাত হল শবে কদর। এ রাতের ফজিলত অন্য যেকোনো রাতের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। বলা যেতে পারে – এ রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবেন তত বেশি সওয়াব।

শবে কদরের রাতে যত বেশি পারেন নামাজ পড়ুন, আল কোরআন তেলাওয়াত করুন, জিকির ও দোয়া করুন। যেন আল্লাহ্‌ তা’য়ালা আপনার আগের গুনাহ মাফ করে দেন এবং রহমত ও বরকত দান করেন। এ রাত নামাজসহ বিভিন্ন ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দিন।

দুই রাকআত করে সালাম ফিরিয়ে ন্যূনতম আট রাকআত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়লেই চলবে। কিছু ব্যতিক্রম নিয়মে সূরা ফাতেহার সঙ্গে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস পড়লেও অসুবিধার কারণ নেই।

“সুবাহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এ দোয়া পাঠ করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে।

শবে কদরের নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকাতায় সালাতিল লাইলাতিল কাদরি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ৪ রাকয়াত নামাজ কদরের রাতে আদায় করবে এবং উক্ত নামাজের প্রতি রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা ওই ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ করে দেবেন এবং বেহেশতের মধ্যে এক মনোমুগ্ধকর মহল তৈরি করে দেবেন।’

অপর এক হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রজনীতে ৪ রাকয়াত নামাজ আদায় করবে এবং উহার প্রতি রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পরে সূরা ক্বদর ও সূরা ইখলাছ তিনবার করে পাঠ করবে, নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়াটি কিছু সময় পাঠ করে আল্লাহর দরবারে যা-ই প্রার্থনা করবে তিনি তাই কবুল করবেন এবং তার প্রতি অসংখ্য রহমত বর্ষিত করবেন।’

দোয়াটি হলো : “সুবাহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”।

জিকির ও দোয়া: হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্ভোগ কমাতে ৯১ স্থানে সভা-সমাবেশ করার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের

শবে কদরের নামাজ আদায়ের নিয়ম ও ফজিলত !

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোনো একটি রাত হল শবে কদর। এ রাতের ফজিলত অন্য যেকোনো রাতের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। বলা যেতে পারে – এ রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবেন তত বেশি সওয়াব।

শবে কদরের রাতে যত বেশি পারেন নামাজ পড়ুন, আল কোরআন তেলাওয়াত করুন, জিকির ও দোয়া করুন। যেন আল্লাহ্‌ তা’য়ালা আপনার আগের গুনাহ মাফ করে দেন এবং রহমত ও বরকত দান করেন। এ রাত নামাজসহ বিভিন্ন ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দিন।

দুই রাকআত করে সালাম ফিরিয়ে ন্যূনতম আট রাকআত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়লেই চলবে। কিছু ব্যতিক্রম নিয়মে সূরা ফাতেহার সঙ্গে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস পড়লেও অসুবিধার কারণ নেই।

“সুবাহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এ দোয়া পাঠ করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে।

শবে কদরের নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকাতায় সালাতিল লাইলাতিল কাদরি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ৪ রাকয়াত নামাজ কদরের রাতে আদায় করবে এবং উক্ত নামাজের প্রতি রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা ওই ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ করে দেবেন এবং বেহেশতের মধ্যে এক মনোমুগ্ধকর মহল তৈরি করে দেবেন।’

অপর এক হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রজনীতে ৪ রাকয়াত নামাজ আদায় করবে এবং উহার প্রতি রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পরে সূরা ক্বদর ও সূরা ইখলাছ তিনবার করে পাঠ করবে, নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়াটি কিছু সময় পাঠ করে আল্লাহর দরবারে যা-ই প্রার্থনা করবে তিনি তাই কবুল করবেন এবং তার প্রতি অসংখ্য রহমত বর্ষিত করবেন।’

দোয়াটি হলো : “সুবাহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”।

জিকির ও দোয়া: হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে।