শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

শেরপুরে সৎভাইদের ফাঁসাতে নিজের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

আরফান আলী, শেরপুর:
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জনৈক কমর আলীর ছেলে জামাদার আলী পেশায় একজন জুয়ারী বলে এলাকায় পরিচিত। জামাদার আলী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে পূর্বশত্রুতার এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার সৎ ভাই মোঃ আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতে নিজ ঔরসজাত নাবালিকা কন্যা বাকপ্রতিবন্ধী সাদিয়া বেগম (১৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে একটি ফসলি জমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জামাদার মিয়া গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে নাবালিকা বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে কামারেরচর বাজারে নিয়ে যায়। পরে সাদিয়া বেগমকে প্রথমে জনৈক হারুনের দোকানে সিঙ্গারা ও পুরি খাওয়ায় এবং পরবর্তীতে একই বাজারের ফারুকের দোকান থেকে পাউরুটি কিনে দেয়। পরে সাদিয়া বেগমকে জামাদার মিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবার সময় বাজারের লোকজন জামাদার মিয়ার হাতে একটি ধারালো দা দেখতে পান। যা বাজারের দোকানীদের সিসি ক্যামেয়ায় ধারণ এবং লক্ষ্য করা যায়। পরদিন গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি খেতে সাদিয়া বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সদর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ সাদিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় পর থেকেই সাদিয়া বেগমের পাষন্ড বাবা জামাদার মিয়া পলাতক রয়েছে।

এদিকে জামাদার মিয়া ও নিহত সাদিয়া বেগমের গোষ্ঠীর লোকজন এবং গ্রামবাসী ধারণা করছেন সৎ ভাই আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতেই নিজ বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে হত্যা করেছেন বলে এমন নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন তার বাবা জামাদার মিয়া।

এদিক মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক বলেন, নিহত সাদিয়া বেগমের বাবা জামাদার মিয়াকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তিনি এমনটাই জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

শেরপুরে সৎভাইদের ফাঁসাতে নিজের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

আরফান আলী, শেরপুর:
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জনৈক কমর আলীর ছেলে জামাদার আলী পেশায় একজন জুয়ারী বলে এলাকায় পরিচিত। জামাদার আলী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে পূর্বশত্রুতার এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার সৎ ভাই মোঃ আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতে নিজ ঔরসজাত নাবালিকা কন্যা বাকপ্রতিবন্ধী সাদিয়া বেগম (১৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে একটি ফসলি জমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া গ্রামের জামাদার মিয়া গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে নাবালিকা বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে কামারেরচর বাজারে নিয়ে যায়। পরে সাদিয়া বেগমকে প্রথমে জনৈক হারুনের দোকানে সিঙ্গারা ও পুরি খাওয়ায় এবং পরবর্তীতে একই বাজারের ফারুকের দোকান থেকে পাউরুটি কিনে দেয়। পরে সাদিয়া বেগমকে জামাদার মিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাবার সময় বাজারের লোকজন জামাদার মিয়ার হাতে একটি ধারালো দা দেখতে পান। যা বাজারের দোকানীদের সিসি ক্যামেয়ায় ধারণ এবং লক্ষ্য করা যায়। পরদিন গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি খেতে সাদিয়া বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সদর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ সাদিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় পর থেকেই সাদিয়া বেগমের পাষন্ড বাবা জামাদার মিয়া পলাতক রয়েছে।

এদিকে জামাদার মিয়া ও নিহত সাদিয়া বেগমের গোষ্ঠীর লোকজন এবং গ্রামবাসী ধারণা করছেন সৎ ভাই আঃ আজিজ ও আঃ হালিমকে ফাঁসাতেই নিজ বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সাদিয়া বেগমকে হত্যা করেছেন বলে এমন নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন তার বাবা জামাদার মিয়া।

এদিক মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক বলেন, নিহত সাদিয়া বেগমের বাবা জামাদার মিয়াকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উন্মোচিত হবে বলে তিনি এমনটাই জানান।