বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

শৈলকুপায় রমজানকে সামনে রেখে মিষ্টির পঁচা রস দিয়ে তৈরী হচ্ছে ভেজাল গুড় :জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে!

  • আপডেট সময় : ১০:২৮:১৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৪ মে ২০১৮
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মিষ্টির পঁচা রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে কৃত্তিম উপায়ে গুড় তৈরী করা হচ্ছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কৃত্তিম উপায়ে তৈরী এসকল বিষাক্ত গুড় ও পাটালী উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় বাজারজাত করা হচ্ছে। ধোকা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এসকল গুড় খেয়ে অনেকের পেটে সমস্যা হলেও আসল রোগ নির্নয় হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে চলেছেন উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের আলফাপুর গ্রামের সুশীল কুন্ডু। তিনি তার বসতবাড়ীতেই এ অবৈধ কারখানা বসিয়ে স্ত্রীকে সাথে নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, আলফাপুর গ্রামের চান মিয়ার প্রতিবেশী সুশীল কুন্ডু দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ও কারখানা থেকে মিষ্টির পরিত্যাক্ত রস সংগ্রহ করেন। এরপর তা বাড়ীতে এনে বড় বড় ৫/৬টি প্লাস্টিক ড্রামে করে দীর্ঘদিন মুখ আটকে রেখে পঁচানো হচ্ছে। এছাড়াও তার সংগ্রহে পুরাতন পঁচা গুড়ও রয়েছে। যে গুড়ের মধ্যে বিভিন্ন রকমের পোকা-মাকড় ও মাছি মরে পঁচে আছে। আর এই পুরাতন পঁচা গুড়ের সাথে মিষ্টির পঁচা রস, চিনি ও বিষাক্ত মেডিসিন মিশ্রন করে আগুনে জ্বালিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন রকম পাটালি ও খেজুরে গুড়। তৈরীর পর যা দেখলে মনে হবে এদকম আসল। এসকল পন্য বাজারজাতের উদ্দেশ্যে পাতিলজাত করার পর কোনটা আসল আর কোনটা কৃত্তিম উপায়ে তৈরী তা সাধারণ মানুষের ধরার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তৈরীকৃত এসকল গুড় মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে জানা গেছে। গুড়ে জাল চলাকালীন কারখানার মালিক ও কারিগর সুশীলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এভাবে দীর্ঘদনি ধরে গুড় তৈরি করে আসছেন। এ বিষয়ে ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ নেই। এই গুড় ও পাটালী শৈলকুপাসহ আশপাশ এলাকায় বিক্রি করে থাকেন। রমজানের মাসে গুড়ের চাহিদা বেশী থাকে। বিশেষ করে যখন অফ সিজেন তখন এই গুড়ের চাহিদা বাজারে বেশী থাকে। এ বছরের তৈরী করা গুড় আগামী বছরেও চালানো সম্ভব। কেননা কৃত্তিম উপায়ে তৈরী এসকল গুড় সহজে নষ্ট হয়না। তবে ওই সময় সুশীলকে গুড় খেতে বললে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, হাজার টাকা দিলেও এ গুড় আমার দ্বারা খাওয়া সম্ভব নয়। স্থানীয়রা জানায়, সুশীল তার প্রতিবেশী এক মাতব্বরের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন যাবৎ এই অপকর্ম করে আসছে। দ্রুত এই অবৈধ গুড় তৈরীর কারখানা উচ্ছেদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

শৈলকুপায় রমজানকে সামনে রেখে মিষ্টির পঁচা রস দিয়ে তৈরী হচ্ছে ভেজাল গুড় :জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে!

আপডেট সময় : ১০:২৮:১৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৪ মে ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মিষ্টির পঁচা রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে কৃত্তিম উপায়ে গুড় তৈরী করা হচ্ছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কৃত্তিম উপায়ে তৈরী এসকল বিষাক্ত গুড় ও পাটালী উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় বাজারজাত করা হচ্ছে। ধোকা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এসকল গুড় খেয়ে অনেকের পেটে সমস্যা হলেও আসল রোগ নির্নয় হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে চলেছেন উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের আলফাপুর গ্রামের সুশীল কুন্ডু। তিনি তার বসতবাড়ীতেই এ অবৈধ কারখানা বসিয়ে স্ত্রীকে সাথে নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, আলফাপুর গ্রামের চান মিয়ার প্রতিবেশী সুশীল কুন্ডু দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ও কারখানা থেকে মিষ্টির পরিত্যাক্ত রস সংগ্রহ করেন। এরপর তা বাড়ীতে এনে বড় বড় ৫/৬টি প্লাস্টিক ড্রামে করে দীর্ঘদিন মুখ আটকে রেখে পঁচানো হচ্ছে। এছাড়াও তার সংগ্রহে পুরাতন পঁচা গুড়ও রয়েছে। যে গুড়ের মধ্যে বিভিন্ন রকমের পোকা-মাকড় ও মাছি মরে পঁচে আছে। আর এই পুরাতন পঁচা গুড়ের সাথে মিষ্টির পঁচা রস, চিনি ও বিষাক্ত মেডিসিন মিশ্রন করে আগুনে জ্বালিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন রকম পাটালি ও খেজুরে গুড়। তৈরীর পর যা দেখলে মনে হবে এদকম আসল। এসকল পন্য বাজারজাতের উদ্দেশ্যে পাতিলজাত করার পর কোনটা আসল আর কোনটা কৃত্তিম উপায়ে তৈরী তা সাধারণ মানুষের ধরার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তৈরীকৃত এসকল গুড় মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে জানা গেছে। গুড়ে জাল চলাকালীন কারখানার মালিক ও কারিগর সুশীলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এভাবে দীর্ঘদনি ধরে গুড় তৈরি করে আসছেন। এ বিষয়ে ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ নেই। এই গুড় ও পাটালী শৈলকুপাসহ আশপাশ এলাকায় বিক্রি করে থাকেন। রমজানের মাসে গুড়ের চাহিদা বেশী থাকে। বিশেষ করে যখন অফ সিজেন তখন এই গুড়ের চাহিদা বাজারে বেশী থাকে। এ বছরের তৈরী করা গুড় আগামী বছরেও চালানো সম্ভব। কেননা কৃত্তিম উপায়ে তৈরী এসকল গুড় সহজে নষ্ট হয়না। তবে ওই সময় সুশীলকে গুড় খেতে বললে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, হাজার টাকা দিলেও এ গুড় আমার দ্বারা খাওয়া সম্ভব নয়। স্থানীয়রা জানায়, সুশীল তার প্রতিবেশী এক মাতব্বরের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন যাবৎ এই অপকর্ম করে আসছে। দ্রুত এই অবৈধ গুড় তৈরীর কারখানা উচ্ছেদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।