শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

খুবিতে কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি দেশের অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবন। এই অগ্রগতিকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করতে পারে কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম। একক চর্চার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি দেশের ভিন্ন ভিন্ন গবেষকদের মধ্যে একটি সমন্বিত ও সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি করাই যৌথ গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। এ ধরনের গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন হবে আরও বাস্তবমুখী, ইমপ্যাক্টফুল ও টেকসই। আজ ৯ এপ্রিল (বুধবার) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার আয়োজিত ‘কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই পিএইচডি ডিগ্রিধারী, যার ফলে তাদের গবেষণার ক্ষেত্রও বিস্তৃত। সম্প্রতি “হিট” প্রকল্পে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা প্রকল্প জমা দিয়েছেন, এজন্য তিনি শিক্ষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, গবেষণাকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে হলে কোলাবরেটিভ রিসার্চ অত্যন্ত জরুরি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ইতোমধ্যে অনেক শিল্প ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে গবেষণা করেছেন। প্রবীণ গবেষকদের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তরুণ শিক্ষকরাও এই ধরনের গবেষণায় যুক্ত হয়ে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই বহু আগে থেকে কোলাবরেটিভ রিসার্চের চর্চা হয়ে আসছে। আমাদের গবেষণাতেও বিভিন্ন কম্পোনেন্টে কাজ করতে হয়, যেখানে যৌথ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষ করে বড় পরিসরে গবেষণা করতে গেলে কোলাবরেটিভ রিসার্চ অপরিহার্য। এটি একটি সময়োপযোগী ও কার্যকর পদ্ধতি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। তিনি তাঁর বক্তৃতায় কোলাবরেটিভ রিসার্চ সংক্রান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা ও সভাপতিত্ব করেন রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন রিসার্চ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন তুহিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল সেশনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম কোলাবরেটিভ রিসার্চের বিভিন্ন ধরন, প্রয়োজনীয়তা ও মূল্যায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পরিধিকে আরও বিস্তৃত করতে এ ধরনের গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এ কর্মশালায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

খুবিতে কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি দেশের অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবন। এই অগ্রগতিকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করতে পারে কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম। একক চর্চার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি দেশের ভিন্ন ভিন্ন গবেষকদের মধ্যে একটি সমন্বিত ও সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি করাই যৌথ গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। এ ধরনের গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন হবে আরও বাস্তবমুখী, ইমপ্যাক্টফুল ও টেকসই। আজ ৯ এপ্রিল (বুধবার) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার আয়োজিত ‘কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই পিএইচডি ডিগ্রিধারী, যার ফলে তাদের গবেষণার ক্ষেত্রও বিস্তৃত। সম্প্রতি “হিট” প্রকল্পে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা প্রকল্প জমা দিয়েছেন, এজন্য তিনি শিক্ষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, গবেষণাকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে হলে কোলাবরেটিভ রিসার্চ অত্যন্ত জরুরি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ইতোমধ্যে অনেক শিল্প ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে গবেষণা করেছেন। প্রবীণ গবেষকদের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তরুণ শিক্ষকরাও এই ধরনের গবেষণায় যুক্ত হয়ে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই বহু আগে থেকে কোলাবরেটিভ রিসার্চের চর্চা হয়ে আসছে। আমাদের গবেষণাতেও বিভিন্ন কম্পোনেন্টে কাজ করতে হয়, যেখানে যৌথ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষ করে বড় পরিসরে গবেষণা করতে গেলে কোলাবরেটিভ রিসার্চ অপরিহার্য। এটি একটি সময়োপযোগী ও কার্যকর পদ্ধতি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। তিনি তাঁর বক্তৃতায় কোলাবরেটিভ রিসার্চ সংক্রান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা ও সভাপতিত্ব করেন রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন রিসার্চ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন তুহিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল সেশনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম কোলাবরেটিভ রিসার্চের বিভিন্ন ধরন, প্রয়োজনীয়তা ও মূল্যায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পরিধিকে আরও বিস্তৃত করতে এ ধরনের গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এ কর্মশালায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।