শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা গণফোরামের আলোচনা সভা শ্রমিকদের সাথে শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা হোক Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ শুরু Logo পাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় লিফট বিভ্রাট, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা Logo ইবিতে গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন Logo মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশু পাচারের সময় ভারতীয় মানবপাচারকারী আটক Logo অক্টোবর থেকে এমপিও শিক্ষকদের বদলি শুরু Logo আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ Logo নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের সংঘাতে ভারত-পাকিস্তান Logo ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমের দাবানল নিয়ন্ত্রণে Logo আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে বাগেরহাটে শ্রমিক সমাবেশ

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তি ভাতার ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন মামলায় দুই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার কমিশন বৈঠকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা বিচারিক আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রাক্তন অডিটর নাছিরউদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান, টেকনাফ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রাক্তন সুপার আব্দুচ ছবুর, সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মো. আবু তাহের, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমানে চট্টগ্রামের পটিয়া শাখার ম্যানেজার মো. গোলাম রহমান এবং টেকনাফ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার কানন কুমার দত্ত।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার জেলা সদর   হাসপাতালে ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তিভাতাসহ মোট ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৭ টাকা তুলে আত্মসাত করেন। এ অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার মডেল থানায় তিনটি মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৯টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে বেতন ভাতা বাবদ ১ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৫১৪ টাকা, ২০১১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি ভুয়া বিলের মাধ্যমে উৎসব ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৯১ হাজার  ২৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৬টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে ছাত্রী বৃত্তি ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮ টাকা তুলে আত্মসাত করেন।

পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সিকদার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে তিন মামলার চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।

ট্যাগস :

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা গণফোরামের আলোচনা সভা শ্রমিকদের সাথে শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা হোক

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট !

আপডেট সময় : ১১:১৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তি ভাতার ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন মামলায় দুই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার কমিশন বৈঠকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা বিচারিক আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রাক্তন অডিটর নাছিরউদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান, টেকনাফ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রাক্তন সুপার আব্দুচ ছবুর, সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মো. আবু তাহের, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমানে চট্টগ্রামের পটিয়া শাখার ম্যানেজার মো. গোলাম রহমান এবং টেকনাফ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার কানন কুমার দত্ত।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার জেলা সদর   হাসপাতালে ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তিভাতাসহ মোট ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৭ টাকা তুলে আত্মসাত করেন। এ অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার মডেল থানায় তিনটি মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৯টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে বেতন ভাতা বাবদ ১ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৫১৪ টাকা, ২০১১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি ভুয়া বিলের মাধ্যমে উৎসব ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৯১ হাজার  ২৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৬টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে ছাত্রী বৃত্তি ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮ টাকা তুলে আত্মসাত করেন।

পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সিকদার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে তিন মামলার চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।