শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ Logo ইবিতে খুলনা জেলা সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ সম্মাননা Logo চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি Logo ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা Logo চাঁদপুর শহরের লেক থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহে চালের বাজারে আগুন

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭
  • ৭৯৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  বোরোর ভালো ফলন ও দামে ঝিনাইদহের চাষিরা বেজায় খুশি হলেও খুশি হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ভোক্তা। সাধারণ মানুষ জানান, গত দেড় মাসে বাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক শাহ আকরামুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে ৭২ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয় ৮৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমি।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ হাজার ২৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে পাঁচ হাজার ৬৩০ হেক্টর, মহেশপুরে ২০ হাজার ১৮০ হেক্টর, শৈলকূপায় ১৪ হাজার ১০০ হেক্টর এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আট হাজার ২৭৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি সাড়ে টন টন হিসাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৭ টন চাল উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ মার্চ পর্যন্ত অনাবৃষ্টি, এপ্রিলের অতিবৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে লিফব্লাস্টের আক্রমণ সত্ত্বেও ভালো উৎপাদন হয়েছে। ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো হওয়ায় খুশি জেলার কৃষক।

এদিকে শৈলককূপার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল হাসান জানান, বোরো ধানের বাজারদর বেশি হলেও এবার ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিগত মৌসুুুুুুুুুমগুলোয় একজন কৃষিশ্রমিকের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও এবার তা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় উঠেছে। তাছাড়া রোপণ মৌসুমে প্রচন্ড খরার কারণে কৃষকদের বেশি টাকা দিয়ে সেচের পানি কিনতে হয়েছে; যা উৎপাদন ব্যয়ে বেশ প্রভাব ফেলেছে।

ঝিনাইদহ কাঁচাবাজারে দিনমজুর আবদুল হালিম জানান, মাস দুয়েক আগেও প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০-৩২ টাকার বেশি ছিল না। এখন তা ৩৮-৪০ টাকা। সাধন কুমার দাস নামে এক সরকারি চাকুরে জানান, গত বছর বেতন বেড়ে যাওয়ায় তারা ভেবেছিলেন সংসারটা বুঝি ভালোভাবেই চলবে। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টো। চালসহ মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বাজারদর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ

ঝিনাইদহে চালের বাজারে আগুন

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  বোরোর ভালো ফলন ও দামে ঝিনাইদহের চাষিরা বেজায় খুশি হলেও খুশি হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ভোক্তা। সাধারণ মানুষ জানান, গত দেড় মাসে বাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক শাহ আকরামুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে ৭২ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয় ৮৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমি।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ হাজার ২৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে পাঁচ হাজার ৬৩০ হেক্টর, মহেশপুরে ২০ হাজার ১৮০ হেক্টর, শৈলকূপায় ১৪ হাজার ১০০ হেক্টর এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আট হাজার ২৭৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি সাড়ে টন টন হিসাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৭ টন চাল উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ মার্চ পর্যন্ত অনাবৃষ্টি, এপ্রিলের অতিবৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে লিফব্লাস্টের আক্রমণ সত্ত্বেও ভালো উৎপাদন হয়েছে। ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো হওয়ায় খুশি জেলার কৃষক।

এদিকে শৈলককূপার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল হাসান জানান, বোরো ধানের বাজারদর বেশি হলেও এবার ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিগত মৌসুুুুুুুুুমগুলোয় একজন কৃষিশ্রমিকের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও এবার তা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় উঠেছে। তাছাড়া রোপণ মৌসুমে প্রচন্ড খরার কারণে কৃষকদের বেশি টাকা দিয়ে সেচের পানি কিনতে হয়েছে; যা উৎপাদন ব্যয়ে বেশ প্রভাব ফেলেছে।

ঝিনাইদহ কাঁচাবাজারে দিনমজুর আবদুল হালিম জানান, মাস দুয়েক আগেও প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০-৩২ টাকার বেশি ছিল না। এখন তা ৩৮-৪০ টাকা। সাধন কুমার দাস নামে এক সরকারি চাকুরে জানান, গত বছর বেতন বেড়ে যাওয়ায় তারা ভেবেছিলেন সংসারটা বুঝি ভালোভাবেই চলবে। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টো। চালসহ মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বাজারদর।