শিরোনাম :
Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ২ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন Logo বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন উত্তোলন । Logo কয়রায় চিংড়িতে জেলি পুশ,৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo ইবি’র লালন শাহ হল পরিদর্শনে উপাচার্য Logo বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাড়ে চিন্তার পরিধি, জ্ঞান আর প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান Logo কচুয়ায় ১৬ পরিবারকে ঢেউটিন ও সহায়তার চেক বিতরণ Logo মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস

স্বল্পোন্নত দেশের জন্য টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপন করছে জাতিসংঘ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:০১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশের জন্য টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বাংলাদেশে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তুরস্কের গেবজিতে টেকনোলজি ব্যাংকটি স্থাপন করা হচ্ছে।
স্বল্পোন্নত দেশসমূহের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো।
টেকনোলজি ব্যাংকের চার্টার অনুমোদন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এই চার্টার গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই প্রতিফলিত হয়েছে। ’
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ অন্যান্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, যা আধুনিক উন্নততর প্রযুক্তির সহজলভ্যতার ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সভাপতি হিসেবে টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপনের ক্ষেত্র সক্রিয় ভূমিকা রাখায় এটি বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক অর্জন। জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের ইতিবাচক মনোভাব গঠন ও টেকনোলজি ব্যাংকের চার্টার গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সাধারণ পরিষদের সভাপতি তার ভাষণে এই ব্যাংক স্থাপনে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এই ব্যাংক ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য প্রযুক্তিগত সুযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এর মাধ্যমে এ সকল দেশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবে এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নিজেদের সামর্থ্য আরও বৃদ্ধি করতে পারবে। টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে প্রথম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যও অর্জিত হলো।
এর আগে ব্যাংকটি গঠনের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি গভর্নিং কাউন্সিল গঠন করেন। এই কাউন্সিল টেকনোলজি ব্যাংকের চার্টার প্রণয়ন করে। ব্যাংকের পরিকল্পনা তৈরি, বার্ষিক কর্মসূচি, পরিচালন নীতিমালা, গাইডলাইন ও বাজেট প্রণয়ন করার দায়িত্বেও থাকবে এই কাউন্সিল।
টেকনোলজি ব্যাংককে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে।
এই ব্যাংক এগিয়ে নেয়ার জন্য এই তহবিল সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং প্রাইভেট সেক্টরসহ সকলেই অর্থ প্রদান করতে পারবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি

স্বল্পোন্নত দেশের জন্য টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপন করছে জাতিসংঘ!

আপডেট সময় : ০৫:০৩:০১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশের জন্য টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বাংলাদেশে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তুরস্কের গেবজিতে টেকনোলজি ব্যাংকটি স্থাপন করা হচ্ছে।
স্বল্পোন্নত দেশসমূহের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো।
টেকনোলজি ব্যাংকের চার্টার অনুমোদন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এই চার্টার গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই প্রতিফলিত হয়েছে। ’
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ অন্যান্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, যা আধুনিক উন্নততর প্রযুক্তির সহজলভ্যতার ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সভাপতি হিসেবে টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপনের ক্ষেত্র সক্রিয় ভূমিকা রাখায় এটি বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক অর্জন। জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের ইতিবাচক মনোভাব গঠন ও টেকনোলজি ব্যাংকের চার্টার গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।সাধারণ পরিষদের সভাপতি তার ভাষণে এই ব্যাংক স্থাপনে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এই ব্যাংক ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য প্রযুক্তিগত সুযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এর মাধ্যমে এ সকল দেশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবে এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নিজেদের সামর্থ্য আরও বৃদ্ধি করতে পারবে। টেকনোলজি ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে প্রথম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যও অর্জিত হলো।
এর আগে ব্যাংকটি গঠনের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি গভর্নিং কাউন্সিল গঠন করেন। এই কাউন্সিল টেকনোলজি ব্যাংকের চার্টার প্রণয়ন করে। ব্যাংকের পরিকল্পনা তৈরি, বার্ষিক কর্মসূচি, পরিচালন নীতিমালা, গাইডলাইন ও বাজেট প্রণয়ন করার দায়িত্বেও থাকবে এই কাউন্সিল।
টেকনোলজি ব্যাংককে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে।
এই ব্যাংক এগিয়ে নেয়ার জন্য এই তহবিল সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং প্রাইভেট সেক্টরসহ সকলেই অর্থ প্রদান করতে পারবে।