শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

টেকনাফে ডিবি পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে আসামী কেড়ে নিল জনতা: ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ? অপরাধীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা আটক-৩

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:০৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুল ইসলাম , টেকনাফ :  টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নে একটি বাড়িতে মওজুদ কৃত ইয়াবা উদ্ধারের জন্য ডিবি পুলিশ অভিযানে গিলে বাড়ির লোকজন হয়রানী অভিযোগ এনে ডিবি পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও কওে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ ও আটককৃত আসামীদের ছিনতাই করার চেষ্টা চালায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ১২ জুলাই বুধবার রাতে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নে সিকদার পাড়া এলাকায় কক্সবাজার ডিবি পুলিশের একটি দল ইয়াবা মওজুদ রাখার গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায়। এর পর মৃত জহির আহম্মদের স্ত্রী রেহেনা বেগমের বাড়িতে তল্লাশী করে একটি হাড়ি ভর্তি লুকিয়ে রাখা ৫ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। ইয়াবা রাখার অপরাধে রেহেনা বেগমকে আটক কওে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। বাড়িতে থাকা মহিলারা সু-চিৎকারের স্থানীয় বিক্ষোদ্ধ জনতা এগিয়ে এসে ডিবি পুলিশ সদস্যদেও কাছ থেকে আটককৃত আসামীদের ছিনতা করা চেষ্টা চালা করে তাদেরকে ঘেরাও কওে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ডিবি পুলিশের দল প্রায় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই ঘটনা খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর হোসেন ও প্যানেল চেয়ারম্যান শামশুল আলম বিক্ষোদ্ধ জনতার হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরির্দশক এস আই কামাল হোসেন জানান, সাবরাং ইউনিয়ন সিকদার পাড়া মৃত জহির আহম্মদের স্ত্রী রেহেনা বেগমের বাড়িতে ইয়াবা মওজুদ রাখার গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায়, এরপর তাদের বসত বাড়িতে তল্লাশী করে একটি হাড়ি থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এবং জড়িত থাকার অপরাধে রেহেনা বেগমকে আটক করা হয়। এর পর আসার পথে স্থানীয় কিছু লোকজন ছুটে এসে আমাদের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার পর থানায় এসে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পৃথক ২ টি মামলা রুজু করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানা সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত মামলা গুলো তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাহির উদ্দিন একই দিন গভীর রাতে পুলিশের একটি টিম সাবরাং সিকদার পাড়া অভিযান পরিচালনা কওে ৩ জন যুবককে আটক করে। তারা হচ্ছে, শামশুল আলম, নুরুল আবছার, দিদার আলম। আটককৃত তিন যুবক ডিবি পুলিশের কাজে বাধা ও তাদের উপর হামলা করার ঘটনায় এজাহার ভুক্ত আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা রুজু করেছে ডিবি পুলিশ। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী ২০ জন অজ্ঞাতনামীয় আসামী ৭০-৮০ জন। ৩৭ মাদক মামলায় রুজু করা হয়।
এই ঘটনায় টেকনাফ উপজেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সদস্যরা মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যে অভিযান করছে। সেই অভিযানে সাধারণ মানুষরাও হয়রানী শিকার হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, অপরাধীদের আটক করতে গিয়ে কোন সাধারন মানুষ যেন হয়রানী শিকার না হয়, সেই দিকে সকল প্রশাসনের সদস্যদের নজর রাখতে হবে। তার পাশাপাশি যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে না আসলে সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার মত ঘৃন্য ব্যবসা এলাকা থেকে কোন দিন বন্ধ হবে না।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খাঁন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাদক উদ্ধারে পুলিশের কঠোর ভুৃমিকা ও সাড়াঁশি অভিযানে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা আতংকে রয়েছে। এবং পুলিশের এই অভিযানে বাধা প্রধান করে মাদক ব্যবসায়ীরা ডিবি পুলিশের উপর হামলা করে। এটি জগণ্য অপরাধ জন্ম দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই ঘৃণ্য ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা হবে। তার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

টেকনাফে ডিবি পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে আসামী কেড়ে নিল জনতা: ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ? অপরাধীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা আটক-৩

আপডেট সময় : ০৩:১৪:০৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭

হাবিবুল ইসলাম , টেকনাফ :  টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নে একটি বাড়িতে মওজুদ কৃত ইয়াবা উদ্ধারের জন্য ডিবি পুলিশ অভিযানে গিলে বাড়ির লোকজন হয়রানী অভিযোগ এনে ডিবি পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও কওে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ ও আটককৃত আসামীদের ছিনতাই করার চেষ্টা চালায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ১২ জুলাই বুধবার রাতে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নে সিকদার পাড়া এলাকায় কক্সবাজার ডিবি পুলিশের একটি দল ইয়াবা মওজুদ রাখার গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায়। এর পর মৃত জহির আহম্মদের স্ত্রী রেহেনা বেগমের বাড়িতে তল্লাশী করে একটি হাড়ি ভর্তি লুকিয়ে রাখা ৫ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। ইয়াবা রাখার অপরাধে রেহেনা বেগমকে আটক কওে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। বাড়িতে থাকা মহিলারা সু-চিৎকারের স্থানীয় বিক্ষোদ্ধ জনতা এগিয়ে এসে ডিবি পুলিশ সদস্যদেও কাছ থেকে আটককৃত আসামীদের ছিনতা করা চেষ্টা চালা করে তাদেরকে ঘেরাও কওে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ডিবি পুলিশের দল প্রায় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই ঘটনা খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর হোসেন ও প্যানেল চেয়ারম্যান শামশুল আলম বিক্ষোদ্ধ জনতার হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরির্দশক এস আই কামাল হোসেন জানান, সাবরাং ইউনিয়ন সিকদার পাড়া মৃত জহির আহম্মদের স্ত্রী রেহেনা বেগমের বাড়িতে ইয়াবা মওজুদ রাখার গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায়, এরপর তাদের বসত বাড়িতে তল্লাশী করে একটি হাড়ি থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এবং জড়িত থাকার অপরাধে রেহেনা বেগমকে আটক করা হয়। এর পর আসার পথে স্থানীয় কিছু লোকজন ছুটে এসে আমাদের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার পর থানায় এসে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পৃথক ২ টি মামলা রুজু করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানা সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত মামলা গুলো তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাহির উদ্দিন একই দিন গভীর রাতে পুলিশের একটি টিম সাবরাং সিকদার পাড়া অভিযান পরিচালনা কওে ৩ জন যুবককে আটক করে। তারা হচ্ছে, শামশুল আলম, নুরুল আবছার, দিদার আলম। আটককৃত তিন যুবক ডিবি পুলিশের কাজে বাধা ও তাদের উপর হামলা করার ঘটনায় এজাহার ভুক্ত আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা রুজু করেছে ডিবি পুলিশ। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী ২০ জন অজ্ঞাতনামীয় আসামী ৭০-৮০ জন। ৩৭ মাদক মামলায় রুজু করা হয়।
এই ঘটনায় টেকনাফ উপজেলার সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সদস্যরা মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যে অভিযান করছে। সেই অভিযানে সাধারণ মানুষরাও হয়রানী শিকার হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, অপরাধীদের আটক করতে গিয়ে কোন সাধারন মানুষ যেন হয়রানী শিকার না হয়, সেই দিকে সকল প্রশাসনের সদস্যদের নজর রাখতে হবে। তার পাশাপাশি যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে না আসলে সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার মত ঘৃন্য ব্যবসা এলাকা থেকে কোন দিন বন্ধ হবে না।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খাঁন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাদক উদ্ধারে পুলিশের কঠোর ভুৃমিকা ও সাড়াঁশি অভিযানে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা আতংকে রয়েছে। এবং পুলিশের এই অভিযানে বাধা প্রধান করে মাদক ব্যবসায়ীরা ডিবি পুলিশের উপর হামলা করে। এটি জগণ্য অপরাধ জন্ম দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই ঘৃণ্য ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা হবে। তার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।