শিরোনাম :
Logo মাহে রমজান এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা Logo ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান সাইফুলের বাসা থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জব্দ Logo ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা পাবেন অভ্যুত্থানে হতাহতদের সন্তানরা Logo জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস রোববার Logo চাঁদপুর জজ কোর্টের নতুন ভিপি কৌশলী হলেন অ্যাড. আলম খান মঞ্জু Logo উপদেষ্টা মাহফুজ সম্পর্কে অজানা তথ্য দিলেন তার শিক্ষক Logo নির্বাচন দেরিতে হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে: সালাহ উদ্দিন আহমেদ Logo পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় ৫ ডাকাত সদস্য আটক; Logo জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন ১৯ জুন !

  • আপডেট সময় : ১১:২৪:২৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি ’ হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৯ জুন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ জুন ঠিক করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। এদের মধ্যে রহমত আলী ব্যতীত সকল আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পাঁচ আসামিই কারাগারে রয়েছেন। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ একাধিকবার ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দুই ছাত্রী সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত তাদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডে দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। হোটেলে যাওয়ার আগে বাদী ও তার বান্ধবীকে বলা হয়েছিল, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, অনেক লোকজন থাকবে। অনুষ্ঠান হবে হোটেলের ছাদে। সেখানে যাওয়ার পর তারা কোনো ভদ্রলোককে দেখেননি। সেখানে আরো দুই তরুণী ছিল। বাদী ও তার বান্ধবী দেখেন, সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীকে ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যান। এই সময় বাদীর বন্ধু শাহরিয়ার ও আরেক বান্ধবী ছাদে আসেন। পরিবেশ ভালো না লাগায় তারা চলে যেতে চান। এই সময় আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। তাকে খুব মারধর করেন। ধর্ষণ করার সময় সাফাত গাড়িচালককে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে বলেন। বাদীকে নাঈম আশরাফ মারধর করেন। পরে বাদী প্রতিবাদ করবেন বলে জানান।

ঘটনার পরে বাদী ও বান্ধবীর বাসায় দেহরক্ষী পাঠানো হয় তথ্য সংগ্রহের জন্য। তারা এতে ভয় পেয়ে যান। লোকলজ্জার ভয় এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণে মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

মাহে রমজান এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা

রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন ১৯ জুন !

আপডেট সময় : ১১:২৪:২৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি ’ হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৯ জুন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ জুন ঠিক করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। এদের মধ্যে রহমত আলী ব্যতীত সকল আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পাঁচ আসামিই কারাগারে রয়েছেন। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ একাধিকবার ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দুই ছাত্রী সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত তাদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডে দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। হোটেলে যাওয়ার আগে বাদী ও তার বান্ধবীকে বলা হয়েছিল, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, অনেক লোকজন থাকবে। অনুষ্ঠান হবে হোটেলের ছাদে। সেখানে যাওয়ার পর তারা কোনো ভদ্রলোককে দেখেননি। সেখানে আরো দুই তরুণী ছিল। বাদী ও তার বান্ধবী দেখেন, সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীকে ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যান। এই সময় বাদীর বন্ধু শাহরিয়ার ও আরেক বান্ধবী ছাদে আসেন। পরিবেশ ভালো না লাগায় তারা চলে যেতে চান। এই সময় আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। তাকে খুব মারধর করেন। ধর্ষণ করার সময় সাফাত গাড়িচালককে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে বলেন। বাদীকে নাঈম আশরাফ মারধর করেন। পরে বাদী প্রতিবাদ করবেন বলে জানান।

ঘটনার পরে বাদী ও বান্ধবীর বাসায় দেহরক্ষী পাঠানো হয় তথ্য সংগ্রহের জন্য। তারা এতে ভয় পেয়ে যান। লোকলজ্জার ভয় এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণে মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়।