শনিবার | ১ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রেড ক্রিসেন্টের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী সাতক্ষীরা জেলা জজ কোর্টের বিজ্ঞ এপিপি এ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো Logo বুটেক্সের চারটি আবাসিক হল পেল নতুন প্রভোস্ট! Logo  সিরাজগঞ্জে জাল স্বাক্ষরে রেজিস্ট্রি, দেশে না থেকেও জমি বিক্রি Logo ১৫ মাস আমার যথেষ্ট সফলতা আছে, আর যেগুলো আমি করতে পারি নাই সেগুলো আমার ব্যর্থতা -পঞ্চগড়ে ধর্ম উপদেষ্টা আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন Logo রংপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের কিশোর স্বাস্থ্যসেবা মানোন্নয়নে প্রতিবেদন উপস্থাপন Logo সিরাজগঞ্জে গণপিটুনিতে মারা গেলেন এক চোর Logo সত্য প্রকাশে সাহসী, মিথ্যা তথ্যের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে – প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। Logo নির্বাচনে অর্থের খেলা কীভাবে কমানো যায়? Logo ভোটের রাজনীতি, জোটের রাজনীতি Logo আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৩০০০

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি সার পাচারের সময় জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

জুনিয়র রিপোর্টার:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ডিলার পয়েন্ট থেকে ১০ বস্তা টিএসপি সার আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আটকের পর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সরকারি অনুমোদিত বিসিআইসি সার ডিলার ইফতিয়ার উদ্দীন রানার বিরুদ্ধে সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠিয়েছে কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সার সংকটের কারণে ফসল উৎপাদনে তারা মারাত্মক সমস্যায় রয়েছেন। এ অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যার পর ডিলারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে সার সরবরাহের খবর পেয়ে তারা তা আটকে দেন। পরে সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়।

কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, রবি মৌসুমে টিএসপি ও ডিএপি সারসহ অন্যান্য সারের চাহিদা অনেক। কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছি না।

অভিযোগের বিষয়ে ডিলার ইফতিয়ার উদ্দীন রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার ছেলে আবিদ বিশ্বাস শাওন জানিয়েছেন, যে ১০ বস্তা সার আটক করা হয়েছে, তা সরকারি নয়। এগুলো একটি বেসরকারি কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছিল এবং ভালাইপুর বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকানে পাঠানো হচ্ছিল। তবে কেনার সময় কোনো রশিদ বা চালান দেওয়া হয়নি। এ কারণে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষি কর্মকর্তারা সারগুলো জব্দ করেছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ বলেন, বিসিআইসি ডিলারের পয়েন্ট থেকে আটক করা ১০ বস্তা সার বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়া সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমরা সারগুলো জব্দ করেছি এবং পরবর্তী তদন্ত চলছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে রবি মৌসুমে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে পর্যাপ্ত সারের প্রয়োজন। এ সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য সারের সংকট সৃষ্টি করছে এবং অধিকমূল্য আদায় করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার রয়েছি, এবং সার সংক্রান্ত বিষয়ে কৃষকদের যে কোন অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আমরা সারের বিতরণ মনিটরিংয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেড ক্রিসেন্টের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী সাতক্ষীরা জেলা জজ কোর্টের বিজ্ঞ এপিপি এ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি সার পাচারের সময় জনগণের কাছে হাতেনাতে ধরা

আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

জুনিয়র রিপোর্টার:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ডিলার পয়েন্ট থেকে ১০ বস্তা টিএসপি সার আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আটকের পর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সরকারি অনুমোদিত বিসিআইসি সার ডিলার ইফতিয়ার উদ্দীন রানার বিরুদ্ধে সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠিয়েছে কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সার সংকটের কারণে ফসল উৎপাদনে তারা মারাত্মক সমস্যায় রয়েছেন। এ অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যার পর ডিলারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে সার সরবরাহের খবর পেয়ে তারা তা আটকে দেন। পরে সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়।

কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, রবি মৌসুমে টিএসপি ও ডিএপি সারসহ অন্যান্য সারের চাহিদা অনেক। কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছি না।

অভিযোগের বিষয়ে ডিলার ইফতিয়ার উদ্দীন রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার ছেলে আবিদ বিশ্বাস শাওন জানিয়েছেন, যে ১০ বস্তা সার আটক করা হয়েছে, তা সরকারি নয়। এগুলো একটি বেসরকারি কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছিল এবং ভালাইপুর বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকানে পাঠানো হচ্ছিল। তবে কেনার সময় কোনো রশিদ বা চালান দেওয়া হয়নি। এ কারণে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় কৃষি কর্মকর্তারা সারগুলো জব্দ করেছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ বলেন, বিসিআইসি ডিলারের পয়েন্ট থেকে আটক করা ১০ বস্তা সার বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়া সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমরা সারগুলো জব্দ করেছি এবং পরবর্তী তদন্ত চলছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে রবি মৌসুমে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে পর্যাপ্ত সারের প্রয়োজন। এ সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য সারের সংকট সৃষ্টি করছে এবং অধিকমূল্য আদায় করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার রয়েছি, এবং সার সংক্রান্ত বিষয়ে কৃষকদের যে কোন অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আমরা সারের বিতরণ মনিটরিংয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।