মঙ্গলবার | ১৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল Logo ভারতে বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়;দর্শকদের উচ্ছাস Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন! Logo চাঁদপুরে বিজয়ীর উদ্যোগে শতাধিক অসহায় মানুষ পেল বিনামূল্যে চক্ষু সেবা। Logo আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সদরপুর উপজেলা যুবদলের আয়োজনে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo চুয়াডাঙ্গা- ভালাইপুর-আলমডাঙ্গা সড়কে মোটর সাইকেল সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু Logo সরকারি অনুদান পেলেন নোবিপ্রবির ১৮ শিক্ষক Logo দেশমের পর ফ্রান্সের নতুন কোচ জিদান? Logo বাংলার মাটিতে ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখে মরতে চাই: শহীদ আবু সাঈদের বাবা Logo শেখ হাসিনা ও কামালের প্রত্যর্পণ চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠি পাঠাবে ঢাকা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন!

আগামী (২২ নভেম্বর)ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তাই এই দিবসকে ঘিরে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-পরিচালক মো. রাজিবুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষে ২২ নভেম্বর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ, অফিস, ইনস্টিটিউট, হল ও ল্যাবরেটরি স্কুল–কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ব্যানারসহ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমবেত হবেন। সকাল ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী।
পতাকা উত্তোলনের পর ভাইস চ্যান্সেলরসহ শীর্ষ প্রশাসন শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ ল্যাবরেটরি স্কুল–কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধন শেষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হবে, যা ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন ভাইস চ্যান্সেলর।
দিবসটি উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত এবং পরে মিলনায়তনে ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
উপলক্ষটি ঘিরে ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর মেইন গেট, প্রশাসন ভবন, ভিসি বাসভবন, ভিত্তিপ্রস্তর ও ডায়না চত্বর তিন দিনব্যাপী আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। প্রধান সড়কগুলোতে আলপনা ও রঙিন পতাকা স্থাপন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং ল্যাবরেটরি স্কুল–কলেজের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষার দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ১৯৭৭ সালে গঠিত পরিকল্পনা কমিটি এবং মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনার কাজ এগোতে থাকে।
১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, এবং ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট জাতীয় সংসদে পাশ হয়। ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদে ৩৬টি বিভাগে ১৪,৬৭৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, শিক্ষক সংখ্যা ৪০৬ জন, এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে ৭৩৯ জন কর্মরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত চারটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন!

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
আগামী (২২ নভেম্বর)ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তাই এই দিবসকে ঘিরে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-পরিচালক মো. রাজিবুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষে ২২ নভেম্বর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ, অফিস, ইনস্টিটিউট, হল ও ল্যাবরেটরি স্কুল–কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ব্যানারসহ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমবেত হবেন। সকাল ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী।
পতাকা উত্তোলনের পর ভাইস চ্যান্সেলরসহ শীর্ষ প্রশাসন শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ ল্যাবরেটরি স্কুল–কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধন শেষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হবে, যা ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন ভাইস চ্যান্সেলর।
দিবসটি উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত এবং পরে মিলনায়তনে ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
উপলক্ষটি ঘিরে ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর মেইন গেট, প্রশাসন ভবন, ভিসি বাসভবন, ভিত্তিপ্রস্তর ও ডায়না চত্বর তিন দিনব্যাপী আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। প্রধান সড়কগুলোতে আলপনা ও রঙিন পতাকা স্থাপন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং ল্যাবরেটরি স্কুল–কলেজের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষার দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ১৯৭৭ সালে গঠিত পরিকল্পনা কমিটি এবং মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনার কাজ এগোতে থাকে।
১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, এবং ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট জাতীয় সংসদে পাশ হয়। ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদে ৩৬টি বিভাগে ১৪,৬৭৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, শিক্ষক সংখ্যা ৪০৬ জন, এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে ৭৩৯ জন কর্মরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত চারটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।