শনিবার | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী 

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সংবাদদাতা, মেহেরপুর ১১ই জুলাই ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গাতে সেকেন্দার আলী হত্যা মামলায় আব্দুল জাব্বার নামের এক জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ টিম এম মুসা এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যু কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে আদেশে বলা হয়েছে।
দন্ডিত আব্দুল জাব্বার গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের লালচাঁদ আলীর ছেলে। মামলায় বাকি ১৭ আসামিকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আদেশ ঘোষনার সময় মৃত্যুদন্ডাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল জাব্বার পলাতক ছিল।
খালাসপাওয়া আসামিরা হলেন-আজগর আলী, আশরাফুল ইসলাম, সেন্টু মিয়া, রাহাতুল ইসলাম,জাহেদ হোসেন, শাহাদত হোসেন, হাবিবুর রহমান,মিশকাত মিলিটারি, রফিকুল ইসলাম, রফিক উদ্দিন, কাফিরুল ইসলাম, আজাদ আলী, হুরমত আলী, কাউছার আলী, জিয়ারুল ইসলাম, আনারুল ডাক্তার ও মাহিরুন খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সেকেন্দার আলীর ভাই আব্দুস সাত্তারের একটি টেলিভিশন চুরি হলে আব্দুল জাব্বারসহ কয়েকজনের নামে থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলার কারণে ক্ষোভের বশবর্তি হয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৩ সালের ৬ জুলাই সন্ধ্যায় আসামিরা সেকেন্দারের উপর লাঠি সোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আব্দুল জাব্বার একটি ফলা দিয়ে সেকেন্দারের ঘাড়ের নিচে ঢুকিয়ে দিলে ফলাটি বুক দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে পরদিন গাংনী থানায় ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার নথিপত্র বিশেল্লষন করে আদালত আব্দুল জাব্বারকে মৃত্যুদন্ডাদেশের আদেশ দেন। মামলায় ১৯ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী আব্দুল জাব্বার পালাতক আছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে সাথী বোস ও শফিকুল আলম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

মেহেরপুর সংবাদদাতা, মেহেরপুর ১১ই জুলাই ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গাতে সেকেন্দার আলী হত্যা মামলায় আব্দুল জাব্বার নামের এক জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ টিম এম মুসা এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যু কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে আদেশে বলা হয়েছে।
দন্ডিত আব্দুল জাব্বার গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের লালচাঁদ আলীর ছেলে। মামলায় বাকি ১৭ আসামিকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আদেশ ঘোষনার সময় মৃত্যুদন্ডাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল জাব্বার পলাতক ছিল।
খালাসপাওয়া আসামিরা হলেন-আজগর আলী, আশরাফুল ইসলাম, সেন্টু মিয়া, রাহাতুল ইসলাম,জাহেদ হোসেন, শাহাদত হোসেন, হাবিবুর রহমান,মিশকাত মিলিটারি, রফিকুল ইসলাম, রফিক উদ্দিন, কাফিরুল ইসলাম, আজাদ আলী, হুরমত আলী, কাউছার আলী, জিয়ারুল ইসলাম, আনারুল ডাক্তার ও মাহিরুন খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সেকেন্দার আলীর ভাই আব্দুস সাত্তারের একটি টেলিভিশন চুরি হলে আব্দুল জাব্বারসহ কয়েকজনের নামে থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলার কারণে ক্ষোভের বশবর্তি হয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৩ সালের ৬ জুলাই সন্ধ্যায় আসামিরা সেকেন্দারের উপর লাঠি সোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আব্দুল জাব্বার একটি ফলা দিয়ে সেকেন্দারের ঘাড়ের নিচে ঢুকিয়ে দিলে ফলাটি বুক দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে পরদিন গাংনী থানায় ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার নথিপত্র বিশেল্লষন করে আদালত আব্দুল জাব্বারকে মৃত্যুদন্ডাদেশের আদেশ দেন। মামলায় ১৯ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী আব্দুল জাব্বার পালাতক আছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে সাথী বোস ও শফিকুল আলম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।