শিরোনাম :
Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারে হাসনাত আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে! Logo রোহিঙ্গা সংকট ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডব্লিউএফপি প্রধানের বৈঠক Logo খুবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাত বছরে পদার্পণ! Logo সামনের দিনে অনেক বিপদ আসবে: মির্জা ফখরুল Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন: নিহত বেড়ে ১৬ Logo সিভাসু অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কচুয়ার সন্তান মোহাম্মদ  গোলাম মাওলা শাহীন Logo জাতীয় রাজনীতিতে তারুণ্যের এক উজ্জল নক্ষত্র কৃষিবিদ শাহাদত হোসেন বিপ্লব

আন্দোলনের নামে জবির মেডিক্যাল দখল শিক্ষার্থীদের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

আবাসন ভাতা, হল নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে বেড ও বালিশ নিয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী শের আলীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের একটি কক্ষে অবস্থান শুরু করেন তারা। এরপর থেকে তিন সপ্তাহ পার হলেও মেডিক্যাল সেন্টারের ওই কক্ষ ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিক্যাল সেন্টারের ওই কক্ষে অবস্থান করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। থাকার জন্য সেখানে টানানো হয়েছে মশারি। এছাড়া দড়ি বেঁধে কাপড় শুকানোর ব্যবস্থাও করেছেন তারা। এর আগে মেডিক্যালের ওই কক্ষের একটি পাত্রে সিগারেটের ফিল্টার ও ছাই রাখা একটি ভিডিও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মেডিক্যালে অবস্থানরত অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহান বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেডিক্যাল সেন্টার ছাড়বো না।” মেডিক্যাল সেন্টারে সিগারেটের ফিল্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এগুলোর বিষয়ে আমি জানি না।”

অবস্থানরত শিক্ষার্থী শের আলী বলেন, আমরা মেডিক্যাল সেন্টার থেকে খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবো। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এখানে ছিলাম ,এখন আর যেহেতু কাথাবালিশ কর্মসূচি নেই এজন্য ২/৩ দিনের মধ্যে ওইটা ছেড়ে দিবো।

তিনি আরো বলেন, মেডিকেলের আমরা যে রুমে আছি এখানে খুব বেশি রোগী আসেনা।মোডিক্যাল সেন্টারের যেখানে ডাক্তার বসে ওখানে দুইটা বেড আছে ওখানেই থাকতে জরুরি চিকিৎসা নেয়া শিক্ষার্থীরা।মেডিক্যাল সেন্টারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সিগারেট সেবনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আসলে এমন কিছু দেখিনি। সিসি ক্যামেরা চেক করলেই সবটা জানা যাবে।

দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। মো. মামুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আন্দোলনের অনেক ভাষা রয়েছে, এভাবে মেডিক্যাল ওয়ার্ড দখল করে আন্দোলন চলতে পারে না।” এছাড়াও শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছে। সুতরাং মেডিক্যালে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উচিত মেডিক্যাল সেন্টার ছেড়ে দেওয়া।

এ বিষয়ে সেন্টারের উপ-চিকিৎসা কর্মকর্তা মিতা শবনম বলেন, “তারা বলছেন তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবস্থান করছেন। ফল না পাওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, তারা এসে কথা বলেছিলেন, তবুও তারা ওয়ার্ড ছেড়ে যাননি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি ইমারজেন্সি বেড আছে, যেখানে হয়তো কোনো জরুরি রোগী এলে আমরা সেবা দিতে পারি। কিন্তু যদি এমন কোনো শিক্ষার্থী বা একাধিক শিক্ষার্থী আসেন যাদের ওয়ার্ড প্রয়োজন, তখন তো বিষয়টি সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

আন্দোলনের নামে জবির মেডিক্যাল দখল শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

আবাসন ভাতা, হল নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে বেড ও বালিশ নিয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী শের আলীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের একটি কক্ষে অবস্থান শুরু করেন তারা। এরপর থেকে তিন সপ্তাহ পার হলেও মেডিক্যাল সেন্টারের ওই কক্ষ ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিক্যাল সেন্টারের ওই কক্ষে অবস্থান করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। থাকার জন্য সেখানে টানানো হয়েছে মশারি। এছাড়া দড়ি বেঁধে কাপড় শুকানোর ব্যবস্থাও করেছেন তারা। এর আগে মেডিক্যালের ওই কক্ষের একটি পাত্রে সিগারেটের ফিল্টার ও ছাই রাখা একটি ভিডিও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মেডিক্যালে অবস্থানরত অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহান বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেডিক্যাল সেন্টার ছাড়বো না।” মেডিক্যাল সেন্টারে সিগারেটের ফিল্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এগুলোর বিষয়ে আমি জানি না।”

অবস্থানরত শিক্ষার্থী শের আলী বলেন, আমরা মেডিক্যাল সেন্টার থেকে খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবো। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এখানে ছিলাম ,এখন আর যেহেতু কাথাবালিশ কর্মসূচি নেই এজন্য ২/৩ দিনের মধ্যে ওইটা ছেড়ে দিবো।

তিনি আরো বলেন, মেডিকেলের আমরা যে রুমে আছি এখানে খুব বেশি রোগী আসেনা।মোডিক্যাল সেন্টারের যেখানে ডাক্তার বসে ওখানে দুইটা বেড আছে ওখানেই থাকতে জরুরি চিকিৎসা নেয়া শিক্ষার্থীরা।মেডিক্যাল সেন্টারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সিগারেট সেবনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আসলে এমন কিছু দেখিনি। সিসি ক্যামেরা চেক করলেই সবটা জানা যাবে।

দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। মো. মামুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আন্দোলনের অনেক ভাষা রয়েছে, এভাবে মেডিক্যাল ওয়ার্ড দখল করে আন্দোলন চলতে পারে না।” এছাড়াও শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছে। সুতরাং মেডিক্যালে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উচিত মেডিক্যাল সেন্টার ছেড়ে দেওয়া।

এ বিষয়ে সেন্টারের উপ-চিকিৎসা কর্মকর্তা মিতা শবনম বলেন, “তারা বলছেন তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবস্থান করছেন। ফল না পাওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, তারা এসে কথা বলেছিলেন, তবুও তারা ওয়ার্ড ছেড়ে যাননি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি ইমারজেন্সি বেড আছে, যেখানে হয়তো কোনো জরুরি রোগী এলে আমরা সেবা দিতে পারি। কিন্তু যদি এমন কোনো শিক্ষার্থী বা একাধিক শিক্ষার্থী আসেন যাদের ওয়ার্ড প্রয়োজন, তখন তো বিষয়টি সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।”