ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আরও ৩টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, ৫ আগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পুরো শৈলকুপা শান্ত ছিল। হঠাৎ এমন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে একটি দুর্বৃত্তচক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে রাতেই একটি মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা শহরের ওয়াপদা গেইটের সড়কে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পরে স্থানীয়রা এসে ককটেল দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বিস্ফোরণ হওয়া ককটেলসহ আরো ৩টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে।
এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল কবিরপুর থেকে শুরু হয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে। এসময় তারা ‘হই হই রই রই আওয়ামী লীগ গেলি কই’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বোমাবাঁজদের আস্তানা শৈলকুপায় হবেনা’ সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
শৈলকুপা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা শান্ত শৈলকুপাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে এ ধরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মধ্যে শৈলকুপা একটি মডেল উপজেলা। এই উপজেলাকে বিগত আমলের মতো অশান্ত করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের এই অপচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।’
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটস্থলে গিয়ে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায় এবং আরো তিনটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটির তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।