রিপোর্ট : ইমাম বিমান ঝালকাঠি :
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট সারাদেশের সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠন তথা সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” বিএমএসএফ। সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন বিএমএসএফ’র জন্মলগ্ন থেকেই সাংবাদিকদের হত্যা, নির্যাতন, নিপিড়ন, অপহরন, মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে আর তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট দেশের মফস্বল সাংবাদিক তথা দেশের সকল সাংবাদিকদের প্রানের ১৪ দফা দাবী তুলে আসছে আর তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” বিএমএসএফর পূর্বঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আসন্ন ৩ মে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম মুক্ত দিবসকে সামনে রেখে গত বছর ২০১৭ সাল থেকে “জাতীয় গনমাধ্যম সপ্তাহ” পালনের স্বীকৃতির দাবী জানিয়ে আসছে। তাই এ বছর ৩ মে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম মুক্ত দিবসকে সামনে রেখে গনমাধ্যমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে গনমাধ্যম সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে এবং ১মে থেকে ৭মে পর্যন্ত জাতীয় গনমাধ্যম সপ্তাহ পালনে পুনরায় সরকারের প্রতি স্মারকলিপি প্রদান করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবী জানান। সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও এর সাথে একত্বতা প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে (১ থেকে ৭মে) রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবী জানিয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।
“বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএমএসএফ’র ঢাকা জেলা কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১ টায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের হাত থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান সরকারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন। এ সময় বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, আইন উপদেষ্টা এ্যাড: কাওসার হোসাইন, কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জি: কামাল হোসেন, ঢাকা জেলা কমিটির উপদেষ্টা কলিম এম জায়েদী, যুগ্ম-আহবায়ক উজ্জ্বল ভুঁইয়া, সদস্য ইভা খন্দকার সম্মিলিত ভাবে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে বিভিন্ন পেশাজীবিদের জন্য পৃথক পৃথক দিবস ও সপ্তাহ রয়েছে। কিন্তু দূর্ভাগ্য দেশের একমাত্র এবং চতুর্থ স্তম্ভে থাকা গনমাধ্যম তথা সাংবাদিকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বতন্ত্র কোন দিবস অথবা কোন সপ্তাহ পালিত হয়না। তাই দেশ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিকদের জন্য পৃথক কোন দিবস বা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে না অথচ এই সাংবাদিক মহলই দেশ তথা বহিরবিশ্বে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশেকে বিশ্বের দরবারে উচ্চতর স্থানে পৌছানোর কাজ করে যাচ্ছে। গনমাধ্যমের এই সংগঠন গুলো ও সাংবাদিকদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তাদের দাবীগুলো কোথাও উত্থাপন করতে পারেনি। ফলে সাংবাদিকদের দাবীগুলো আজও বাস্তবায়ন হয়নি। গত ২০১৭ সাল ১ থেকে ৭ মে বিএমএসএফ’র আয়োজনে দেশে প্রথম জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ ২০১৭ উদযাপিত হয় এবং ৭ই মে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সপ্তাহটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবী সহ দফায় দফায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সারাদেশ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হল্ওে কোন সাড়া না প্ওায়ায় সাংবাদিকদের প্রানের দাবী তথা দেশের একমাত্র সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন বিএমএসএফ’র ১৪ দফা দাবী ও গনমাধ্যম সপ্তাহ উদযাপনে ১০এপ্রিল রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে আবারও স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
এ সময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের ১৪ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের শেষদিন আগামি ৭ মে গতবছরের ন্যায় ঢাকায় জাতীয় সমাবেশেরও ঘোষণা দেয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়; দেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম অঙ্গন আজও অরক্ষিত। এই অরক্ষিত গণমাধ্যম অঙ্গনকে ঢেলে সাজাতে সরকারের এখনি উদ্যোগ জরুরী। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে বার কাউন্সিলের আদলে প্রেস কাউন্সিলকে ঢেলে সাজাতে তাগাদা দিয়ে আসছিল। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল দেশের সাংবাদিক অঙ্গনকে দাবিয়ে রাখতে সরকারকে ভুল বুঝিয়ে সেই তিমিরে রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে সরকার সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড অনুমোদন করলেও মফস্বল জেলা/উপজেলা গুলোতে তার কিছুই পৌঁছেনা। জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবীতে ঢাকাসহ একযোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে জেলা প্রশাসক, তথ্য অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধামন্ত্রীর নিকট পাঠানো হয়।