শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ Logo ইবিতে খুলনা জেলা সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ সম্মাননা Logo চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি Logo ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা Logo চাঁদপুর শহরের লেক থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

শীতের সবজিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা !

  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

N D :মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার কৃষক এখন পুরোদমে শীতকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত। গেল মৌসুমে অকাল বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এবার আগের ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নেওয়ারও আশা করছেন।

 

তবে বিরূপ আবহাওয়ার ভয় তাদের মনে থেকেই যাচ্ছে। কৃষকরা মনে করছেন, কেবল আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেই ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমির সবজি। যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। মৌসুমের শুরুতেই জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার হেক্টরে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন সবজির উৎপাদন হবে।

 

সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সবজি চাষী সুজন মিয়া জানান, গত বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। বন্যায় তার প্রায় দুই লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তিনি ওই জমিতে আবার ফুল কপির আবাদ করেছেন। জমি তৈরি, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা করে লাভ পাওয়া যাবে।

 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন নানা জাতের সবজির আবাদ চলছে। তবে, আগাম জাতের সবজি ইতিমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে।  স্থানীয় চাষিরা আবাদ করছেন লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লালশাক, পালংশাক, ধনিয়া, ঢেঁড়শ, উচ্ছে, বরবটি, টমেটো ও বেগুন।

 

ধুল্লা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন জানান, ফলন ভাল হলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। স্থানীয় চাষিরা সারা বছরই সবজি চাষের সাথে জড়িত। সবজির আবাদ করেই কৃষকরা সংসারের যাবতীয় খরচ চালিয়ে আসছেন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে সার বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এবার সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ

শীতের সবজিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা !

আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

N D :মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার কৃষক এখন পুরোদমে শীতকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত। গেল মৌসুমে অকাল বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এবার আগের ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নেওয়ারও আশা করছেন।

 

তবে বিরূপ আবহাওয়ার ভয় তাদের মনে থেকেই যাচ্ছে। কৃষকরা মনে করছেন, কেবল আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেই ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমির সবজি। যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। মৌসুমের শুরুতেই জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার হেক্টরে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন সবজির উৎপাদন হবে।

 

সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সবজি চাষী সুজন মিয়া জানান, গত বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। বন্যায় তার প্রায় দুই লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তিনি ওই জমিতে আবার ফুল কপির আবাদ করেছেন। জমি তৈরি, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা করে লাভ পাওয়া যাবে।

 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন নানা জাতের সবজির আবাদ চলছে। তবে, আগাম জাতের সবজি ইতিমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে।  স্থানীয় চাষিরা আবাদ করছেন লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লালশাক, পালংশাক, ধনিয়া, ঢেঁড়শ, উচ্ছে, বরবটি, টমেটো ও বেগুন।

 

ধুল্লা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন জানান, ফলন ভাল হলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। স্থানীয় চাষিরা সারা বছরই সবজি চাষের সাথে জড়িত। সবজির আবাদ করেই কৃষকরা সংসারের যাবতীয় খরচ চালিয়ে আসছেন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে সার বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এবার সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।