শিরোনাম :
Logo রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশিত Logo বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পুরনের লক্ষে ১৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ করেন মোঃ মতিউর রহমান Logo জকসু নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহী নন- জবি রেজিস্ট্রার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ Logo আরও ৩ লাখ টাকা জব্দ রিয়াদের বাড্ডার বাসা থেকে Logo ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৮৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি, প্রাণহানি ২ জনের Logo শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কলা ও মানবিক অনুষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন Logo পলাশবাড়ীতে দশ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলো বিএসএফ Logo সুন্দরবনের মাউন্দে নদী এলাকায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১ টি একনলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চিংড়ি পোনা আহরণের মহোৎসব চলছে, নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:২২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০১৭
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

মু.ওয়াছীঊদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ  নদীতে পোনা আহরণ নিষিদ্ধ থাকলেও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে চলেছে বাগদা ও গলদা চিংড়ি পোনা আহরণের মহোৎসব। এতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। ফলে দিন দিনে মেঘনা নদীতে দেখা দিচ্ছে মাছের অকাল। এসব মৎস্য পোনা শিকারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
জেলার রামগতির আলেকজান্ডার থেকে রায়পুর উপজেলার হাজিমারা পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার মেঘনা নদীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ি পোনা আহরণ করে তারা। পরে ২/৩ টাকা দামে প্রতিটি পোনা মাছ হরিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। বিশেষ করে এপ্রিল,মে ও জুন তিন মাস পর্যন্ত চলে গলদা ও বাগদা চিংড়ি পোনা ধরার মহাৎসব। মশারি জাতীয় এক প্রকার নেট দিয়ে চিংড়ি পোনা ধরে জেলেরা। ফলে একটি পোনার সাথে অন্যান্য প্রজাতির শতশত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ওঠে আসে। কিন্তু ওই মাছের পোনাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে জীব বৈচিত্র হারিয়ে মেঘনা নদী মাছ শূণ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছেন জেলে ও স্থানীয় এলাকাবাসী। দ্রুত প্রশাসন এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জীব বৈচিত্র বাঁচিয়ে রাখবে। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
তবে এ বিষয়ে পোনা আহরণের কথা স্বীকার করে মৎস কর্মকর্তা বলেন, নদী থেকে গলধা বা বাগদা চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জেলেরা অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছে। তারা মেঘনা নদীতে চিংড়ি পোনা ধরবেনা। তারপর ও যদি তারা নদীতে চিংড়ি পোনা আহরন করে থাকে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। নদীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের উপকুলীয় মেঘনা নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধরা নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতি বছর লক্ষ্মীপুরের উপকুলীয় এলাকার মেঘনা নদীতে পোনা অহরণ করে কিছু অসাধু জেলে।
সরকারী আইন অনুযায়ী গলদা পোনা ধরা নিষেধ বিষয়টি স্বীকার করে জেলা মৎস কর্মকর্তা এইচ এম মহিব উ্যাহ জানান, অবৈধ ও অসাধু কিছু  ব্যবসায়ী আছে যারা এমনটি করে। তবে অচিরেই অভিযান চালিয়ে আইনগত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশিত

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চিংড়ি পোনা আহরণের মহোৎসব চলছে, নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা

আপডেট সময় : ১০:০৭:২২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০১৭

মু.ওয়াছীঊদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ  নদীতে পোনা আহরণ নিষিদ্ধ থাকলেও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে চলেছে বাগদা ও গলদা চিংড়ি পোনা আহরণের মহোৎসব। এতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। ফলে দিন দিনে মেঘনা নদীতে দেখা দিচ্ছে মাছের অকাল। এসব মৎস্য পোনা শিকারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
জেলার রামগতির আলেকজান্ডার থেকে রায়পুর উপজেলার হাজিমারা পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার মেঘনা নদীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ি পোনা আহরণ করে তারা। পরে ২/৩ টাকা দামে প্রতিটি পোনা মাছ হরিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। বিশেষ করে এপ্রিল,মে ও জুন তিন মাস পর্যন্ত চলে গলদা ও বাগদা চিংড়ি পোনা ধরার মহাৎসব। মশারি জাতীয় এক প্রকার নেট দিয়ে চিংড়ি পোনা ধরে জেলেরা। ফলে একটি পোনার সাথে অন্যান্য প্রজাতির শতশত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ওঠে আসে। কিন্তু ওই মাছের পোনাগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে জীব বৈচিত্র হারিয়ে মেঘনা নদী মাছ শূণ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছেন জেলে ও স্থানীয় এলাকাবাসী। দ্রুত প্রশাসন এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জীব বৈচিত্র বাঁচিয়ে রাখবে। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
তবে এ বিষয়ে পোনা আহরণের কথা স্বীকার করে মৎস কর্মকর্তা বলেন, নদী থেকে গলধা বা বাগদা চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জেলেরা অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছে। তারা মেঘনা নদীতে চিংড়ি পোনা ধরবেনা। তারপর ও যদি তারা নদীতে চিংড়ি পোনা আহরন করে থাকে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। নদীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ২০০০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের উপকুলীয় মেঘনা নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধরা নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতি বছর লক্ষ্মীপুরের উপকুলীয় এলাকার মেঘনা নদীতে পোনা অহরণ করে কিছু অসাধু জেলে।
সরকারী আইন অনুযায়ী গলদা পোনা ধরা নিষেধ বিষয়টি স্বীকার করে জেলা মৎস কর্মকর্তা এইচ এম মহিব উ্যাহ জানান, অবৈধ ও অসাধু কিছু  ব্যবসায়ী আছে যারা এমনটি করে। তবে অচিরেই অভিযান চালিয়ে আইনগত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।