শিরোনাম :
Logo বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কয়রায় দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ Logo সিরাজগঞ্জে এইচএসসি ও আলিমে সাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ ফেল Logo পরিবারে ন্যায়বিচার ও সন্তানের অধিকার ইসলাম, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব — তৌফিক সুলতান Logo শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড Logo খুবিতে জুলাই বিপ্লব বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহে তদন্ত কমিটি গঠন Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত  পিআর নিয়ে কোনোপ্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না -মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম Logo বাবুরহাটে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির “জনসভা ও র‍্যালী” Logo সুবিদপুরে মাদক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ফুটবল ম্যাচ মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন হয় সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান Logo তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইবি উপাচার্যের বিশেষ সংবর্ধনা Logo খুবিতে ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “ইনভেনটাম ৪.০”

সিরাজগঞ্জে এইচএসসি ও আলিমে সাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ ফেল

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৩৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে এবারের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কলেজ এবং দুইটি মাদরাসার একজন শিক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গত সাত বছরে একসঙ্গে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেল হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

জানা গেছে, শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো— শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি মাল্টিলেটার হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ড. মোজাহারুল ইসলাম মডেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছা মহিলা কলেজ, তাড়াশ উপজেলার মধুনগর আদিবাসী আদর্শ কলেজ এবং রাণীরহাট আদর্শ কলেজ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় উল্লাপাড়া উপজেলার পুকুরপাড় এস অ্যান্ড বি ফাজিল মাদরাসা এবং বন্যাকান্দি আলিম মাদরাসা।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার বলেন, এই ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সংকট, অনিয়মিত ক্লাস এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার অভাবই প্রধান কারণ। তিনি আরও জানান, শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ সাড়া দেননি।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল জাব্বার বলেন, এটি কেবল কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা নয়, পুরো জেলার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য এক সতর্কবার্তা। শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনিক নজরদারির অভাব এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অনীহা এখন বড় সংকটে পরিণত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয় না, প্রয়োজনীয় শিক্ষকও নেই। অনেকে প্রাইভেট পড়ার সামর্থ্য না থাকলেও বাধ্য হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন।

তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সিরাজগঞ্জে শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা ছিল দুটি। এবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচে, সঙ্গে যোগ হয়েছে দুইটি মাদরাসা।

শিক্ষাবিদদের মতে, এই ফলাফল কেবল একটি পরিসংখ্যান নয়—এটি জেলার শিক্ষার গুণগত মানের অবনতির কঠোর বার্তা। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে প্রান্তিক অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্রমে মূলধারার শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়বে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কয়রায় দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ

সিরাজগঞ্জে এইচএসসি ও আলিমে সাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ ফেল

আপডেট সময় : ০৪:২০:৩৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে এবারের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কলেজ এবং দুইটি মাদরাসার একজন শিক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গত সাত বছরে একসঙ্গে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের শতভাগ ফেল হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

জানা গেছে, শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো— শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি মাল্টিলেটার হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ড. মোজাহারুল ইসলাম মডেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছা মহিলা কলেজ, তাড়াশ উপজেলার মধুনগর আদিবাসী আদর্শ কলেজ এবং রাণীরহাট আদর্শ কলেজ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় উল্লাপাড়া উপজেলার পুকুরপাড় এস অ্যান্ড বি ফাজিল মাদরাসা এবং বন্যাকান্দি আলিম মাদরাসা।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তার বলেন, এই ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সংকট, অনিয়মিত ক্লাস এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার অভাবই প্রধান কারণ। তিনি আরও জানান, শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ সাড়া দেননি।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল জাব্বার বলেন, এটি কেবল কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা নয়, পুরো জেলার শিক্ষাব্যবস্থার জন্য এক সতর্কবার্তা। শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনিক নজরদারির অভাব এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অনীহা এখন বড় সংকটে পরিণত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয় না, প্রয়োজনীয় শিক্ষকও নেই। অনেকে প্রাইভেট পড়ার সামর্থ্য না থাকলেও বাধ্য হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন।

তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সিরাজগঞ্জে শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা ছিল দুটি। এবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচে, সঙ্গে যোগ হয়েছে দুইটি মাদরাসা।

শিক্ষাবিদদের মতে, এই ফলাফল কেবল একটি পরিসংখ্যান নয়—এটি জেলার শিক্ষার গুণগত মানের অবনতির কঠোর বার্তা। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে প্রান্তিক অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্রমে মূলধারার শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়বে।