বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তি ভাতার ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন মামলায় দুই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার কমিশন বৈঠকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা বিচারিক আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রাক্তন অডিটর নাছিরউদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান, টেকনাফ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রাক্তন সুপার আব্দুচ ছবুর, সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মো. আবু তাহের, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমানে চট্টগ্রামের পটিয়া শাখার ম্যানেজার মো. গোলাম রহমান এবং টেকনাফ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার কানন কুমার দত্ত।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার জেলা সদর   হাসপাতালে ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তিভাতাসহ মোট ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৭ টাকা তুলে আত্মসাত করেন। এ অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার মডেল থানায় তিনটি মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৯টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে বেতন ভাতা বাবদ ১ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৫১৪ টাকা, ২০১১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি ভুয়া বিলের মাধ্যমে উৎসব ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৯১ হাজার  ২৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৬টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে ছাত্রী বৃত্তি ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮ টাকা তুলে আত্মসাত করেন।

পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সিকদার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে তিন মামলার চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট !

আপডেট সময় : ১১:১৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তি ভাতার ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন মামলায় দুই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার কমিশন বৈঠকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা বিচারিক আদালতে দাখিল করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রাক্তন অডিটর নাছিরউদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান, টেকনাফ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রাক্তন সুপার আব্দুচ ছবুর, সোনালী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার প্রাক্তন ম্যানেজার মো. আবু তাহের, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমানে চট্টগ্রামের পটিয়া শাখার ম্যানেজার মো. গোলাম রহমান এবং টেকনাফ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার কানন কুমার দত্ত।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার জেলা সদর   হাসপাতালে ভুয়া কর্মচারীদের প্রকৃত কর্মচারী দেখিয়ে বেতন, উৎসব ভাতা ও বৃত্তিভাতাসহ মোট ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৭ টাকা তুলে আত্মসাত করেন। এ অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার মডেল থানায় তিনটি মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৯টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে বেতন ভাতা বাবদ ১ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৫১৪ টাকা, ২০১১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি ভুয়া বিলের মাধ্যমে উৎসব ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৯১ হাজার  ২৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৬টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে ছাত্রী বৃত্তি ভাতা বাবদ ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮ টাকা তুলে আত্মসাত করেন।

পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সিকদার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে তিন মামলার চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।