কাজের স্বীকৃতি পেলেন ১০ কর কমিশনার !

  • আপডেট সময় : ১২:০২:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আয়কর ও রাজস্ব আহরণে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় ১০ কর কমিশনারকে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ( এনবিআর)।
সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় ১০ কর কমিশনারকে ‘কমিশনার অব টপ টেন’ এবং টপ টেনের মধ্য থেকে তিন কর কমিশনারকে ‘কমিশনার অব দ্য মান্থ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়কর বিভাগের মাসিক রাজস্ব সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এ ঘোষণা দেন।

টপ টেন কমিশনার হলেন: কর অঞ্চল-১১, ঢাকার হুমায়রা সাঈদা, কর অঞ্চল-১০, ঢাকার অপূর্ব কান্তি দাস, কর অঞ্চল-২, ঢাকার কানন কুমার রায়, কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রামের নজরুল ইসলাম, কর অঞ্চল রাজশাহীর দবির উদ্দিন, কর অঞ্চল-৪, চট্টগ্রামের আহমেদ উল্লাহ, কর অঞ্চল খুলনার ইকবাল হোসেন, কর অঞ্চল-৫, ঢাকার হাবিবুর রহমান আখন্দ, কর অঞ্চল-১৪, ঢাকার আ জা মু জিয়াউল হক ও কর অঞ্চল-১৫, ঢাকার মাহবুবা হোসাইন।

টপ টেনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সার্বিক সূচকে এগিয়ে থাকায় কর অঞ্চল-১১, ঢাকার হুমায়রা সাঈদা, কর অঞ্চল-১০, ঢাকার অপূর্ব কান্তি দাস, কর অঞ্চল-২, ঢাকার কানন কুমার রায়কে ‘কমিশনার অব দ্য মানথ’ ঘোষণা করা হয়।
সভায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর), বকেয়া কর আদায়, কর সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি, অডিট সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি, প্রচেষ্টা নির্ভর ও উৎসে কর আহরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

সভায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেটের উক্তি- ‘যথাযথ আইন ও প্রণোদনার অভাবে ধনী ব্যক্তিরা সঠিকভাবে কর প্রদান করছেন না’ বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতভাবে আটটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা এখন ২৮ লাখ ১৬ হাজার, এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, নতুন বছরে দেশব্যাপী হালখাতা আয়োজন করে বকেয়া আদায় করা, এনবিআর গৃহীত বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া, গত ৩ বছরে এনবিআর থেকে প্রদত্ত নির্দেশনা কার্যকরের উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের সমন্বয় করা, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে এনবিআরের মতো রাজস্ববান্ধব, করদাতাবান্ধব ও সেবাবান্ধব হওয়া, মাঠ পর্যায়ে কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, বৃহৎ করদাতা/ধনী/সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে বেশি বেশি রাজস্ব সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের নিকট থেকে কর সংগ্রহ কার্যক্রম আরো জোরদার করা।

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিচালিত কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণপূর্বক রাজস্ব সংগ্রহের ধারাবাহিকতা এবং গতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বার্তা দেয়, আমরা উন্নত হচ্ছি। আর এ উন্নতির মূল কুশীলব আমরা।  মনে রাখতে হবে, আমরা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কাজের স্বীকৃতি পেলেন ১০ কর কমিশনার !

আপডেট সময় : ১২:০২:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আয়কর ও রাজস্ব আহরণে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় ১০ কর কমিশনারকে বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ( এনবিআর)।
সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় ১০ কর কমিশনারকে ‘কমিশনার অব টপ টেন’ এবং টপ টেনের মধ্য থেকে তিন কর কমিশনারকে ‘কমিশনার অব দ্য মান্থ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়কর বিভাগের মাসিক রাজস্ব সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এ ঘোষণা দেন।

টপ টেন কমিশনার হলেন: কর অঞ্চল-১১, ঢাকার হুমায়রা সাঈদা, কর অঞ্চল-১০, ঢাকার অপূর্ব কান্তি দাস, কর অঞ্চল-২, ঢাকার কানন কুমার রায়, কর অঞ্চল-১, চট্টগ্রামের নজরুল ইসলাম, কর অঞ্চল রাজশাহীর দবির উদ্দিন, কর অঞ্চল-৪, চট্টগ্রামের আহমেদ উল্লাহ, কর অঞ্চল খুলনার ইকবাল হোসেন, কর অঞ্চল-৫, ঢাকার হাবিবুর রহমান আখন্দ, কর অঞ্চল-১৪, ঢাকার আ জা মু জিয়াউল হক ও কর অঞ্চল-১৫, ঢাকার মাহবুবা হোসাইন।

টপ টেনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সার্বিক সূচকে এগিয়ে থাকায় কর অঞ্চল-১১, ঢাকার হুমায়রা সাঈদা, কর অঞ্চল-১০, ঢাকার অপূর্ব কান্তি দাস, কর অঞ্চল-২, ঢাকার কানন কুমার রায়কে ‘কমিশনার অব দ্য মানথ’ ঘোষণা করা হয়।
সভায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর), বকেয়া কর আদায়, কর সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি, অডিট সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি, প্রচেষ্টা নির্ভর ও উৎসে কর আহরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

সভায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেটের উক্তি- ‘যথাযথ আইন ও প্রণোদনার অভাবে ধনী ব্যক্তিরা সঠিকভাবে কর প্রদান করছেন না’ বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতভাবে আটটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা এখন ২৮ লাখ ১৬ হাজার, এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, নতুন বছরে দেশব্যাপী হালখাতা আয়োজন করে বকেয়া আদায় করা, এনবিআর গৃহীত বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া, গত ৩ বছরে এনবিআর থেকে প্রদত্ত নির্দেশনা কার্যকরের উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের সমন্বয় করা, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে এনবিআরের মতো রাজস্ববান্ধব, করদাতাবান্ধব ও সেবাবান্ধব হওয়া, মাঠ পর্যায়ে কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, বৃহৎ করদাতা/ধনী/সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে বেশি বেশি রাজস্ব সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের নিকট থেকে কর সংগ্রহ কার্যক্রম আরো জোরদার করা।

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিচালিত কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণপূর্বক রাজস্ব সংগ্রহের ধারাবাহিকতা এবং গতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বার্তা দেয়, আমরা উন্নত হচ্ছি। আর এ উন্নতির মূল কুশীলব আমরা।  মনে রাখতে হবে, আমরা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি।