শিরোনাম :
Logo ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo খুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও খুবিসাস আয়োজিত কর্মশালা Logo কচুয়ার পূর্ব বিতারা জামালিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল Logo গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে ইবিতে মানববন্ধন Logo হাজীগঞ্জ রাজারগাঁও সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩ Logo নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ Logo ইবিতে এম.ফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo জেলা বিএনপির সভাপতির নামে মিথ্য গুজব ছড়ানের প্রতিবাদে পলাশবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল। Logo ভিপি নুরের ওপর হামলা দেশে সংকটের নতুন মাত্রা যোগ করবে :হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান Logo সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রফিকের  উপকূলীয় অঞ্চলে সংকট সমাধানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

কোটচাঁদপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক মাসের বিল দুইবার দিয়েও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:১৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিল বকেয়া রয়েছে এমন অভিযোগে গত ১৫ দিন আগে আবদুল গনি নামে এক গ্রাহকের বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়।ভুক্তভোগী গ্রাহক জানিয়েছেন, আগষ্ট, ২০১৬ মাসের বিল বকেয়া দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেই মাসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তার কাছ থেকে ২ বার বিল দিয়ে টাকা নিয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের ভিকু মন্ডলের ছেলে আবদুল গনি অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মহেশপুর জোনাল অফিসের আওতায় তার বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। তার হিসাব নং ৩২২-২১২০। ট্যারিফ-বি, মিটার নং-৩২১৫৭৯। গত ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে তার বাড়িতে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ১০৫৯ টাকার বিল পাঠানো হয়। তিনি তা রুপালী ব্যাংক কোটচাঁদপুর শাখায় জমা দেন। বিদ্যুৎ বিল জমা দেবার পরেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা তাকে জানান, বিল ব্যাংকে জমা হয়নি। আপনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

এর পরও তারা একই মাসের ১০৫৯ টাকার আরেকটি বিল তার হাতে ধরিয়ে দেন। সেটিও তিনি সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে জমা দেন। এর পরও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে টাকা জমা হয়নি এমন অজুহাত দেখিয়ে তার সংযোগটি বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আব্দুল গনি আরো অভিযোগ করেন, মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে গেলে একজন কর্মকর্তা তার কাছে সংযোগ দেবার জন্য উৎকোচ দাবি করেন। মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সুপারভাইজার জানান, কম্পিউটারের সফটওয়ারের কারণে মূলত এই সমস্যা হয়েছে। এছাড়াও ওই গ্রাহকের আগস্ট ১৭ থেকে অক্টোবর ১৭ পর্যন্ত ৩ মাসের বিলের টাকা বকেয়া ছিল। ফলে তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গনি সাহেব সকল বিল পরিশোধ করেছেন, তার বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার জন্য কোটচাঁদপুর অফিসে জানানো হয়েছে। মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম সফিক জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। বিলিং সুপারভাইজারের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

কোটচাঁদপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক মাসের বিল দুইবার দিয়েও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় : ১২:০৬:১৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিল বকেয়া রয়েছে এমন অভিযোগে গত ১৫ দিন আগে আবদুল গনি নামে এক গ্রাহকের বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়।ভুক্তভোগী গ্রাহক জানিয়েছেন, আগষ্ট, ২০১৬ মাসের বিল বকেয়া দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেই মাসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তার কাছ থেকে ২ বার বিল দিয়ে টাকা নিয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের ভিকু মন্ডলের ছেলে আবদুল গনি অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মহেশপুর জোনাল অফিসের আওতায় তার বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। তার হিসাব নং ৩২২-২১২০। ট্যারিফ-বি, মিটার নং-৩২১৫৭৯। গত ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে তার বাড়িতে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ১০৫৯ টাকার বিল পাঠানো হয়। তিনি তা রুপালী ব্যাংক কোটচাঁদপুর শাখায় জমা দেন। বিদ্যুৎ বিল জমা দেবার পরেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা তাকে জানান, বিল ব্যাংকে জমা হয়নি। আপনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

এর পরও তারা একই মাসের ১০৫৯ টাকার আরেকটি বিল তার হাতে ধরিয়ে দেন। সেটিও তিনি সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে জমা দেন। এর পরও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে টাকা জমা হয়নি এমন অজুহাত দেখিয়ে তার সংযোগটি বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আব্দুল গনি আরো অভিযোগ করেন, মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে গেলে একজন কর্মকর্তা তার কাছে সংযোগ দেবার জন্য উৎকোচ দাবি করেন। মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সুপারভাইজার জানান, কম্পিউটারের সফটওয়ারের কারণে মূলত এই সমস্যা হয়েছে। এছাড়াও ওই গ্রাহকের আগস্ট ১৭ থেকে অক্টোবর ১৭ পর্যন্ত ৩ মাসের বিলের টাকা বকেয়া ছিল। ফলে তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গনি সাহেব সকল বিল পরিশোধ করেছেন, তার বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার জন্য কোটচাঁদপুর অফিসে জানানো হয়েছে। মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম সফিক জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। বিলিং সুপারভাইজারের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।