শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

ছয় রাজাকারের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ১২ মার্চ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮০৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ (৮৬) ছয়জনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এই ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।

এ মামলায় অন্য পাঁচ আসামি হলেন- জাছিজার রহমান  ওরফে খোকা (৬৪), আজগর হোসেন খান (৬৬), মোন্তাজ আলী ব্যাপারী (৬৮), আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল (৬২) ও মো. রনজু মিয়া (৫৯)। এদের মধ্যে শুধু রনজু মিয়া গ্রেপ্তার রয়েছেন। বাকী সবাই পলাতক। এরা সবাই জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

তাদের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ :

এক নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাকিস্তান দখলকার সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য গাইবান্ধা জেলার সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামে হামলা করে। তারা অম্বিকা চরন সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনা রানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিদুর এবং হাতের শাখা ভেঙে দিয়ে ছেড়ে দেয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ : গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট নয়জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল ‍লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

তৃতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে।

চতুর্থ অভিযোগ : গাইবান্ধার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

ছয় রাজাকারের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ১২ মার্চ!

আপডেট সময় : ১২:৩৬:১৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ (৮৬) ছয়জনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এই ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।

এ মামলায় অন্য পাঁচ আসামি হলেন- জাছিজার রহমান  ওরফে খোকা (৬৪), আজগর হোসেন খান (৬৬), মোন্তাজ আলী ব্যাপারী (৬৮), আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল (৬২) ও মো. রনজু মিয়া (৫৯)। এদের মধ্যে শুধু রনজু মিয়া গ্রেপ্তার রয়েছেন। বাকী সবাই পলাতক। এরা সবাই জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

তাদের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ :

এক নম্বর অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরে জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাকিস্তান দখলকার সেনাবাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য গাইবান্ধা জেলার সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামে হামলা করে। তারা অম্বিকা চরন সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনা রানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিদুর এবং হাতের শাখা ভেঙে দিয়ে ছেড়ে দেয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ : গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট নয়জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল ‍লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

তৃতীয় অভিযোগ: গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে।

চতুর্থ অভিযোগ : গাইবান্ধার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।