শিরোনাম :
Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১ Logo দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ডাকেটকে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড Logo সাইবার নিরাপত্তা আইন এখন অনেক সক্রিয় : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ Logo সাতক্ষীরায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo ইবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার Logo চাঁদপুর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময়

থাই সীমান্তে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর ড্রোন বিধ্বস্ত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর একটি ড্রোন থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি অভ্যুত্থান বিরোধী যোদ্ধাদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।

এই ঘটনার পর থাই সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা ও প্রতিবেশী দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ব্যাংকক থেকে এএফপি জানিয়েছে, ২০২১ সালে মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান গৃহযুদ্ধের অভিঘাতে পশ্চিম থাইল্যান্ড প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জান্তা সেনার সদস্যদের পালিয়ে যাওয়া, শরণার্থী বেসামরিক নাগরিকদের দেশত্যাগ ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় দিশেহারা অভিবাসীরা প্রায়ই ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার (১ হাজার ৫০০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে।

থাই সেনাবাহিনী মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সোমবার তাক প্রদেশের একটি জঙ্গলে থাই সীমান্তের প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভেতর থেকে একটি ‘কামিকাজে ড্রোন’ উদ্ধার করা হয়।

এতে কোনো বেসামরিক লোক আহত বা নিহত হয়নি এবং কোনো সম্পত্তির ক্ষতিও হয়নি বলে জানায় তারা।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ড্রোনটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ছিল ও এটি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।

তবে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরে এসে বিধ্বস্ত হয়।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রোনটির বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করে। পাশাপাশি সীমান্ত সংলাপের জন্য গঠিত যৌথ কমিশনের মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে মিয়ানমারকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের জান্তা ও তাদের বিপক্ষের বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী এখন কৌশলগত সুবিধা নিতে ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোন ব্যবহার করছে। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই গৃহযুদ্ধে ড্রোন এক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মনিটরিং সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা (এসিএলইডি) জানায়, ড্রোন হামলার সংখ্যায় মিয়ানমার এখন ইউক্রেন ও রাশিয়ার পর বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ড্রোনের সহজলভ্যতা, সহজে রূপান্তরযোগ্যতা ও কম খরচে কার্যকর ব্যবহার সামরিক বাহিনী ও প্রতিরোধ যোদ্ধা উভয়ের জন্য সুবিধাজনক।

এতে একদিকে লক্ষ্যভেদে সফলতা বাড়ছে, অন্যদিকে সাধারণ যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা কিছুটা হলেও কমছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন

থাই সীমান্তে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর ড্রোন বিধ্বস্ত

আপডেট সময় : ০৮:৪০:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর একটি ড্রোন থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি অভ্যুত্থান বিরোধী যোদ্ধাদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।

এই ঘটনার পর থাই সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা ও প্রতিবেশী দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ব্যাংকক থেকে এএফপি জানিয়েছে, ২০২১ সালে মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান গৃহযুদ্ধের অভিঘাতে পশ্চিম থাইল্যান্ড প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জান্তা সেনার সদস্যদের পালিয়ে যাওয়া, শরণার্থী বেসামরিক নাগরিকদের দেশত্যাগ ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় দিশেহারা অভিবাসীরা প্রায়ই ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার (১ হাজার ৫০০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে।

থাই সেনাবাহিনী মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সোমবার তাক প্রদেশের একটি জঙ্গলে থাই সীমান্তের প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভেতর থেকে একটি ‘কামিকাজে ড্রোন’ উদ্ধার করা হয়।

এতে কোনো বেসামরিক লোক আহত বা নিহত হয়নি এবং কোনো সম্পত্তির ক্ষতিও হয়নি বলে জানায় তারা।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ড্রোনটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ছিল ও এটি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।

তবে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরে এসে বিধ্বস্ত হয়।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রোনটির বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করে। পাশাপাশি সীমান্ত সংলাপের জন্য গঠিত যৌথ কমিশনের মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে মিয়ানমারকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের জান্তা ও তাদের বিপক্ষের বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী এখন কৌশলগত সুবিধা নিতে ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোন ব্যবহার করছে। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই গৃহযুদ্ধে ড্রোন এক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মনিটরিং সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা (এসিএলইডি) জানায়, ড্রোন হামলার সংখ্যায় মিয়ানমার এখন ইউক্রেন ও রাশিয়ার পর বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ড্রোনের সহজলভ্যতা, সহজে রূপান্তরযোগ্যতা ও কম খরচে কার্যকর ব্যবহার সামরিক বাহিনী ও প্রতিরোধ যোদ্ধা উভয়ের জন্য সুবিধাজনক।

এতে একদিকে লক্ষ্যভেদে সফলতা বাড়ছে, অন্যদিকে সাধারণ যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা কিছুটা হলেও কমছে।