বেরোবি প্রতিনিধি:
গুচ্ছভুক্ত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২০২৪-২৫ সেশনে শূন্য আসনে ভর্তি ফলাফলে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।কিন্তু প্রশাসন বলতেছে এটা শিক্ষার্থীদের বুঝার ভুল।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে প্রকাশিত ফলাফলে মেধাতালিকায় পেছনে থাকা অনেকেই ভর্তি হবেন বলে বিবেচিত হলেও চূড়ান্ত ভর্তির সুযোগ পাননি।এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ আমাদের থেকেও অনেক দূরে যাদের সিরিয়াল থাকার পরও সাবজেক্ট পাচ্ছে আর আমরা পেলাম না।এটা নিশ্চয় কোনো দূর্নীতি হয়েছে। কারন আমরা জানি আমাদের ভর্তি চূড়ান্ত হবে এইজন্য চট্টগ্রাম, যশোরসহ আরও কিছু দূরের জেলা থেকে এসেছি। এখন এসে এইসব অনিয়ম দেখতেছি।
এ বিষয়ে মেধাতালিকায় ১২৮২৮ থাকা সিরাতুন জান্নাত রুহি বলেন, আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের A ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আমাদের মধ্যে অনেকের মেধা অবস্থান অনুযায়ী শূন্য আসনে ভর্তির সুযোগ হওয়ার কথা থাকলেও, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের পরবর্তী মেধা অবস্থানের শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে, অথচ আমরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
এতে আমরা গভীরভাবে হতাশ ও বিভ্রান্ত। ভর্তি প্রক্রিয়ায় এ ধরনের অসঙ্গতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করেছে।
আমাদের দাবি, বিষয়টি তদন্ত করে সুবিচার নিশ্চিত করা হোক।
এ বিষয়ে একজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই ফাহিম হাসান রিফাত A unit এ পরীক্ষা দিয়েছিলো মেরিট পসিশন ১২৩২৭। গত ২৫ আগষ্ট গনবিজ্ঞপ্তি সাক্ষাতকারে এটেন্ড করেছিলো। গতকাল রাতে যে রেসাল্ট দিয়েছে সেখানে ১২৩২২ ও ১২৩৫৫ সাবজেক্ট পেয়েছে। অথচ তার সিরিয়াল ১২৩২৭ নাই। তার সাংবাদিকতায় ওয়েটিং সিরিয়াল ৬ ছিলো তার পরের মেরিট ধারীরা সাংবাদিকতা পেল অথচ তার সিরিয়াল নেই৷ এটা তো পিউর ধোকাবাজি আর দূর্নীতি মনে হচ্ছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, যে শিক্ষার্থীর মেরিট আগে আছে। সে যে সাবজেক্ট চয়েস দিয়েছে সেটাতে সিট খালি নেই। কিন্তু যে শিক্ষার্থী মেরিট পরে এবং সে যে সাবজেক্ট চয়েস দিয়েছে সেটাতে সিট খালি থাকায় মেরিটে পিছিয়ে থাকলেও সে শিক্ষার্থী সাবজেক্ট পেয়েছে ৷ এখানে মেরিট আগে বা পিছনে থাকার বিষয় না মূলত তাদের সাবজেক্ট চয়েস এবং আসন ফাঁকা থাকার ভিত্তিতে সাবজেক্ট পেয়েছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে ৬৮টি আসন ফাঁকা রেখে ৩৪ টি আসনে ভর্তি নেওয়া হয় কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে নোটিশ প্রকাশে ৬৮টি আসন ফাঁকা আছে উল্লেখ করে নোটিশ প্রকাশ করা হয়। তখন গুচ্ছের অফিশিয়াল মাইগ্রেশন চালু ছিল যার ফলে আসন কম বেশি হচ্ছিল। গুচ্ছের মাইগ্রেশন বন্ধ হওয়ার পরে ৩৪ টি আসন ফাঁকা হয়৷
জীব ও ভু বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. ইমদাদুল হক বলেন, যে শিক্ষার্থীদের মেরিট আগে থেকেও সাবজেক্ট পাইনি তাদের যে চয়েস তালিকা ছিল সে-ই সাবজেক্টগুলোতে আসন ফাঁকা ছিল না৷ আবার এমন হয়েছে যে মেরিট আগে থাকা শিক্ষার্থী সাবজেক্ট চয়েস দিয়েছে ৩/৪ টা যার কারণে বাকি সাবজেক্টগুলোতে আসন ফাঁকা থাকলেও তারা সাবজেক্ট পায়নি।
তিনি আরো বলেন যে, বিশ্বিবদ্যালয়ের ইন্টারনাল মাইগ্রেশনের পর ৩৪ টি আসন ফাঁকা থাকে। ওয়েবসাইটে যে ৬৮টি আসন ফাঁকা থাকার নোটিশ প্রকাশিত হয়েছিল সেটা গুচ্ছেের মাইগ্রেশান চালু থাকায় এমন দেখায়ে ছিল। মেরিট আগে থেকে সাবজেক্ট না পাওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ করছে সেটা ভুল বুঝে করছে৷