শিরোনাম :
Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo বিএনপি নেতা ডা. রফিকের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন তারেক রহমান Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি : সালাহউদ্দিন আহমদ Logo যবিপ্রবির অভ্যন্তরীণ রাস্তায় খানাখন্দ-জলাবদ্ধতা , নিত্যদিনের সঙ্গী দুর্ভোগ Logo কচুয়ায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উপকরণ পেল দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রীরা Logo ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন Logo সিরাজগঞ্জে গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনি, দুইজন নিহত Logo জুলাই-আগস্ট বিপ্লবই আগামী দিনের পথ নির্দেশিকা: ইবি উপাচার্য

সাত খুন ক্ষমার অযোগ্য: অ্যাটর্নি জেনারেল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১০:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। নিম্ন আদালত আসামিদের যে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিয়েছে, সেটাই বহাল থাকা উচিত।

গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাত খুনের মামলায় হাইকোর্টের রায়ের দিন ধার্য হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মামলার শুনানি আজকে শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আদালতে আমাদের সাবমিশনে আমরা বলেছি, যে ধরনের খুন এরা করেছে, এটা ক্ষমার অযোগ্য। নিম্ন আদালত তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিয়েছে, সেটাই বহাল থাকা উচিত। নজরুল ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে নূর হোসেন এই খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং পরবর্তী সময় নজরুল ইসলামকে খুন করতে গিয়ে বাকিদের খুন করে ফেলে। এর সঙ্গে একজন আইনজীবীও প্রাণ হারিয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক। এরকমভাবে দিনে-দুপুরে মানুষকে অপহরণ করে নিয়ে যেভাবে মেরে ফেলা হয়েছে, যে কায়দায় মারা হয়েছে, তার দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদেরকে মারতে হবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাত দিন আগে। টিম ঠিক করা হয়েছে সাত দিন আগে। যে দিন তাদের মারার জন্য ধরা হবে, সেদিন যে সমস্ত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে কাজ করানো হবে তাদের নিয়ে গাড়ি রওয়ানা হয়েছে। ধরার বাহানা করে তাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদী নিয়ে ফের নারায়ণগঞ্জ না এনে ট্রলারে করে মেঘনা নদীর মোহনায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। বস্তাভর্তি ইট, বালু লাশের সাথে বেঁধে তাদের ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।   উদ্দেশ্য ছিল যেন হত্যাকাণ্ডের কোন নিশানাও না পাওয়া যায় এবং লাশ যাতে কোনোভাবে ভেসে না উঠে। এ ধরনের প্রিপ্ল্যান এবং সিস্টেমেটিক মার্ডার বাংলাদেশে আগে হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, শাস্তিটা বহাল থাকা প্রয়োজন এই জন্য, যেহেতু এ হত্যার সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু সদস্য জড়িত আছে। এতে জনগণ বুঝবে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না- সে যে বাহিনীই হোক, যে লোকই হোক না কেন।  এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি পদক্ষেপ। আইনের চোখে সবাই সমান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন

সাত খুন ক্ষমার অযোগ্য: অ্যাটর্নি জেনারেল !

আপডেট সময় : ১২:১০:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। নিম্ন আদালত আসামিদের যে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিয়েছে, সেটাই বহাল থাকা উচিত।

গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাত খুনের মামলায় হাইকোর্টের রায়ের দিন ধার্য হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মামলার শুনানি আজকে শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আদালতে আমাদের সাবমিশনে আমরা বলেছি, যে ধরনের খুন এরা করেছে, এটা ক্ষমার অযোগ্য। নিম্ন আদালত তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিয়েছে, সেটাই বহাল থাকা উচিত। নজরুল ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে নূর হোসেন এই খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং পরবর্তী সময় নজরুল ইসলামকে খুন করতে গিয়ে বাকিদের খুন করে ফেলে। এর সঙ্গে একজন আইনজীবীও প্রাণ হারিয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক। এরকমভাবে দিনে-দুপুরে মানুষকে অপহরণ করে নিয়ে যেভাবে মেরে ফেলা হয়েছে, যে কায়দায় মারা হয়েছে, তার দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদেরকে মারতে হবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাত দিন আগে। টিম ঠিক করা হয়েছে সাত দিন আগে। যে দিন তাদের মারার জন্য ধরা হবে, সেদিন যে সমস্ত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে কাজ করানো হবে তাদের নিয়ে গাড়ি রওয়ানা হয়েছে। ধরার বাহানা করে তাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদী নিয়ে ফের নারায়ণগঞ্জ না এনে ট্রলারে করে মেঘনা নদীর মোহনায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। বস্তাভর্তি ইট, বালু লাশের সাথে বেঁধে তাদের ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।   উদ্দেশ্য ছিল যেন হত্যাকাণ্ডের কোন নিশানাও না পাওয়া যায় এবং লাশ যাতে কোনোভাবে ভেসে না উঠে। এ ধরনের প্রিপ্ল্যান এবং সিস্টেমেটিক মার্ডার বাংলাদেশে আগে হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, শাস্তিটা বহাল থাকা প্রয়োজন এই জন্য, যেহেতু এ হত্যার সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু সদস্য জড়িত আছে। এতে জনগণ বুঝবে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না- সে যে বাহিনীই হোক, যে লোকই হোক না কেন।  এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি পদক্ষেপ। আইনের চোখে সবাই সমান।