বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

নবীগঞ্জে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরির ধুম

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭
  • ৮৩০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ কার্তিক মাসের মধ্যভাগ থেকে গ্রামীণ জনপদে শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরু করে। শীত জেকে বসার আগে তাই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে নবীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই। নবীগঞ্জের পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। এ ছাড়া শীতের সময় কাঁথা, কম্বল, চাদর বা শাল, শীতের টুপি, হাতমোজা, মাফলার, জাজিম ও কার্পেটের ব্যবহার ও বিক্রি বেড়ে যায়। ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। গ্রাম-বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘আশ্বিন মাস এলেই শীতের কারণে মানুষের গা শিরশির করে।’ কিন্তু এখন কার্তিক মাসের শেষ ভাগে সকাল হলেই ঘন কুয়াশা আর শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে নবীগঞ্জ এলাকার মানুষের। সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয় ব্যস্থতা। প্রতিবছরের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শীতকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নবীগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট এলাকা ও গলির মোড়ে গড়ে ওঠা লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। পৌর শহরের লেপ-তোষকের মার্কেট ঘুরে কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল এই শীত এলো বলে! কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহরের ১০টি লেপ-তোষকের দোকানের প্রায় সবকটিতেই ছিল অর্ডার দিতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একই দ”শ্য চোখে পড়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

নবীগঞ্জে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরির ধুম

আপডেট সময় : ০৬:৩১:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ কার্তিক মাসের মধ্যভাগ থেকে গ্রামীণ জনপদে শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরু করে। শীত জেকে বসার আগে তাই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে নবীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই। নবীগঞ্জের পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। এ ছাড়া শীতের সময় কাঁথা, কম্বল, চাদর বা শাল, শীতের টুপি, হাতমোজা, মাফলার, জাজিম ও কার্পেটের ব্যবহার ও বিক্রি বেড়ে যায়। ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। গ্রাম-বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘আশ্বিন মাস এলেই শীতের কারণে মানুষের গা শিরশির করে।’ কিন্তু এখন কার্তিক মাসের শেষ ভাগে সকাল হলেই ঘন কুয়াশা আর শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে নবীগঞ্জ এলাকার মানুষের। সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয় ব্যস্থতা। প্রতিবছরের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শীতকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নবীগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট এলাকা ও গলির মোড়ে গড়ে ওঠা লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। পৌর শহরের লেপ-তোষকের মার্কেট ঘুরে কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল এই শীত এলো বলে! কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহরের ১০টি লেপ-তোষকের দোকানের প্রায় সবকটিতেই ছিল অর্ডার দিতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একই দ”শ্য চোখে পড়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে।