নিউজ ডেস্ক:
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে দুইবার বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু গত তিন বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ সাফল্য পাচ্ছে না।
এ বছর বিজ্ঞানে ৩ জন ফেল করেছে। ২০১৬ সালে ব্যবসা শিক্ষায় তিনজন ফেল করেছিল। তার আগে ২০১৫ সালে ফেল করেছিল দুইজন। ২০১৪ সালে শতভাগ পাস থাকলেও ২০১৩ সালে পাসের হার ছিল ৯৯.৯৫ শতাংশ।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলাফল ভালো। এ বছর পাসের হার ৯৯.৮৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে ছিল ৯৯.৮২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ এর হার ৭৪ শতাংশ। এ বছর ব্যবসা শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ে তিনজন অকৃতকার্য হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৮৮ জন। বিজ্ঞানে এক হাজার ৪৩৬ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক হাজার ২৮২ জন। ব্যবসা শিক্ষায় ৪৩২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৬ জন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশের পরপরই শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস শুরু করেন। আনন্দে তারা একসঙ্গে ‘মনিপুর মনিপুর’ স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে স্কুল প্রাঙ্গণ। সঙ্গে ছিলেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। তারা সবাই একসঙ্গে আনন্দ করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন।
শিক্ষার্থী ফারজানা আহমেদ তুলি বলেন, ভালো রেজাল্ট করেছে। নিজের এবং বাবা-মায়ের আশানুরূপ ফলাফল করতে পেরে খুবই আনন্দিত। বাবা-মা এবং শিক্ষকদের জন্যই আমার এ ভালো ফলাফল হয়েছে।
নিজের সন্তানের ভালো ফলাফলের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে স্কুল প্রাঙ্গণে এসেছিলেন অভিভাবক রেবেকা সুলতানা। তিনি জানান, স্কুলের এমন ভালো লাগার মত সাফল্যের পেছনে শিক্ষকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অনেক অবদান রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে এক হাজার ৬৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ব্যবসা শিক্ষায় তিনজন অকৃতকার্য হয়েছিল। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়েছিল এক হজার ৬১৩ জন। তার মধ্যে ফেল করে ২ জন। ২০১৪ সালে পাসের হার ছিল শতভাগ। এ বছর এক হাজার ৫৮০ জন পরীক্ষা দেয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ৪৬১ জন। ২০১৩ সালে পাসের হার ছিল ৯৯.৮৫ শতাংশ।
২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্কুলটি ৩য় স্থান অর্জন করে। ১৯৬৯ সালে স্থাপিত এ স্কুলটি এ পর্যন্ত দুইবার বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে।