শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে চালের বাজারে আগুন

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭
  • ৮১৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  বোরোর ভালো ফলন ও দামে ঝিনাইদহের চাষিরা বেজায় খুশি হলেও খুশি হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ভোক্তা। সাধারণ মানুষ জানান, গত দেড় মাসে বাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক শাহ আকরামুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে ৭২ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয় ৮৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমি।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ হাজার ২৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে পাঁচ হাজার ৬৩০ হেক্টর, মহেশপুরে ২০ হাজার ১৮০ হেক্টর, শৈলকূপায় ১৪ হাজার ১০০ হেক্টর এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আট হাজার ২৭৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি সাড়ে টন টন হিসাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৭ টন চাল উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ মার্চ পর্যন্ত অনাবৃষ্টি, এপ্রিলের অতিবৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে লিফব্লাস্টের আক্রমণ সত্ত্বেও ভালো উৎপাদন হয়েছে। ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো হওয়ায় খুশি জেলার কৃষক।

এদিকে শৈলককূপার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল হাসান জানান, বোরো ধানের বাজারদর বেশি হলেও এবার ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিগত মৌসুুুুুুুুুমগুলোয় একজন কৃষিশ্রমিকের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও এবার তা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় উঠেছে। তাছাড়া রোপণ মৌসুমে প্রচন্ড খরার কারণে কৃষকদের বেশি টাকা দিয়ে সেচের পানি কিনতে হয়েছে; যা উৎপাদন ব্যয়ে বেশ প্রভাব ফেলেছে।

ঝিনাইদহ কাঁচাবাজারে দিনমজুর আবদুল হালিম জানান, মাস দুয়েক আগেও প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০-৩২ টাকার বেশি ছিল না। এখন তা ৩৮-৪০ টাকা। সাধন কুমার দাস নামে এক সরকারি চাকুরে জানান, গত বছর বেতন বেড়ে যাওয়ায় তারা ভেবেছিলেন সংসারটা বুঝি ভালোভাবেই চলবে। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টো। চালসহ মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বাজারদর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

ঝিনাইদহে চালের বাজারে আগুন

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ  বোরোর ভালো ফলন ও দামে ঝিনাইদহের চাষিরা বেজায় খুশি হলেও খুশি হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ভোক্তা। সাধারণ মানুষ জানান, গত দেড় মাসে বাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা, যা তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক শাহ আকরামুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে ৭২ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয় ৮৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমি।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০ হাজার ২৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে পাঁচ হাজার ৬৩০ হেক্টর, মহেশপুরে ২০ হাজার ১৮০ হেক্টর, শৈলকূপায় ১৪ হাজার ১০০ হেক্টর এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আট হাজার ২৭৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি সাড়ে টন টন হিসাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৭ টন চাল উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ মার্চ পর্যন্ত অনাবৃষ্টি, এপ্রিলের অতিবৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে লিফব্লাস্টের আক্রমণ সত্ত্বেও ভালো উৎপাদন হয়েছে। ভালো ফলন ও বাজারে দাম ভালো হওয়ায় খুশি জেলার কৃষক।

এদিকে শৈলককূপার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল হাসান জানান, বোরো ধানের বাজারদর বেশি হলেও এবার ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিগত মৌসুুুুুুুুুমগুলোয় একজন কৃষিশ্রমিকের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও এবার তা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় উঠেছে। তাছাড়া রোপণ মৌসুমে প্রচন্ড খরার কারণে কৃষকদের বেশি টাকা দিয়ে সেচের পানি কিনতে হয়েছে; যা উৎপাদন ব্যয়ে বেশ প্রভাব ফেলেছে।

ঝিনাইদহ কাঁচাবাজারে দিনমজুর আবদুল হালিম জানান, মাস দুয়েক আগেও প্রতি কেজি মোটা চাল ৩০-৩২ টাকার বেশি ছিল না। এখন তা ৩৮-৪০ টাকা। সাধন কুমার দাস নামে এক সরকারি চাকুরে জানান, গত বছর বেতন বেড়ে যাওয়ায় তারা ভেবেছিলেন সংসারটা বুঝি ভালোভাবেই চলবে। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টো। চালসহ মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তার মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বাজারদর।