শিরোনাম :
Logo আগস্টে ঢাকায় আসতে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী Logo সরকারি নথিতে ভয়াবহ মারণাস্ত্র ব্যবহারের চিত্র Logo তেঁতুলিয়ায় সড়ক বিহীন স্থানে সেতু নির্মাণ, দুদকের অভিযান। Logo চুয়াডাঙ্গায় গণপূর্ত অফিসের গাছ কেটে ভাগবাটোয়ারা : চার কর্মচারীকে শোকজ Logo চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় যুবতীর মরদেহ উদ্ধার: রহস্য Logo জীবননগরে সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালালেন বিএনপি নেতা Logo খুবির শিক্ষাক্রম ও মনোরম পরিবেশে আকৃষ্ট দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা Logo খুবির রিসার্চ এডভাইজারি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo শতভাগ আবাসন ও রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণার দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন Logo মহেশপুরের কুশাডাঙ্গা বটতলায় ‘ইত্যাদি’-এর ধারণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে পা রাখবেন না : বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:৫১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে
জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চলাকালে নীরবতা পালন করার অভিযোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ্পুকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্রসংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ করে ছিলেন।’

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই আহ্বায়ক বলেন, এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা পালিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে; অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দীন বহাল আছেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি। তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দীনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত, বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা। আশা করছি, তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন।

রাষ্ট্রপতিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরবর্তীকালে এতে সম্পৃক্ত হন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র্যাপ সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগস্টে ঢাকায় আসতে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে পা রাখবেন না : বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

আপডেট সময় : ১২:১৮:৫১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চলাকালে নীরবতা পালন করার অভিযোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ্পুকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্রসংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ করে ছিলেন।’

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই আহ্বায়ক বলেন, এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা পালিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে; অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দীন বহাল আছেন।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি। তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দীনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত, বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা। আশা করছি, তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন।

রাষ্ট্রপতিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরবর্তীকালে এতে সম্পৃক্ত হন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র্যাপ সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।