শিরোনাম :
Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা Logo যুব সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ না থাকায় আজ যুব সমাজ অধপতনে নিমর্জিত ……..কে. এম ইয়াসিন রাশেদসানী Logo কচুয়ার কাদলা ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ‘পঞ্চায়েত’ আমার জীবন বদলে দিয়েছে Logo ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা হালকা থেকে মাঝারি

ঝিনাইদহের সেই রফিকুলের মৃত্যু, কোথায় যাবে জোমজ বোন রুমুু-ঝুম?

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:৪৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ মেধাবী দুই মেয়েকে জজ বানানো আশায় বেঁচে থাকার আকুতি ছিল রফিকুলের, কিন্তু চিকিৎসার সামর্থ ছিল না। এ নিয়ে ফেসবুক, নিউজ পোর্টাল ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলে ছয় লাখ টাকা পেয়েছিলো পরিবারটি। কিন্তু তা দিয়ে রফিকুলের নষ্ট হওয়া কিডনি বদল হয়নি। এই টাকা দিয়ে দীর্ঘ দশ মাস ঢাকায় থাকা আর চলেছে ডায়ালেসিস। অবশেষে মৃত্যু পেয়ালায় চুমুক দিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর গ্রামের মৃত আদিল উদ্দীন মালিথার ছেলে রফিকুল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। দুই মাস আগে রফিকুল যখন ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় যান তখন তিনি প্রতিবেশিদের বলেছিলেন আপনারা মেয়ে দুইটি দেখে রাখবেন। হ্যা তিনি তার জোমজ মেয়ে রুমু আর ঝুমুর কথাই বলেছিলেন। তার কথাটি এতো দ্রুত সত্য হবে তা বিশ্বাস হয়নি। স্ত্রী রওশন আরা ও কলেজ পড়–য়া জমজ দুই মেয়ের ভবিষ্যাত নিয়ে মৃত্যুপথ যাত্রী রফিকুল ইসলামের বরাবরই দুশ্চিন্তা ছিল।

তার অবর্তমানে মেয়ে দুইটি পড়া লেখা করতে পারবে, না বন্ধ হয়ে যাবে এ কথা বারবার বলতেন। ৫০ বছর বয়সী রফিকুলের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। সামান্য বেতনে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রফিকুল। চাকরীই ছিল তার একমাত্র ভরসা। এই চাকরীর টাকা দিয়ে তিনি ঝিনাইদহ শহরে বাসা ভাড়া করে দুই মেয়েকে লোখাপড়া করাতেন। রফিকুলের মৃত্যুর পর স্ত্রী রওশন আরা এবং দুই মেয়ে কোথায় আশ্রয় পাবেন ? কারণ তাদের তো গ্রামে কোন জায়গা জমি নেই। নেই ব্যাংকে কোন জমানো টাকা। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি কি অন্তত মেয়ে দুইটির পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে পারেন না? পরিবারটির সাথে যোগাযোগ ০১৬২১-৪২৮০৫৫, ০১৯১৫-০৯৫৯৮৬, ০১৬২১-৪২৮০৫৫। পরিশেষে রফিকুলের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারী পদস্থ কর্মকর্তা, দেশি বিদেশী বাংলাদেশী ভাইদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার অসহায় পরিবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রফিকুলকে তার নিজ গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সূচি

ঝিনাইদহের সেই রফিকুলের মৃত্যু, কোথায় যাবে জোমজ বোন রুমুু-ঝুম?

আপডেট সময় : ০৭:৫১:৪৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ মেধাবী দুই মেয়েকে জজ বানানো আশায় বেঁচে থাকার আকুতি ছিল রফিকুলের, কিন্তু চিকিৎসার সামর্থ ছিল না। এ নিয়ে ফেসবুক, নিউজ পোর্টাল ও পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলে ছয় লাখ টাকা পেয়েছিলো পরিবারটি। কিন্তু তা দিয়ে রফিকুলের নষ্ট হওয়া কিডনি বদল হয়নি। এই টাকা দিয়ে দীর্ঘ দশ মাস ঢাকায় থাকা আর চলেছে ডায়ালেসিস। অবশেষে মৃত্যু পেয়ালায় চুমুক দিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর গ্রামের মৃত আদিল উদ্দীন মালিথার ছেলে রফিকুল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। দুই মাস আগে রফিকুল যখন ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় যান তখন তিনি প্রতিবেশিদের বলেছিলেন আপনারা মেয়ে দুইটি দেখে রাখবেন। হ্যা তিনি তার জোমজ মেয়ে রুমু আর ঝুমুর কথাই বলেছিলেন। তার কথাটি এতো দ্রুত সত্য হবে তা বিশ্বাস হয়নি। স্ত্রী রওশন আরা ও কলেজ পড়–য়া জমজ দুই মেয়ের ভবিষ্যাত নিয়ে মৃত্যুপথ যাত্রী রফিকুল ইসলামের বরাবরই দুশ্চিন্তা ছিল।

তার অবর্তমানে মেয়ে দুইটি পড়া লেখা করতে পারবে, না বন্ধ হয়ে যাবে এ কথা বারবার বলতেন। ৫০ বছর বয়সী রফিকুলের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। সামান্য বেতনে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রফিকুল। চাকরীই ছিল তার একমাত্র ভরসা। এই চাকরীর টাকা দিয়ে তিনি ঝিনাইদহ শহরে বাসা ভাড়া করে দুই মেয়েকে লোখাপড়া করাতেন। রফিকুলের মৃত্যুর পর স্ত্রী রওশন আরা এবং দুই মেয়ে কোথায় আশ্রয় পাবেন ? কারণ তাদের তো গ্রামে কোন জায়গা জমি নেই। নেই ব্যাংকে কোন জমানো টাকা। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি কি অন্তত মেয়ে দুইটির পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে পারেন না? পরিবারটির সাথে যোগাযোগ ০১৬২১-৪২৮০৫৫, ০১৯১৫-০৯৫৯৮৬, ০১৬২১-৪২৮০৫৫। পরিশেষে রফিকুলের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারী পদস্থ কর্মকর্তা, দেশি বিদেশী বাংলাদেশী ভাইদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার অসহায় পরিবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রফিকুলকে তার নিজ গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।