মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

পিলখানা হত্যা: সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পিলখানায় বহুল আলোচিত বিডিআর হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন ও মেয়াদভিত্তিক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজাবৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের তিনটি  আবেদন  খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও জাহিদ সরোয়ার কাজল।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্বে আপিল করার যথাযথ যুক্তি দেখাতে না পারায় বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ সরকারের তিন আপিল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের এই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল সেই আপিলের শুনানি নিয়ে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

নিম্ন আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেন। এদের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৩৭ জন ফাঁসির আসামি আপিল করে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সবাই আপিল করলেও রাষ্ট্রপক্ষ শুরুতে কোনো আপিল করেনি। কিন্তু বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে তিনটি আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে (পিলখানা) সংঘটিত ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়ামাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার করা হয়। বিচার শেষে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। মামলার আসামি ছিল ৮৪৬জন। এ মামলায় উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলমসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে মৃত্যু), স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ বিভিন্নমেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে আরো ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

পিলখানা হত্যা: সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ !

আপডেট সময় : ১১:০১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পিলখানায় বহুল আলোচিত বিডিআর হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন ও মেয়াদভিত্তিক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজাবৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের তিনটি  আবেদন  খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও জাহিদ সরোয়ার কাজল।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্বে আপিল করার যথাযথ যুক্তি দেখাতে না পারায় বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ সরকারের তিন আপিল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের এই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল সেই আপিলের শুনানি নিয়ে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

নিম্ন আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেন। এদের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৩৭ জন ফাঁসির আসামি আপিল করে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সবাই আপিল করলেও রাষ্ট্রপক্ষ শুরুতে কোনো আপিল করেনি। কিন্তু বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে তিনটি আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে (পিলখানা) সংঘটিত ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়ামাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার করা হয়। বিচার শেষে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। মামলার আসামি ছিল ৮৪৬জন। এ মামলায় উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলমসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে মৃত্যু), স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ বিভিন্নমেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে আরো ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।