সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

যে রাশির মানুষ সব থেকে বেশি অপরাধ মনষ্ক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:২২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭
  • ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

যারা জ্যোতিশ শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন তারা রাশি মানেন। আবার অনেকে মানেন না। জ্যোতিশ শাস্ত্র মতে মানুষের স্বভাব কেমন হবে তা অনেকাংশে তার রাশির ওপর নির্ভর করে। প্রত্যেক রাশির জাতকের ওপর প্রভাব থাকে সেই রাশির গ্রহস্বামীর। তার ফলেই চারিত্রিক দিক থেকে এক এক রাশির জাতকরা এক এক রকম হন। কেউ রাগী, কেউ ক্ষমাশীল, কেউ বা একগুঁয়ে। তেমন ভাবেই অপরাধের ক্ষেত্রেও জাতকের ওপর রাশির প্রভাব থাকে।

সম্প্রতি FBI একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাতে অপরাধ মনষ্কতার দিক থেকে ইংরেজি মাসের জন্মতারিখ অনুযায়ী কোন রাশির জাতকরা কেমন তার হদিশ রয়েছে। তারা দেখিয়েছে কোন রাশির জাতক কতটা অপরাধপ্রবণ। মিলিয়ে দেখে নিন, আপনার আশপাশের মানুষের মতিগতি কেমন হতে পারে।

১২. সব থেকে কম অপরাধ মনষ্ক মানুষ হন জেমিনি বা মিথুন রাশির জাতকরা। এরা যতই রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করুন, কাউকে চট করে মারতে বা কারও ক্ষতি করতে পারেন না। খুব প্রয়োজন না হলে অস্ত্র ধরেন না।

১১. এর পরের স্থানেই রয়েছেন অ্যাকুয়ারিয়াস বা কুম্ভরাশির জাতকরা। সুবিচারের প্রতি এদের অকাট্য আস্থা রয়েছে। খুব ইগোইস্টিক মানুষ হন। সহজে ভাঙেন না। তার সঙ্গে আরও একটি ব্যাপার পরিসংখ্যানে বলা রয়েছে। এরা কোনও অপরাধ করলেও সহজে ধরা পড়েন না। এমন বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ রয়েছে যেখানে প্রধান সন্দেহভাজন হলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাব তাদের ধরা যায়নি।

১০. লিও বা সিংহ রাশির জাতকরা যতটা গর্জান ততটা বর্ষান না। পরিসংখ্যান বলছে, গণ্ডগোল থেকে দূরে থাকাই পছন্দ করেন এরা। দেখা গেছে, যদি এরা কোনও খুনের সঙ্গে জড়িত থাকেন তা কেবল দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।

৯. অদ্ভূত বৈপরীত্য দেখা যায় লিব্রা বা তুলা রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে। এক দিকে তারা দয়াবান এবং ধৈর্য্যশীল হন। অন্য দিকে খুন করার ক্ষেত্রে তাদের প্রবণতা বেশি থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, সিংহ এবং কুম্ভ রাশির জাতকরা বছরে যত খুন করেন, তার চেয়ে বেশি খুনের ব্যাপারে জড়ান তুলা রাশির জাতকরা।

৮. পরিসংখ্যান বলছে, ভার্গো বা কন্যারাশির জাতকরা সামান্য সাইকো প্রকৃতির হওয়ার প্রবণতা থাকে। এদের অপরাধ মূলত সীমাবদ্ধ থাকে চুরি এবং জালিয়াতির ক্ষেত্রে। তবে যদি এরা কোনও কারণে খুন করেন তবে খুব চুপিসারে করেন।

৭. পাইসেস বা মীন রাশির জাতকদের আপাতপক্ষে দেখে খুব ‘কিউট’ বলে মনে হলেও আদপে তা নন। জন ওয়েন গেসি, রিচার্ড রামিরেজ বা এইলিন ইওর্নোস-এর মতো অপরাধ জগতের অন্যতম কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার ছিলেন এই রাশির জাতক। এরা যে কোনও অপরাধ একটু নাটকীয়ভাবে করতে পছন্দ করেন।

৬. ক্যাপ্রিকর্ন বা মকর রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে একটা কথা খুব প্রচলিত, মারি তো গণ্ডার, লুঠি তো ভাণ্ডার। অর্থাৎ, সাধারণ এরা অপরাধ করেন না কিন্তু যদি কোনও কারণে এরা একবার খেপে যান, তবে রক্ষে নেই। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের ভয়ংকরতম সিরিয়াল কিলার এই রাশির জাতকরাই হয়ে থাকেন।

৫. রাশি মেষ হলে কী হবে, রাগলে একেবারে সিংহ। ছিড়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। তবে এদের রাগ খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় না, সেটাই রক্ষা। তবে যতক্ষণ থাকে এদের থেকে তখন দূরে থাকাই ভালো। মূলত এই চরম রাগের কারণেই এরা পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন।

৪. রাগের ব্যাপারে বৃষরাশির জাতকরা কোনও অংশে কম যান না। রাগলে মাথার ঠিক থাকে না। তবে খুন বা মারামারির তুলনায় এরা জালিয়াতি করতে বেশি ভালোবাসেন। অন্যতম কারণ, এরা বিলাসবহুল জীবন খুব পছন্দ করেন।

৩. তিন নম্বরে রয়েছেন স্যাজিটেরিয়াস বা ধনুরাশির জাতকরা। এরা যখন অপরাধ করেন, তখন ছোটখাটো কোনও অপরাধে খান্ত থাকেন না। টেড বান্ডি, পাবলো এসকোবার-এর মতো দাগী অপরাধীরা ধনু রাশির জাতক ছিলেন।

২. FBI-এর পরিসংখ্যান বলছে, স্করপিও বা বৃশ্চিক রাশির জাতকরা ‘অফিশিয়াল সাইকো’ হন। ইতিহাস বলছে, বেশিরভাগ সিরিয়াল কিলার নভেম্বর মাসে জন্মান। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বৃশ্চিক রাশির হন। বাকিরা ধনু রাশির। এরা খুব স্যাডিস্টিক খুনি হয়ে থাকেন।

১. সব থেকে বেশি অপরাধ মনষ্ক মানুষের তকমা পেয়েছেন ক্যান্সার বা কর্কট রাশির জাতকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরা খুনের ব্যাপারে জড়িত থাকেন। শুধু জড়িত থাকেন বললে ভুল হবে, কারও প্রতি ঈর্ষান্বিত হলেই তাকে খুন করতে পারেন এই রাশির জাতকরা। সব কিছু এদের মুডের ওপর নির্ভর করে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, এরা আসলে “হেড অফ ম্যানিয়াক”।

তবে সব কথার শেষ কথা মানুষ চাইলেই ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে নিজ কর্মগুণে। এ কারণে কর্কট রাশির সব জাতকরা যেমন খুনি হন না, তেমনি মিথুন রাশির সব জাতকরা ধোয়া তুলশি পাতা হন না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

যে রাশির মানুষ সব থেকে বেশি অপরাধ মনষ্ক !

আপডেট সময় : ১১:৪৯:২২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

যারা জ্যোতিশ শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন তারা রাশি মানেন। আবার অনেকে মানেন না। জ্যোতিশ শাস্ত্র মতে মানুষের স্বভাব কেমন হবে তা অনেকাংশে তার রাশির ওপর নির্ভর করে। প্রত্যেক রাশির জাতকের ওপর প্রভাব থাকে সেই রাশির গ্রহস্বামীর। তার ফলেই চারিত্রিক দিক থেকে এক এক রাশির জাতকরা এক এক রকম হন। কেউ রাগী, কেউ ক্ষমাশীল, কেউ বা একগুঁয়ে। তেমন ভাবেই অপরাধের ক্ষেত্রেও জাতকের ওপর রাশির প্রভাব থাকে।

সম্প্রতি FBI একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাতে অপরাধ মনষ্কতার দিক থেকে ইংরেজি মাসের জন্মতারিখ অনুযায়ী কোন রাশির জাতকরা কেমন তার হদিশ রয়েছে। তারা দেখিয়েছে কোন রাশির জাতক কতটা অপরাধপ্রবণ। মিলিয়ে দেখে নিন, আপনার আশপাশের মানুষের মতিগতি কেমন হতে পারে।

১২. সব থেকে কম অপরাধ মনষ্ক মানুষ হন জেমিনি বা মিথুন রাশির জাতকরা। এরা যতই রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করুন, কাউকে চট করে মারতে বা কারও ক্ষতি করতে পারেন না। খুব প্রয়োজন না হলে অস্ত্র ধরেন না।

১১. এর পরের স্থানেই রয়েছেন অ্যাকুয়ারিয়াস বা কুম্ভরাশির জাতকরা। সুবিচারের প্রতি এদের অকাট্য আস্থা রয়েছে। খুব ইগোইস্টিক মানুষ হন। সহজে ভাঙেন না। তার সঙ্গে আরও একটি ব্যাপার পরিসংখ্যানে বলা রয়েছে। এরা কোনও অপরাধ করলেও সহজে ধরা পড়েন না। এমন বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ রয়েছে যেখানে প্রধান সন্দেহভাজন হলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাব তাদের ধরা যায়নি।

