ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৮ মে ২০১৭
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খন্দকার পাড়ায় পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসানের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠছে। নিহত গৃহবধূ লামিয়া নুর (২২) পিরোজপুর জেলা শহরের সি এ ই পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে এবং পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্রী।

নিহত গৃহবধূ লামিয়ার চাচা আলম শেখ জানান, প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি উত্তরপাড়ার মৃত হামিদ সর্দ্দারের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসানের সাথে পিরোজপুর জেলা শহরের সি এন্ড ই পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে লামিয়া নুরের বিয়ে হয়। এরপর তারা ঝিনাইদহ শহরের খন্দকারপাড়ায় ভাড়া করা বাসায় বসবাস করছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী হাসান যৌতুকের দাবিতে লামিয়ার উপর অত্যাচার করে আসছিল।

গতকাল হাসানের অত্যাচারে লামিয়া জ্ঞান হারালে তার গলায় রশি দিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হয়। এরপর রাতে আমরা জানতে পারি লামিয়া মারা গেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, গতকাল বিকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রাথমিকভাবে জেনেছি লামিয়া আতœহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত শেষেই জানা যাবে এটি হত্যা না আতœহত্যা। উল্লেখ্য, পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসান ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল

আপডেট সময় : ১০:৩২:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৮ মে ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খন্দকার পাড়ায় পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসানের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠছে। নিহত গৃহবধূ লামিয়া নুর (২২) পিরোজপুর জেলা শহরের সি এ ই পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে এবং পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্রী।

নিহত গৃহবধূ লামিয়ার চাচা আলম শেখ জানান, প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি উত্তরপাড়ার মৃত হামিদ সর্দ্দারের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসানের সাথে পিরোজপুর জেলা শহরের সি এন্ড ই পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে লামিয়া নুরের বিয়ে হয়। এরপর তারা ঝিনাইদহ শহরের খন্দকারপাড়ায় ভাড়া করা বাসায় বসবাস করছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী হাসান যৌতুকের দাবিতে লামিয়ার উপর অত্যাচার করে আসছিল।

গতকাল হাসানের অত্যাচারে লামিয়া জ্ঞান হারালে তার গলায় রশি দিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হয়। এরপর রাতে আমরা জানতে পারি লামিয়া মারা গেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, গতকাল বিকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রাথমিকভাবে জেনেছি লামিয়া আতœহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত শেষেই জানা যাবে এটি হত্যা না আতœহত্যা। উল্লেখ্য, পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসান ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছে।