শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

চুয়াডাঙ্গায় জিরা চাষে সফলতার পথে কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

আমিনুর রহমান নয়ন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জিরা চাষ করে সফলতার পথে কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টে ১১ শতক জমিতে বারী-১ জাতের জিরা চাষ করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ই জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টে গিয়ে দেখা যায় জিরা গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।
ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টের স্বত্বাধিকারী কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জীবননগর কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের নভেম্বর মাসে জমিতে বেড করে ১১ শতক জমিতে আমি জিরার বীজ বপন করি। জিরা গাছে ফুল এসেছে। ফলও আসতে শুরু করেছে। কৃষি কর্মকর্তারা আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আল্লাহ রহমত করলে মাসখানেকের মধ্যে আমি জিরা সংগ্রহ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিরা চাষ বিষয়ে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে আমি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। আমার কৃষি প্রজেক্টে জিরা, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ-রসুন ছাড়াও বিভিন্ন ফসলের চাষ করেছি।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, জীবননগর কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় উপজেলায় প্রথমবারের মতো জিরার চাষ শুরু হয়েছে। এটিই চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রথম জিরা চাষ। সন্তোষপুরসহ উপজেলার মোট তিন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে জিরার চাষ করা হয়েছে। তবে অন্য দুই জায়গার চেয়ে জাহিদুল ইসলামের জমির জিরা গাছগুলো অনেক ভালো অবস্থায় আছে। ফসল সংগ্রহ না করা পর্যন্ত আমরা সফল হবো কি না বলতে পারছি না। তবে আমরা খুবই আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
উল্লেখ্য, নাতিশীতোষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়া জিরা চাষের জন্য উপযুক্ত। সঠিক পরিচর্যায় সহজেই হেক্টরপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি জিরার ফলন পাওয়া সম্ভব। সুনিষ্কাশিত উর্বর, গভীর এবং বেলে দোঁআশ মাটি জিরা চাষের জন্যে উত্তম।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

চুয়াডাঙ্গায় জিরা চাষে সফলতার পথে কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

আমিনুর রহমান নয়ন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জিরা চাষ করে সফলতার পথে কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টে ১১ শতক জমিতে বারী-১ জাতের জিরা চাষ করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ই জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টে গিয়ে দেখা যায় জিরা গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।
ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টের স্বত্বাধিকারী কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জীবননগর কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের নভেম্বর মাসে জমিতে বেড করে ১১ শতক জমিতে আমি জিরার বীজ বপন করি। জিরা গাছে ফুল এসেছে। ফলও আসতে শুরু করেছে। কৃষি কর্মকর্তারা আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আল্লাহ রহমত করলে মাসখানেকের মধ্যে আমি জিরা সংগ্রহ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিরা চাষ বিষয়ে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে আমি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। আমার কৃষি প্রজেক্টে জিরা, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ-রসুন ছাড়াও বিভিন্ন ফসলের চাষ করেছি।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, জীবননগর কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় উপজেলায় প্রথমবারের মতো জিরার চাষ শুরু হয়েছে। এটিই চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রথম জিরা চাষ। সন্তোষপুরসহ উপজেলার মোট তিন জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে জিরার চাষ করা হয়েছে। তবে অন্য দুই জায়গার চেয়ে জাহিদুল ইসলামের জমির জিরা গাছগুলো অনেক ভালো অবস্থায় আছে। ফসল সংগ্রহ না করা পর্যন্ত আমরা সফল হবো কি না বলতে পারছি না। তবে আমরা খুবই আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
উল্লেখ্য, নাতিশীতোষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়া জিরা চাষের জন্য উপযুক্ত। সঠিক পরিচর্যায় সহজেই হেক্টরপ্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি জিরার ফলন পাওয়া সম্ভব। সুনিষ্কাশিত উর্বর, গভীর এবং বেলে দোঁআশ মাটি জিরা চাষের জন্যে উত্তম।