শিরোনাম :
Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারে হাসনাত আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে! Logo রোহিঙ্গা সংকট ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডব্লিউএফপি প্রধানের বৈঠক Logo খুবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাত বছরে পদার্পণ! Logo সামনের দিনে অনেক বিপদ আসবে: মির্জা ফখরুল Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন: নিহত বেড়ে ১৬ Logo সিভাসু অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কচুয়ার সন্তান মোহাম্মদ  গোলাম মাওলা শাহীন Logo জাতীয় রাজনীতিতে তারুণ্যের এক উজ্জল নক্ষত্র কৃষিবিদ শাহাদত হোসেন বিপ্লব

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের, পুলিশের বিচার দাবি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। যমুনার অভিমুখে কাকরাইল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় এই ঘোষণা দেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে। ঘাতক পুলিশের বিচার করতে হবে।

এসময় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন বলেন, সরকারের এই কর্মকান্ডে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত। পুলিশের এই বিচার করতে হবে।

এসময় শিক্ষার্থী, জেগেছেরে জেগেছে জবিয়ান জেগেছে, আমার ভাই অনাহারে যমুনা কি করে, এসেছি যমুনায় যাবোনা খালিহাতে, আমার ভাই আহত কেন ইন্টেরিম জবাব চাই এসব স্লোগান দেন।
এদিন বিকাল ৩ টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.সাবিনা শরমিন, ব্যাবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শের উপস্থিন হন।
এর আগে, সকাল ১১ টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষার্থী। লং মার্চ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সহ শতাধিক আহত হয়েছেন ।

শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মৎস ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড় আসলেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এই লং মার্চে পুলিশ হামলা চালায়।
এসময় কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোডে আসতেই অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। টিয়ারগ্যাস, লাঠি চার্জে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংলিশ বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন, এছাড়া ঢাকা ট্রিবিউন এর জবি প্রতিনিধি সোহানুর রহমান, দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান ।পুলিশি হামলায় অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী গুরতর আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.তাজাম্মুল হক বলেন, আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের উপির পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচারণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে যাওয়া হবে না।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ঐ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে ;জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের, পুলিশের বিচার দাবি

আপডেট সময় : ০৬:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। যমুনার অভিমুখে কাকরাইল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় এই ঘোষণা দেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে। ঘাতক পুলিশের বিচার করতে হবে।

এসময় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন বলেন, সরকারের এই কর্মকান্ডে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত। পুলিশের এই বিচার করতে হবে।

এসময় শিক্ষার্থী, জেগেছেরে জেগেছে জবিয়ান জেগেছে, আমার ভাই অনাহারে যমুনা কি করে, এসেছি যমুনায় যাবোনা খালিহাতে, আমার ভাই আহত কেন ইন্টেরিম জবাব চাই এসব স্লোগান দেন।
এদিন বিকাল ৩ টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.সাবিনা শরমিন, ব্যাবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শের উপস্থিন হন।
এর আগে, সকাল ১১ টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষার্থী। লং মার্চ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সহ শতাধিক আহত হয়েছেন ।

শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মৎস ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড় আসলেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এই লং মার্চে পুলিশ হামলা চালায়।
এসময় কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোডে আসতেই অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। টিয়ারগ্যাস, লাঠি চার্জে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংলিশ বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন, এছাড়া ঢাকা ট্রিবিউন এর জবি প্রতিনিধি সোহানুর রহমান, দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান ।পুলিশি হামলায় অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী গুরতর আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.তাজাম্মুল হক বলেন, আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের উপির পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচারণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে যাওয়া হবে না।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ঐ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে ;জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।