১০. লিও বা সিংহ রাশির জাতকরা যতটা গর্জান ততটা বর্ষান না। পরিসংখ্যান বলছে, গণ্ডগোল থেকে দূরে থাকাই পছন্দ করেন এরা। দেখা গেছে, যদি এরা কোনও খুনের সঙ্গে জড়িত থাকেন তা কেবল দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।

৯. অদ্ভূত বৈপরীত্য দেখা যায় লিব্রা বা তুলা রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে। এক দিকে তারা দয়াবান এবং ধৈর্য্যশীল হন। অন্য দিকে খুন করার ক্ষেত্রে তাদের প্রবণতা বেশি থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, সিংহ এবং কুম্ভ রাশির জাতকরা বছরে যত খুন করেন, তার চেয়ে বেশি খুনের ব্যাপারে জড়ান তুলা রাশির জাতকরা।

৮. পরিসংখ্যান বলছে, ভার্গো বা কন্যারাশির জাতকরা সামান্য সাইকো প্রকৃতির হওয়ার প্রবণতা থাকে। এদের অপরাধ মূলত সীমাবদ্ধ থাকে চুরি এবং জালিয়াতির ক্ষেত্রে। তবে যদি এরা কোনও কারণে খুন করেন তবে খুব চুপিসারে করেন।

৭. পাইসেস বা মীন রাশির জাতকদের আপাতপক্ষে দেখে খুব ‘কিউট’ বলে মনে হলেও আদপে তা নন। জন ওয়েন গেসি, রিচার্ড রামিরেজ বা এইলিন ইওর্নোস-এর মতো অপরাধ জগতের অন্যতম কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার ছিলেন এই রাশির জাতক। এরা যে কোনও অপরাধ একটু নাটকীয়ভাবে করতে পছন্দ করেন।

৬. ক্যাপ্রিকর্ন বা মকর রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে একটা কথা খুব প্রচলিত, মারি তো গণ্ডার, লুঠি তো ভাণ্ডার। অর্থাৎ, সাধারণ এরা অপরাধ করেন না কিন্তু যদি কোনও কারণে এরা একবার খেপে যান, তবে রক্ষে নেই। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের ভয়ংকরতম সিরিয়াল কিলার এই রাশির জাতকরাই হয়ে থাকেন।

৫. রাশি মেষ হলে কী হবে, রাগলে একেবারে সিংহ। ছিড়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। তবে এদের রাগ খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় না, সেটাই রক্ষা। তবে যতক্ষণ থাকে এদের থেকে তখন দূরে থাকাই ভালো। মূলত এই চরম রাগের কারণেই এরা পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন।

৪. রাগের ব্যাপারে বৃষরাশির জাতকরা কোনও অংশে কম যান না। রাগলে মাথার ঠিক থাকে না। তবে খুন বা মারামারির তুলনায় এরা জালিয়াতি করতে বেশি ভালোবাসেন। অন্যতম কারণ, এরা বিলাসবহুল জীবন খুব পছন্দ করেন।

৩. তিন নম্বরে রয়েছেন স্যাজিটেরিয়াস বা ধনুরাশির জাতকরা। এরা যখন অপরাধ করেন, তখন ছোটখাটো কোনও অপরাধে খান্ত থাকেন না। টেড বান্ডি, পাবলো এসকোবার-এর মতো দাগী অপরাধীরা ধনু রাশির জাতক ছিলেন।

২. FBI-এর পরিসংখ্যান বলছে, স্করপিও বা বৃশ্চিক রাশির জাতকরা ‘অফিশিয়াল সাইকো’ হন। ইতিহাস বলছে, বেশিরভাগ সিরিয়াল কিলার নভেম্বর মাসে জন্মান। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বৃশ্চিক রাশির হন। বাকিরা ধনু রাশির। এরা খুব স্যাডিস্টিক খুনি হয়ে থাকেন।

১. সব থেকে বেশি অপরাধ মনষ্ক মানুষের তকমা পেয়েছেন ক্যান্সার বা কর্কট রাশির জাতকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরা খুনের ব্যাপারে জড়িত থাকেন। শুধু জড়িত থাকেন বললে ভুল হবে, কারও প্রতি ঈর্ষান্বিত হলেই তাকে খুন করতে পারেন এই রাশির জাতকরা। সব কিছু এদের মুডের ওপর নির্ভর করে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, এরা আসলে “হেড অফ ম্যানিয়াক”।

তবে সব কথার শেষ কথা মানুষ চাইলেই ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারে নিজ কর্মগুণে। এ কারণে কর্কট রাশির সব জাতকরা যেমন খুনি হন না, তেমনি মিথুন রাশির সব জাতকরা ধোয়া তুলশি পাতা হন না।