আগামী ১ মে শ্রমিক দিবসে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সমাবেশ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। আশা করছি বিশাল জনসভা হবে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সমাবেশ উপলক্ষ্যে এক যৌথসভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের এক যৌথসভা হয়।
সরকারি ছুটির দিনে সমাবেশ হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ কম হবে বলেও আশা করেন নজরুল ইসলাম। ১ মে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইচ্ছা ছিল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) থাকতে অনুরোধ করব। কিন্তু উনার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এজন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অনুরোধ করেছি। আশা করছি, তিনি ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন।
সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম।
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বিএনপি সমর্থন করে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশন শুধু শ্রমিকদের দিয়ে নয়, এই কমিশনের সদস্য হিসেবে সরকার পক্ষের লোক আছে, মালিক পক্ষের লোক আছে এবং স্বাধীন ব্যক্তিও আছেন। কাজে তারা সবাই মিলে যে সুপারিশ করেছে শ্রমিকদের সব আকাঙ্ক্ষার কথা পূরণ করা যায়নি। কিন্তু যতটুকু করা হয়েছে সেটাকে আমরা সমর্থন করি।
বিএনপির এই শ্রমিক নেতা বলেন, এ দেশের শ্রমজীবী মানুষরা ভালো নেই। আগেও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারিনি। মে দিবসের মূল দাবি ছিল, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ। এই দাবি আদায়ের লড়াই ছিল মে দিবসের লড়াই। কিন্তু বিজয় লাভের পরও সব শ্রমিক ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার পেয়েছে এটা বলা যাবে না।
দেশের সংগঠিত শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করানো হয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা বিনা বেতনে—এমন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শ্রম আইন অনুযায়ী ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবে শ্রমিকদেরকে দীর্ঘ সময় কাজ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোনো অতিরিক্ত পারিশ্রমিক ছাড়া, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’
বিএনপির এই শ্রমিক নেতা বলেন, এ দেশের শ্রমজীবী মানুষরা ভালো নেই। আগেও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারিনি। মে দিবসের মূল দাবি ছিল, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ। এই দাবি আদায়ের লড়াই ছিল মে দিবসের লড়াই। কিন্তু বিজয় লাভের পরও সব শ্রমিক ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার পেয়েছে এটা বলা যাবে না।
আমাদের দেশে সংগঠিত শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো হয়, সেটা অনেক ক্ষেত্রে বিনা বেতনে বলেও দাবি করেন নজরুল ইসলাম।
একই সঙ্গে আসন্ন ঢাকার সমাবেশকে ঘিরে শ্রমিক দলের প্রস্তুতির কথা জানান তিনি। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সমাবেশ সফল করতে আমরা ইতোমধ্যে একাধিক মিটিং করেছি এবং একটি উদযাপন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আমন্ত্রণে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা সমাবেশকে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের জন্য কৌশল নির্ধারণ করেছি।’
ঢাকার সমাবেশে আশপাশের জেলার নেতারা অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, অন্যান্য জেলার নেতারা নিজ নিজ জেলায় আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করবেন বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।