বীরগঞ্জ পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি– দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পুলিশ রেইড ব্লাক অভিযান পরিচালনা করে ১ রাতে জামায়াত নেতা সহ ৪১ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
বীরগঞ্জ থানার পুলিশ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৯৯টি ওয়ার্ড ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রেইড ব্লাক অভিযান পরিচালনা করে জামায়াত নেতা সহ ৪১ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে বুধবার ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজ আবু আক্কাস সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক ব্যবস্যায়ী ও সেবনকারী ১৬ জন, জুয়ারু ৭ জন সহ জঙ্গী ও জেএমবি অপতৎপরতা চালিয়ে জনগনের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী এবং বিভিন্ন মামলায় যারা আদালতের আদেশ অমান্য করে পুলিশের চোখকে ফাকি দিয়ে বাড়ীতে যাতয়াত করছিল তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে জামায়াত নেতা শতগ্রাম ইউনিয়নের গড়ফতু গ্রামে মৃত ফকির সোনাউল্লার নাতি ও মোঃ শামসুল ফকিরের পুত্র বাগদাদ গ্রুপের মালিক বর্তমান চেয়ারম্যান ডাঃ কে এম কুতুব উদ্দিনের শ্যলক মোঃ সোলেমান আলী (৩৬)।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সোলাইমান জামাত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান কেএম কুতুব উদ্দিনের সহায়তায়, পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ মদদে এলাকায় দির্ঘদিন থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। সোলায়মানের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র জাল টাকা তৈরি, অবৈধ ডলার প্রতারণা, কষ্টি পাথর, ভুমি দস্যুতা সহ নানা অপকর্মের সাথে চক্রটি জড়িত রয়েছে। তার পিতা সামসুল ফকির ফুটপাতে বাদাম/কটকটি বিক্রয় করতো বলে জানা গেছে। নাশকতাসহ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ঝাড়বাড়ী বটতলা সরকারী জায়গা দখল করে বালু ব্যবসার কাজে ব্যবহার এর অভিযোগ রয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে সোলাইমান দ্রুত ফকিরের নাতি হয়ে কোটিপতি হওয়ার ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জ পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি– দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পুলিশ রেইড ব্লাক অভিযান পরিচালনা করে ১ রাতে জামায়াত নেতা সহ ৪১ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
বীরগঞ্জ থানার পুলিশ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৯৯টি ওয়ার্ড ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রেইড ব্লাক অভিযান পরিচালনা করে জামায়াত নেতা সহ ৪১ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে বুধবার ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজ আবু আক্কাস সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক ব্যবস্যায়ী ও সেবনকারী ১৬ জন, জুয়ারু ৭ জন সহ জঙ্গী ও জেএমবি অপতৎপরতা চালিয়ে জনগনের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী এবং বিভিন্ন মামলায় যারা আদালতের আদেশ অমান্য করে পুলিশের চোখকে ফাকি দিয়ে বাড়ীতে যাতয়াত করছিল তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে জামায়াত নেতা শতগ্রাম ইউনিয়নের গড়ফতু গ্রামে মৃত ফকির সোনাউল্লার নাতি ও মোঃ শামসুল ফকিরের পুত্র বাগদাদ গ্রুপের মালিক বর্তমান চেয়ারম্যান ডাঃ কে এম কুতুব উদ্দিনের শ্যলক মোঃ সোলেমান আলী (৩৬)।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সোলাইমান জামাত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান কেএম কুতুব উদ্দিনের সহায়তায়, পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ মদদে এলাকায় দির্ঘদিন থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। সোলায়মানের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র জাল টাকা তৈরি, অবৈধ ডলার প্রতারণা, কষ্টি পাথর, ভুমি দস্যুতা সহ নানা অপকর্মের সাথে চক্রটি জড়িত রয়েছে। তার পিতা সামসুল ফকির ফুটপাতে বাদাম/কটকটি বিক্রয় করতো বলে জানা গেছে। নাশকতাসহ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ঝাড়বাড়ী বটতলা সরকারী জায়গা দখল করে বালু ব্যবসার কাজে ব্যবহার এর অভিযোগ রয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে সোলাইমান দ্রুত ফকিরের নাতি হয়ে কোটিপতি হওয়ার ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।