শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

৩ দিন পর কবর চিল্লা থেকে উঠলেন নবীগঞ্জের ‘জিন্দা বাবা’

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে
মো: সুমন আলী খাঁন, নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তিনদিন কবরে থাকার পর  মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ৭০ বছর বয়সী ‘জিন্দা বাবা’ কে জীবিত অবস্থায় কবর থেকে তুলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে জিন্দা শাহ নামের ওই কথিত পীর স্বেচ্ছায় কবরে অবস্থান নিয়েছিলো। ওই বৃদ্ধের নাম জিতু মিয়া হলেও সবাই তাঁকে ‘জিন্দাবাবা’ নামে চিনে।
জিতু মিয়া ওরপে জিন্দা বাবা এর আগেও একাধিকবার হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে কবরবাসে গিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।
‘জিন্দা বাবা’ দাবী করছেন, গত ৪৫ বছর ধরে তিনি ভারতসহ দেশের বিভিন্ন মাজারে গিয়ে‘সাধনা’ করেছেন। তিনি হবিগঞ্জ শহরতলীর মরহুম আধ্যাত্মিক সাধক দেওয়ান মাহবুব রাজার ভক্ত। মাহবুব রাজার কাছ থেকে ‘চিল্লা’য় যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। ‘চিল্লা’ মানে তার ভাষ্যে- ‘কবরে প্রবেশ করা’ । জিন্দা বাবা বলেন, ‘এর আগে ১১ বার আমি চিল্লায় গিয়েছি। আর এটাই আমার শেষ চিল্লা।’
এর আগে জিন্দা শাহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুকুরের পানিতে ভেসে বেড়িয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন।
এদিকে গত শনিবার রাত ৩ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ির ঘরের ভিতরে কবর কনন করে ‘জিন্দাবাবা’ স্বেচ্ছায় কবরবাসে যান। কবরবাসে যাওয়ার আগে একটি চিরকুটে লিখে রেখেছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় যেন তাকে কবর থেকে তুলা হয়। তার কথা মতো আজ  মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় কবর থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে জিন্দাবাবার কবর চিল্লা আজগবি খবরে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।   বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা জিন্দা বাবাকে দেখার জন্য ভীড় জমায় তার বাড়িতে।
তবে ইসলাম ধর্মে এসব কবর চিল্লার নামে কোন কিছ নেই এবং এসব ইসলামের নামে তামাশা বলেও মন্তব্য করছেন নবীগঞ্জ ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান শায়খ মাওলানা আব্দুর রকীব হক্কানি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

৩ দিন পর কবর চিল্লা থেকে উঠলেন নবীগঞ্জের ‘জিন্দা বাবা’

আপডেট সময় : ০৫:১০:৫৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
মো: সুমন আলী খাঁন, নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তিনদিন কবরে থাকার পর  মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ৭০ বছর বয়সী ‘জিন্দা বাবা’ কে জীবিত অবস্থায় কবর থেকে তুলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে জিন্দা শাহ নামের ওই কথিত পীর স্বেচ্ছায় কবরে অবস্থান নিয়েছিলো। ওই বৃদ্ধের নাম জিতু মিয়া হলেও সবাই তাঁকে ‘জিন্দাবাবা’ নামে চিনে।
জিতু মিয়া ওরপে জিন্দা বাবা এর আগেও একাধিকবার হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে কবরবাসে গিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।
‘জিন্দা বাবা’ দাবী করছেন, গত ৪৫ বছর ধরে তিনি ভারতসহ দেশের বিভিন্ন মাজারে গিয়ে‘সাধনা’ করেছেন। তিনি হবিগঞ্জ শহরতলীর মরহুম আধ্যাত্মিক সাধক দেওয়ান মাহবুব রাজার ভক্ত। মাহবুব রাজার কাছ থেকে ‘চিল্লা’য় যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। ‘চিল্লা’ মানে তার ভাষ্যে- ‘কবরে প্রবেশ করা’ । জিন্দা বাবা বলেন, ‘এর আগে ১১ বার আমি চিল্লায় গিয়েছি। আর এটাই আমার শেষ চিল্লা।’
এর আগে জিন্দা শাহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুকুরের পানিতে ভেসে বেড়িয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন।
এদিকে গত শনিবার রাত ৩ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ির ঘরের ভিতরে কবর কনন করে ‘জিন্দাবাবা’ স্বেচ্ছায় কবরবাসে যান। কবরবাসে যাওয়ার আগে একটি চিরকুটে লিখে রেখেছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় যেন তাকে কবর থেকে তুলা হয়। তার কথা মতো আজ  মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় কবর থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে জিন্দাবাবার কবর চিল্লা আজগবি খবরে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।   বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা জিন্দা বাবাকে দেখার জন্য ভীড় জমায় তার বাড়িতে।
তবে ইসলাম ধর্মে এসব কবর চিল্লার নামে কোন কিছ নেই এবং এসব ইসলামের নামে তামাশা বলেও মন্তব্য করছেন নবীগঞ্জ ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান শায়খ মাওলানা আব্দুর রকীব হক্কানি।