শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর ব্যাংকার্স ক্লাবের যাকাতের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল Logo রাবির জাতিয়তাবাদী পেশাজীবি পরিষদ উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ক্যাম্পাসে ছাড়লেন ইবি শিক্ষক Logo বুধবার গ্যাস থাকবে না চট্টগ্রাম যেসব এলাকায় Logo কুবির পরিবহনব্যবস্থায় চালু হচ্ছে ট্র্যাকিং সুবিধা Logo খুবির স্বাধীনতা দিবস ও রমজান উপলক্ষে ইফতার ও প্রীতিভোজ আয়োজন Logo পঞ্চগড়ে ইটভাটায় জরিমানা, ভাঙচুর বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মরকলিপি প্রদান Logo কালের সাক্ষী এখনো দাঁড়িয়ে আছে কচুয়ায় ২শ বছরের পুরোনো বটগাছ Logo ‎১৬ দিনের ছুটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। Logo নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে প্রকাশ্যে প্রতীকী ফাঁসি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি : দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করে নারীসহ জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে উক্ত কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।প্যারিস রোড সংলগ্ন ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করে সেখানে প্রতিকী ফাঁসি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে।

উক্ত কর্মসূচিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা আনজুম মিম বলেন, ধর্ষকের কঠিন বিচার, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। আমাদের ইন্টারিম সরকার ধর্ষকের বিচারে ১৮০ দিনের টালবাহানা করছে, ততদিনে বাংলাদেশে আরও হাজার হাজার ইস্যু চলে আসবে, এবং এটি ধামাচাপা পড়ে যাবে। যেমন আমরা তনুকে ভুলে গেছি, তেমনি এই ১৮০ দিনে আমরা আছিয়াকেও ভুলে যাবো। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি-আমরা যেন সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাস ও হলপাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদে চলাচল করতে পারি, সেই পদক্ষেপ যেন দ্রুত নেওয়া হয় এবং এটি যেন শুধুমাত্র হল বন্ধের সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম সজিব বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ আয়োজন। আমরা এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে ইন্টেরিম সরকারকে একটা মেসেজ দিতে চাই যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষকের যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, তারা যেন সেটা দ্রত বাস্তবায়ন করে একটা নজির সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার কে অনুরোধ করবো যে, ধর্ষণের তদন্তের জন্য যে ডিএনএ স্যাম্পলিং মেশিন দরকার যেটা শুধু ঢাকায় আছে, সেটা যেন প্রত্যেক বিভাগে দেওয়া হয়৷

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আজকের এই মঞ্চকে আমরা বাংলাদেশের সকল ধর্ষকের ফাঁসির মঞ্চ হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে চাচ্ছি। এখানে একটা দলকে এলিট শ্রেণী দেখে তাদের বিচারকার্য স্থগিত করা, র‍‍্যাব আলেপের বিচারকার্য এই ফাঁসির মঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে, তেমনি আছিয়ার ধর্ষকের বিচারকার্য এই মঞ্চেই সম্পন্ন করতে হবে। পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাবার বিচারও এই মঞ্চেই করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর সহ তনু হত্যায় জড়িত সেনাবাহিনী কর্মকর্তার ও বিচার করতে হবে। এই ফাঁসির মঞ্চ কোনো ধনী গরীব ভেদাভেদ করবে না। আমরা যেমন আসিয়ার ধর্ষকের জন্য সরব হচ্ছি, তেমনি যেন রোজাদার মহিলাকে ধর্ষণ করা আলেপের বিচারের জন্যও সরব হই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর ব্যাংকার্স ক্লাবের যাকাতের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে প্রকাশ্যে প্রতীকী ফাঁসি

আপডেট সময় : ০২:৫৫:০৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি : দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করে নারীসহ জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে উক্ত কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।প্যারিস রোড সংলগ্ন ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করে সেখানে প্রতিকী ফাঁসি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে।

উক্ত কর্মসূচিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা আনজুম মিম বলেন, ধর্ষকের কঠিন বিচার, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। আমাদের ইন্টারিম সরকার ধর্ষকের বিচারে ১৮০ দিনের টালবাহানা করছে, ততদিনে বাংলাদেশে আরও হাজার হাজার ইস্যু চলে আসবে, এবং এটি ধামাচাপা পড়ে যাবে। যেমন আমরা তনুকে ভুলে গেছি, তেমনি এই ১৮০ দিনে আমরা আছিয়াকেও ভুলে যাবো। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি-আমরা যেন সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাস ও হলপাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদে চলাচল করতে পারি, সেই পদক্ষেপ যেন দ্রুত নেওয়া হয় এবং এটি যেন শুধুমাত্র হল বন্ধের সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম সজিব বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ আয়োজন। আমরা এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে ইন্টেরিম সরকারকে একটা মেসেজ দিতে চাই যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষকের যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, তারা যেন সেটা দ্রত বাস্তবায়ন করে একটা নজির সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার কে অনুরোধ করবো যে, ধর্ষণের তদন্তের জন্য যে ডিএনএ স্যাম্পলিং মেশিন দরকার যেটা শুধু ঢাকায় আছে, সেটা যেন প্রত্যেক বিভাগে দেওয়া হয়৷

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আজকের এই মঞ্চকে আমরা বাংলাদেশের সকল ধর্ষকের ফাঁসির মঞ্চ হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে চাচ্ছি। এখানে একটা দলকে এলিট শ্রেণী দেখে তাদের বিচারকার্য স্থগিত করা, র‍‍্যাব আলেপের বিচারকার্য এই ফাঁসির মঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে, তেমনি আছিয়ার ধর্ষকের বিচারকার্য এই মঞ্চেই সম্পন্ন করতে হবে। পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাবার বিচারও এই মঞ্চেই করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর সহ তনু হত্যায় জড়িত সেনাবাহিনী কর্মকর্তার ও বিচার করতে হবে। এই ফাঁসির মঞ্চ কোনো ধনী গরীব ভেদাভেদ করবে না। আমরা যেমন আসিয়ার ধর্ষকের জন্য সরব হচ্ছি, তেমনি যেন রোজাদার মহিলাকে ধর্ষণ করা আলেপের বিচারের জন্যও সরব হই।