শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভালোবেসে গোটা রেল স্টেশনকেই বিয়ে করেছেন যে নারী! (ভিডিও)

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৬:২৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মাত্র ৯ বছর বয়সে প্রথম প্রেমের উত্তাপ লেহেছিল। আর প্রথম কাছে আসা ২০১১ সালে। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ক্যারল সান্টাফের প্রেমের গল্পটা কিন্তু বেশ অদ্ভুত। কারণ তিনি কোনও মানুষ নন, ভালবেসে বিয়ে করেছেন একটি রেল স্টেশনকে। যে স্টেশনে প্রত্যেকদিন প্রায় ২০০০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ওই স্টেশনের দুটি দেওয়ালের সংযোগস্থলের সঙ্গে নাকি তার মধুচন্দ্রিমাও সারা হয়ে গিয়েছে।

২০১৫ সালে এক গ্রীষ্মে ক্যারল নিয়মমাফিক বিয়ে সারেন সান দিয়েগো শহরের সান্টা ফে স্টেশনের সঙ্গে। বিয়ের পর নিজের নামের সঙ্গে ‘স্বামী’র পদবীও জুড়ে নিয়েছেন। ক্যারল বলছেন, “মাত্র ৯ বছর বয়সেই আমার এই স্টেশনকে ভাল লেগে যায়। ছোটবেলায় যখন এই স্টেশনের দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়াতাম, তখনই মনে হত ও যেন আমার অভিভাবক, প্রকৃত বন্ধু। ”

২০১১ সালে নিজের অনুভূতিকে ভালবাসার নাম দেন ক্যারল। এই স্টেশনে এলে তার নাকি ‘অর্গ্যাজম’ হয় বা শরীরে যৌনাকাঙ্খা জাগে। কিন্তু সেবার এক রেলকর্মী তাকে তাড়া করে স্টেশনছাড়া করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই নিয়ম করে ‘স্বামী’র সঙ্গে দেখা করতে যান ক্যারল। তিনি নাকি সান্টা ফের ‘প্রিন্সেস’। নগ্ন হওয়ার অনুমতি না মেলায় পোশাক পরেই স্টেশনের দেওয়ালগুলিকে ছুঁয়ে থাকেন উত্তাপ বিনিময় করতে। নিজেকে স্বঘোষিত ‘অবজেক্টাম সেক্সুয়াল’ বলে দাবি করেন ক্যারল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যারলের এই ‘ভালবাসা’ অদ্ভুত হলেও নজিরবিহীন নয়। ব্যক্তি নয়, কোনও বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতাকে বলে ‘অবজেক্টোফিলিয়া’। ক্যারল ওই প্রবণতায় আক্রান্ত।

২০০৯ সালে এই প্রবণতার সন্ধান পান মার্কিন গবেষকরা। সহজ করে বললে, এই প্রবণতা একধরনের অটিজম। এর আগে ২০০৭ সালে এরিকা আইফেল নামের এক মার্কিন নারী দাবি করেন, তিনি আইফেল টাওয়ারকে বিয়ে করেছেন। সেই নিয়ে একটি জনপ্রিয় ডকুমেন্টারিও তৈরি হয়। তালিকায় রয়েছে একলফ বার্লিনারের নামও, যিনি ১৯৭৯ সালে বার্লিন প্রাচীরকে বিয়ে করেন।

দেখুন ভিডিও:

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে

ভালোবেসে গোটা রেল স্টেশনকেই বিয়ে করেছেন যে নারী! (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০২:২৬:২৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩১ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মাত্র ৯ বছর বয়সে প্রথম প্রেমের উত্তাপ লেহেছিল। আর প্রথম কাছে আসা ২০১১ সালে। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ক্যারল সান্টাফের প্রেমের গল্পটা কিন্তু বেশ অদ্ভুত। কারণ তিনি কোনও মানুষ নন, ভালবেসে বিয়ে করেছেন একটি রেল স্টেশনকে। যে স্টেশনে প্রত্যেকদিন প্রায় ২০০০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ওই স্টেশনের দুটি দেওয়ালের সংযোগস্থলের সঙ্গে নাকি তার মধুচন্দ্রিমাও সারা হয়ে গিয়েছে।

২০১৫ সালে এক গ্রীষ্মে ক্যারল নিয়মমাফিক বিয়ে সারেন সান দিয়েগো শহরের সান্টা ফে স্টেশনের সঙ্গে। বিয়ের পর নিজের নামের সঙ্গে ‘স্বামী’র পদবীও জুড়ে নিয়েছেন। ক্যারল বলছেন, “মাত্র ৯ বছর বয়সেই আমার এই স্টেশনকে ভাল লেগে যায়। ছোটবেলায় যখন এই স্টেশনের দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়াতাম, তখনই মনে হত ও যেন আমার অভিভাবক, প্রকৃত বন্ধু। ”

২০১১ সালে নিজের অনুভূতিকে ভালবাসার নাম দেন ক্যারল। এই স্টেশনে এলে তার নাকি ‘অর্গ্যাজম’ হয় বা শরীরে যৌনাকাঙ্খা জাগে। কিন্তু সেবার এক রেলকর্মী তাকে তাড়া করে স্টেশনছাড়া করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই নিয়ম করে ‘স্বামী’র সঙ্গে দেখা করতে যান ক্যারল। তিনি নাকি সান্টা ফের ‘প্রিন্সেস’। নগ্ন হওয়ার অনুমতি না মেলায় পোশাক পরেই স্টেশনের দেওয়ালগুলিকে ছুঁয়ে থাকেন উত্তাপ বিনিময় করতে। নিজেকে স্বঘোষিত ‘অবজেক্টাম সেক্সুয়াল’ বলে দাবি করেন ক্যারল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যারলের এই ‘ভালবাসা’ অদ্ভুত হলেও নজিরবিহীন নয়। ব্যক্তি নয়, কোনও বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতাকে বলে ‘অবজেক্টোফিলিয়া’। ক্যারল ওই প্রবণতায় আক্রান্ত।

২০০৯ সালে এই প্রবণতার সন্ধান পান মার্কিন গবেষকরা। সহজ করে বললে, এই প্রবণতা একধরনের অটিজম। এর আগে ২০০৭ সালে এরিকা আইফেল নামের এক মার্কিন নারী দাবি করেন, তিনি আইফেল টাওয়ারকে বিয়ে করেছেন। সেই নিয়ে একটি জনপ্রিয় ডকুমেন্টারিও তৈরি হয়। তালিকায় রয়েছে একলফ বার্লিনারের নামও, যিনি ১৯৭৯ সালে বার্লিন প্রাচীরকে বিয়ে করেন।

দেখুন ভিডিও: