মতলব দক্ষিণে ভুমিদস্যু মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর মানববন্ধন:
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩ নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের গড়ে ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ভুমিদস্যু মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) গরেভাঙা ভড়াটকৃত খালের পারে দখল মুক্ত খাল ও হয়রাণী মূলক মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা সহ এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইফতেকার আহমেদ, কাজল তালুকদার, শাহাজালাল তালুকদার, মহসিন প্রধান, জসিম প্রধান, মোঃ তাফাজ্জল হোসেন, শাহ আলম তালুকদার, হান্নান প্রধান, নাছির প্রধান, রেজাউল করিম, আনোয়ার হোসেন, মোঃ সয়ন, আরিফ, সিয়াম, হাওয়া বেগম, মিনু আক্তার, রেজিয়া পারভিন, সুলতানা আক্তার, আছমা বেগম, লাইলুন নাহার, খোদেজা বেগমসহ শত শত এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামীলীগ নেতা ও ভুমিদস্যু মনিরুজ্জামান সরকারি খাল দখল করে কবরস্থান তৈরির অপপ্রচার চালায়, খাল ভড়াট করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরে, তবে ক্ষমতার পালা বদলে নিজেকে এখন বিএনপির নেতা দাবি করে এলাকাবাসীর উপরে হামলা ও মামলার হয়রানি করে আসছে।
তার ভিত্তিতেই এলাকাবাসী ও কৃষকরা মতলব দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসার ভান্মমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৭ দিনর জেল ও ৫’শ টাকা জরিমানা করেন।
কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বনে উঠেন বিএনপির নেতা।জানাযায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩ নং খাদেরগাঁও ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড গড়ে ভাঙা গ্রাম ৩ নং খাদের গাঁও ইউনিয়ন সরকারি এই খালটি পুটিয়া থেকে খাদেরগাঁও বাজার হয়ে মেঘনা ধনাগোধা নদী সাথে সংযুক্ত হওয়ায় ইউনিয়নের পানি অপসারণ হয়, কিন্তু ওই জৈনিক নেতা কবরস্থান নামে খালের অর্ধেক অংশ ভড়াট করে দখলের নামে শুস্ক মৌসুমে খালের মাঝ বরাবর বাধ দিয়ে ভড়াট কাজ করলে এলাকার কৃষক সহ সাধারণ মানুষ বাধা প্রদান করে।
কিন্তু জৈনিক তাদের বাধা উপেক্ষা করে নিজের খাম খেয়ালী ভড়াট কাজ চলমান রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসির পক্ষে
মোঃ হালিম তালুকদার গত ১ জুন মতলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ টি তদন্তের জন্য এ্যসিলেন্ড জাবেদ আহাম্মেদ পাটোয়ারিকে নির্দেশ দিলে নায়েরগাঁও ভূমি কর্মকর্তা দীপক সাহা ঘটনাস্থলে তদন্ত করে খাল দখলের সত্যতা পেয়ে দখলদারকে বাঁধ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি কোন কর্ণপাত না করে কাজের অগ্রগতি চালিয়ে যান।
পরে তহসিলদার কয়েকবার ঘটনাস্থল এসে আবারও সময় দিয়ে সমাদান না হলে তাৎক্ষণিক এ্যাসিলেন্ডকে অবগত করলে ১৮ ই জুন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ্যাসিলেন্ড নিজেই মনিরুজ্জামান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা কে ৭ দিনের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ও ৫ শত টাকা জরিমানা করেন।
এর পরে কারাবরণ শেষে এলাকায় এসে অভিযোগ কারি ও বাধা প্রধান কারিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দমকি প্রধান সহ মির্থা হয়রানি মূলক মামলা করার হুমকি প্রধান করে গত ১৪ আগষ্ট ৫৫৭-২০২৫ মোকাম বিঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চাঁদপুর ১০৭-১১৭ (সি) ধারায় মোঃ জসিম পিতা মৃত হাবিবুল্লাহ প্রধান কে ১ নং আসামি করে মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বাকি আসামিরা হললো: ২ মোঃ জাকির হোসেন কাজল তালুকদার, এবি বি এম মুছা, হালিম তালুকদার, মোঃ আনিছ তালুকদার, সেলিম তালুকদার, মোঃ শাহ আলম তালুকদার, মোঃ মহসিন।ভুমিদস্যু মনিরুজ্জামানকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই এলাকাবাসী। এসময় শতাধিক এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেয়।